Bank Shut Down – নিয়ে তোলপাড় সারা বিশ্ব। সারা বিশ্বে বর্তমানে আর্থিক সংকট গ্রাস করে নিচ্ছে সুখ সাচ্ছ্যন্দ। সাধারণ মানুষ নিজের অর্থ জমা করে ভরসা পাচ্ছেন না। Bank Shut Down হলে তা দেশের অর্থনীতিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সবার সামনে দেখিয়ে দেয়। আর বর্তমানে যেহেতু একটি দেশের সাথে অন্য দেশ অনেক ভাবেই যুক্ত থাকে, তাই এই আর্থিক পরিস্থিতির প্রভাব প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পরে সমস্ত দেশের ওঅপরে। এবারে ব্যাংক এবং গ্রাহকদের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আন্তর্জাতিক স্তরে পর পর Bank Shut Down হচ্ছে, দেশেও সংখ্যাটা কম নয়।
চলছে তীব্র আর্থিক সংকট। তার জেরেই মুখ থুবড়ে পড়ল আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। কয়েকদিন আগেই হঠাৎ করে ক্যলিফোর্নিয়ার এই ব্যাঙ্কের শেয়ার দর হু হু করে নামতে শুরু করে। আমেরিকার ষোড়শ বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। আর্থিক দুরবস্থার চাপে পড়ে শেষমেশ গ্রাহকদের টাকা ফেরাতে দর পড়ে যাওয়ার পরও নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য হয় ব্যাঙ্কটি। তবে শেষ রক্ষা আর হল না।
অবশেষে শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়াতে ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা Bank Shut Down হবার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। আমেরিকান সরকার ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। এরইমধ্যে আবার টুইস্ট এল ঘটনায়। Bank Shut Down হবার ফলে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এই ব্যাঙ্কটি কিনে নেবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন টুইটারের কর্ণধার এলন মাস্ক। কয়েকদিন আগে, রেজারের সিইও মিন লিয়াং ট্যান টুইট করে মাস্ককে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, এই পরিস্থিতিতে মাস্কের উচিত সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক কিনে নেওয়া এবং সেটিকে ডিজিটাল ব্যাঙ্কে পরিণত করা।
এই ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোসিট করলেই পাবেন আসল লাভের লাভ! সর্বাধিক সুদের হার পেতে এখুনি দেখুন।
ট্যানের সেই টুইটেরই জবাবে টেসলা-কর্তা এব্যাপারে তাঁর ‘আগ্রহে’র কথা জানান টুইট করে। মাস্ক বলেন, ‘বিষয়টি ভেবে দেখাই যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আর্থিক মন্দার পর আমেরিকায় এই প্রথম কোনও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা এইভাবে ভেঙে পড়ল। দেখতে গেলে সেই অর্থে ১৫ বছর পর মার্কিন ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় আর্থিক বিপর্যয়। দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন স্টার্টআপ সংস্থায় বিনিয়োগ করেই এই ব্যাঙ্ক ফুলেফেঁপে উঠেছিল।
কিন্তু যে স্টার্টআপ সংস্থাগুলিতে ব্যাঙ্কের লগ্নি করা ছিল, সেগুলি করোনা মহামারীর সময় দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়াতে থাকায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের চাপ আরও বাড়ে। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক তাদের বেশিরভাগ সম্পদ মার্কিন বন্ডে লগ্নি করেছিল। এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোয় বন্ডের মূল্য কমে যায়। ফলে আর্থিক বিপর্যয়ে কেবারে ধসে পড়ে এই ব্যাঙ্ক। কমতে থাকে ব্যাঙ্কের সঞ্চয়।
ক্রমশ গ্রাহকরাও নিজেদের গচ্ছিত অর্থ তুলে নিতে থাকেন। এর ফলে আসতে আসতে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করে ব্যাঙ্ক। এভাবেই অবশেষে দেউলিয়া হয়ে গেল আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় ব্যাঙ্কটি জানিয়েছিল যে, তাদের প্রায় ২০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। শুক্রবারই সিলিকন ভ্যালির যাবতীয় নথি ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন অধিগ্রহণ করেছে। বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব সান্তা ক্লারায় ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের গচ্ছিত অর্থ রাখা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
Written by Parna Banerjee.