Business Ideas – ঘরে বসে ব্যবসার সুযোগ। মাত্র 25 টাকায় কিনে 100 টাকায় বিক্রয় করুন। লসের চান্স নেই।
ঘরে বসেই দুর্দান্ত ব্যবসার সুযোগ (Business Ideas)! মাত্র ২৫ টাকায় এই জিনিস কিনে বিক্রি করুন ১০০ টাকায়। মাসের শেষে আপনিও কামাবেন লাখ লাখ টাকা। কি ব্যবসা করবেন? কিভাবে শুরু করবেন? কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? লাভ কেমন থাকবে, জেনে নিন এক নজরে।
Home Based Business Ideas
বর্তমানকালে দুনিয়া হল ইন্টারনেটের দুনিয়া। সমস্ত কাজই এখন হয়ে থাকে অনলাইন মারফত। তাই এই অনলাইনের যুগে ঘরে বসে ছোটখাটো ব্যবসা (Business Ideas) শুরু করা অত্যন্ত সহজ কাজ। বিশেষ করে একদিকে যেমন এই কাজগুলি করতে আপনাকে কোন পরিশ্রম বা ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে না, তেমনি অন্য দিকে মাসের শেষে আপনার মুনাফাও হবে অবাক করার মত। কারণ এখানে আপনার লাভের বিন্দুমাত্র অংশও খরচ হবে না।
আপনি যদি এক টাকাও লাভ করেন সেটি আপনারই থাকবে। সেই সঙ্গে সকল ধরনের মানুষ যেমন ছাত্র-ছাত্রী বা যারা কোন অফিস কাছারিতে কাজ করেন বা ঘরের মা-বোনেরাও অতি সহজেই এই কাজগুলি তাদের ফ্রি টাইমে করে আকর্ষণীয় মূল্যের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকে আমরা যে ব্যবসার সম্পর্কে (Business Ideas) কথা বলতে চলেছি সেটিও হল এই ধরনের একটি সুবিধা জনক ব্যবসা।
ব্যবসার ধরণ
এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকায় আপনি ক্রয় করবেন আর অন্যদিকে সেটি বিক্রি করবেন ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। মানুষজন আপনার থেকে এই জিনিস ক্রয় করতে এত ভিড় করবে যে আপনি নিজের সময় গুছিয়ে উঠতে পারবেন না। তাহলে এবার জেনে নিন কি Business Ideas বা ব্যবসার সম্পর্কে আমরা কথা বলছি।
ব্যবসার নাম
আজকাল আমরা অনলাইন শপিং তো সবাই করে থাকি। flipkart, amazon, meesho ইত্যাদি অ্যাপ থেকে আমরা জিনিসপত্র কিনে থাকি অনলাইনে। তবে আপনারা কি জানেন যে এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে আপনারা অতি সহজেই আপনার জিনিস বিক্রি করে অর্থও উপার্জন করতে পারেন। এই অ্যাপগুলিতে আপনারা সেলার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই নিজেদের জিনিসপত্র বিক্রয় করে প্রচুর মুনাফা লাভ করতে পারেন।
কি কি লাগবে?
আমাদের মধ্যে অনেকেই একথা জানেন। সে যাই হোক, এই সমস্ত অনলাইন সুপারমার্কেটে আপনাদের Business Ideas শুরু করতে হলে প্রথমে এখানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরজন্য লাগবে আপনার নাম, ইমেইল আইডি, বৈধ ফোন নাম্বার, প্যান কার্ড , ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং একটি GSTIN নম্বর। এই GSTIN নম্বর আপনি যেকোনো ব্যবসায়ী সমিতির কাছ থেকে পেতে পারেন। তবে এর জন্য ১০০০ বা ২০০০ টাকা লাগতে পারে।
এই নম্বরটি না হলে কিন্তু আপনাকে একজন ভেরিফাইড সেলার বলে চিহ্নিত করা হবে না এবং আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। এরপর সব কিছু দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই আপনি নিজের জিনিসপত্রের সম্পর্কে বিবরণ এবং ছবি এখানে পোস্ট করতে পারেন। পরবর্তীকালে যদি কোন ব্যক্তি আপনার কাছ থেকে সেটি কিন্তু আগ্রহী হন, তাহলে flipkart, amazon, meesho ইত্যাদির কুরিয়ার বয়রা নিজে এসে আপনার বাড়ি থেকে সেই পার্সেল নিয়ে যাবে এবং তারপরেই অনলাইন পেমেন্ট করে দেওয়া হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে।
কিসের ব্যবসা?
কিন্তু আসল কথা হল যে কিসের ব্যবসা করলে আপনি অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন?
আপনি যদি কলকাতায় থেকে থাকেন তাহলে বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল প্ল্যান্টের কথা অবশ্যই জানবেন। এই সমস্ত গাছ অনেকেই নিজেদের বাড়িতে লাগান। তাই এগুলির ব্যবসা আপনাকে অত্যন্ত মুনাফা দিতে পারে। আর এই আর্টিফিশিয়াল প্ল্যান্টগুলি কিনতে আপনাকে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না। অর্থাৎ কম টাকায় বেশি লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। আর আসছে পুজো, ছুটির মৌসুম ও শীতের মৌসুম। এই সময়ে মানুষ শখের কাজ বেশি করেন। তাই এওখন থেকেই শুরু করলে এই ব্যবসা দাড় করে যাবে।
ব্যবসার মূলধন ও লাভ
আপনি যদি কলকাতার বড়বাজার এলাকায় এই ধরনের গাছের সন্ধান করেন ২০ থেকে ২৫ টাকায় একটি গাছ পেয়ে যাবেন। এরপর প্যাকেজিং বাবদ আরো ১০-১৫ টাকা ধরে রাখুন। মোটামুটি ৪০ টাকার মত খরচ হবে আপনার। সেখানে আপনি যদি এই একটি গাছকে ১০০ টাকায় বিক্রি করেন তাহলে আপনার লাভ থাকছে প্রায় ৬০ টাকা। এই সমস্ত গাছগুলির চাহিদা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই লোকজন বেশি দাম দিয়েও আপনার থেকে এই কাজগুলি কিনবেন। আর আপনিও মাসের শেষে পাবেন আকর্ষণীয় ইনকাম।
Written by Nabadip Saha.