অক্টোবর মাসেই পুজোর আগে আবার 2 দিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস! পশ্চিমবঙ্গে ফের অকাল ছুটি!

অক্টোবর মাসে পুজোর আগেই দুদিন ছুটির আবহ রাজ্যে। বন্ধ থাকতে পারে রাজ্যের সরকারি কার্যালয় গুলি। কোন দিন এবং কেন এই ছুটির আবহ, জেনে নিন।

West Bengal Holiday List 2023

একগুচ্ছ উৎসবের কারণে সেপ্টেম্বর মাসের প্রায় অনেকগুলি দিন বিভিন্ন রাজ্যে এমনকি দেশ জুড়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি কার্যালয় গুলি বন্ধ ছিল। এছাড়াও নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট আইন অনুসারে রবিবার দিনগুলিতে সমস্ত সরকারি অফিস কাছারি গুলিতে ছুটি থেকেই থাকে। ফলে চলতি মাসেই বেশ কয়েকটি দিন ছুটির মেজাজে আনন্দে কাটিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারাও।

এছাড়াও আগামী অক্টোবর মাসেই আবার দুর্গোৎসব। যার কারনে একটানা ছুটি থাকতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিস গুলি। অর্থাৎ আসছে মাসেও ছুটির এই আনন্দ বহাল থাকবে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু দুর্গাপুজো শুরু হবার আগেই অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আনফিসিয়ালি হলেও পশ্চিমবঙ্গে ছুটির তালিকায় যুক্ত হতে পারে আরও দুটি অতিরিক্ত ছুটি। কিন্তু ঠিক কোন দুই দিন থাকবে এই ছুটি এবং কেনই বা এই ছুটির ঘোষণা বিস্তারিত জেনে নিন।

২০২০ সাল থেকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন এই দাবি নিয়ে যে এবার থেকে তাদেরও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে। প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা দাখিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট কর্মীদের স্বপক্ষে রায় দিলেও রাজ্য সরকার তা মানতে অস্বীকার করে।

West Bengal Durga Puja Holidays 2023 (দুর্গা পূজার ছুটি)

রাজ্য সরকার তাদেরকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া তো দূর, পূর্বের সমস্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতাও মেটাতে রাজি হয়নি। এইভাবে যত দিন যায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবশেষে চলতি বছরের জুন মাস থেকে রাজ্য সরকারের তরফের বৃদ্ধি করা হয় ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা।

“কিন্তু এটা কি আমাদের প্রাপ্য? কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা বছরে দুবার মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকে। একটি জানুয়ারিতে এবং অপরটি জুলাই মাসে। সেই অনুযায়ী জুলাইয়ে তাদের মহার্ঘ ভাতা ৩৯ শতাংশ এর পর আরও ৩ শতাংশ বেড়ে হয় মোট ৪২ শতাংশ। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার জিনিসপত্রের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়াচ্ছে তার কর্মচারীদের বেতন সেখানে আমাদের রাজ্য সরকার কেন সেই নিয়ম মানছে না?” এই বক্তব্যের সৃষ্টি হয় কর্মীদের মধ্যে।

যার দরুন এখনো পর্যন্ত বিক্ষোভ থামেনি সংশ্লিষ্ট বিষয়কে ঘিরে। তাই এবার রাজ্যের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে কর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অক্টোবর মাসে দু দিন তারা কর্ম বিরতি পালন করবেন। সেই কারণেই পুজোর আগে রাজ্য সরকারি কার্যালয় গুলি বন্ধ থাকতে চলেছে সেই দুদিন। এই ছুটি রাজ্য সরকার না দিলেও, কর্মীরাই যদি অফিসে না আসেন তবে ছুটির আবহ ই সৃষ্টি হবে।

 ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বেড়ে গেল। সমস্ত ব্যাংকে নতুন সুদের হার এর তালিকা দেখুন।

সূত্রের খবর, আগামী মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গল এবং বুধবার পর পর দুদিন রাজ্য সরকারি কর্মীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এদিন না তো কেউ অফিসে যাবেন না সেখানে কোন কাজ করবেন, এমনটাই সংকল্প নিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারের অধীনে কেন্দ্রীয় হারে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনের মধ্যে একটি বৈঠক হয় তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে।

আরও পড়ুন, B.Ed থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষক বৈধ। আদালতের নতুন রাজ্যে স্বস্তিতে শিক্ষক ও টেট প্রার্থীরা।

আর সেখানে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকেও এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে বেতন দানের উদ্দেশ্যে চিঠি দেওয়া হয় সেখানে উপস্থিত অন্যান্য দলগুলিকে। যাইহোক এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর মেলেনি এখনো। যদিও রাজ্য সরকার ধর্মঘট ও কর্মবিরতির রাজনীতিকে মান্যতা দেয়না। বাম আমলের পর থেকে হরতাল আর বনধ অনেকটাই কমে গেছে, রাজ্যে। কর্মনাশা হরতাল রাজ্য তথা দেশ কে আর্থিক ভাবে ক্ষতি করে। আর সেই কারনে সংগ্রামী মঞ্চের এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্য সরকার কি নির্দেশ দেয়, এবার সেটাই দেখার।
Written by Nabadip Saha.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button