Awas Yojana: আবাস যোজনায় নতুন করে আবেদন গ্রহণ শুরু হল। সার্ভে না হলে কিভাবে করাবেন? জেনে নিন
Bangla Awas Yojana Application 2024
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল বাংলা আবাস যোজনা (Awas Yojana). সরকারের এই প্রকল্পটির সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ মাথার উপর পাকা ছাদ পাবেন। বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে সকলকেই নির্ভরযোগ্য বাসস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে নানান ধরনের অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক জায়গায় সার্ভে হচ্ছে না বলেও দাবি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কি করতে পারেন? আবাস যোজনায় নতুন করে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আসুন বিস্তারিত জানা যাক।
WB Awas Yojana Scheme 2024
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী বহুদিন দরিদ্র মানুষ এই বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের (Awas Yojana Scheme) জন্য নিজ আবেদন জমা করেছিলেন। আর রাজ্য সরকারের এই আশ্বাস ছিল যে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের দীন-দরিদ্র মানুষ সরকারি সাহায্যে পাকা বাড়ি বানাতে পারবেন। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার-এর তরফে বাড়ি বানানোর টাকা দেওয়া হত। এই প্রকল্পটির নাম ছিল পিএম আবাস যোজনা। আর তারপর রাজ্য সরকার আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করে বাংলার মানুষদের সহায়তার আশ্বাস দেন। তবে এখন অনেকেই দাবি তুলছেন যে, বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে নাকি অনেকের নাম বাদ চলে যাচ্ছে। এমনকি যাদের সত্যিই বাড়ির দরকার এমন অনেক ব্যক্তির নাম বাদ চলে গিয়েছে। তাই তাঁরা বিডিও অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন।
বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা থেকে কার্যত বঞ্চিত শতাধিক দুঃস্থ পরিবার। সূত্রের খবর, মুরারই-২ ব্লকের আমডোল পঞ্চায়েতের উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা ঠিক এমন অভিযোগ করেছেন যে, সাধারণত, মাটির বাড়িতে বসবাস করা সত্ত্বেও এই অঞ্চলের মানুষদের নাম নেই সার্ভের তালিকায়। কিন্তু অপরদিকে দেখা যাচ্ছে, পাকা বাড়ি রয়েছে এমন অনেকের নাম রয়ে গিয়েছে তালিকায়। আর তাই এই অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যক্তিরা প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারি পাকা বাড়ি চেয়ে আবেদন করেছেন বিডিওর কাছে। এমন আবেদন জমা পড়েছে গ্রামের ১০৫ অসহায় পরিবারের। তাঁদের এই অভিযোগের কপি ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছেও।
আবার নতুন করে সার্ভে শুরু হবে?
আবার, উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রায় অধিকাংশ বাসিন্দা দিনমজুর। যা দেখা যায়, এই গ্রামে প্রায় বেশিরভাগ বাড়ি মাটির তৈরি। বর্ষার সময় ত্রিপল দিয়ে তাঁরা কোনওভাবে জীবন যাপন করেন। প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সকল দুঃস্থ পরিবারগুলিকে ত্রিপল সরবরাহ করা হয়। যা কিনা তাঁদের একমাত্র ভরসা। দিনের পর দিন ধরে এই সকল পরিবারগুলিকে অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়।
তাই এই মানুষগুলির আবেদন পাওয়ার পর বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন যে, চলতি মাস অর্থাৎ আগামী ২১ নভেম্বর পর আরও একটি সার্ভে করা হবে, যে সার্ভে থেকে বাদ দেওয়া হবে পাকা বাড়ি ও আর্থিক সচ্ছলতা থাকা ব্যক্তিদের।যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের সাহায্যের প্রয়োজন সেই সকল ব্যক্তিরা সত্যিকারের সাহায্য পাবেন। অঞ্চলের একজন ভিডিও অফিসার বলেন, “সার্ভে তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁদের বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই।” তবে তিনি এও বলেছেন যে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আবাস যোজনার টাকা দেওয়া শুরু হল। প্রথম কিস্তির টাকা কবে পাবেন?
আবাস যোজনার আবেদন প্রক্রিয়া
বাংলার আবাস যোজনায় সাধারণত দুই ভাবে আবেদন করা যাবে। প্রথমটি হল, ব্লক অফিসে সরাসরি গিয়ে আবেদনপত্র জমা করতে পারবেন অথবা মুখ্যমন্ত্রী হেল্পডেস্কে ফোনের মাধ্যমে জমা করতে পারবেন আবেদন। যে সকল ব্যক্তিরা বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাঁরা ব্লক উন্নয়ন অফিসে (BDO Office) আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, নির্দিষ্ট কোন ফর্ম না থাকলেও সাদা কাগজে নিজের পরিচয়, ঠিকানা ও বাড়ির প্রয়োজনীয়তার বিবরণ দিয়ে সেই আবেদন জমা করা যেতে পারে।