আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। অক্টোবরের শুরুতে ঢাকে পড়বে কাঠি। এর মাঝে সরকারি কর্মীদের জন্য এবার একটি চিন্তার খবর (Government Employees Salary). পুজোর মাসেই বেশ চিন্তার খবর শোনালো সরকার। কর্মীদের স্যালারি ঢুকবে দেরিতে। উৎসবের মরশুমে এমন খবর শুনে বেশ চিন্তায় সরকারি কর্মীরা। সরকারি টালবাহানায় কর্মীদের বেতন ঢুকতে পারে দেরিতে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সম্প্রতি (Government Employees Salary). এরই মাঝে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে বারবার সরব হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। পুজোর মাসে বেতন দেরিতে ঢুকলে সমস্যা হবে বলেই মত কর্মীদের।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট! হঠাৎ বদলে গেল নিয়ম! অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি দেখে অবাক হবেন
Government Employees Salary Update
অক্টোবর তথা উৎসবের মাস। আর এই উৎসবের মাসে দেরিতে বেতন পাবেন বলেই মনে করছেন সরকারি কর্মীরা (Government Employees Salary). পুজোর আগে তৈরি হয়েছে এমনই এক গভীর আশঙ্কা। বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শুধু তাই নয়, দেরিতে পেনশন পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। একইসঙ্গে সামনে আসছে, মহার্ঘ ভাতা (DA) সংক্রান্ত ইস্যু। শিক্ষক মহলের মত, বর্তমানে তাঁরা যে হারে মহার্ঘ ভাতা পান, মোটেই তাতে সন্তুষ্ট নন শিক্ষকেরা। ডিএ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা। মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অনড় রাজ্যের শিক্ষক মহল।
রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, সত্যি বলতে রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান ধরনের জটিলতা ও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে মার খাচ্ছেন তাঁরা। এর জন্য সমস্যার পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এর পাশাপাশি, শিক্ষা দফতরের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে এখন আর শিক্ষক এবং কর্মীদের কিছু করার নেই।
পুজোর বাম্পার উপহার! রাজ্যে কর্মরত ১৫,০০০ কর্মীর পকেটে আসছে কড়কড়ে নোট! জারি হল নতুন বিজ্ঞপ্তি
আর তাঁদের কোনও দোষ না থাকলেও আসন্ন উৎসবের মরশুমে শিক্ষকদের দেরিতে বেতন পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা শুধুমাত্র এই বছর নয় বরং আগের দুই বছর অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ সালেও হয়েছিল।বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শী রাজ্য বিহারে। বেতন দেরিতে পাওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সেই রাজ্যের কর্মীরা।
Government Employees Salary Update On October
যদিও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কোনো হস্তক্ষেপ করেননি বলেই খবর। মুখ্যমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন সেই আর্জি জানানো হয়েছে বিহার রাজ্যের দুটি বড় শিক্ষক সংগঠনের তরফে। শিক্ষক সংগঠনের তরফে এটাই দাবি, শিক্ষা দফতরের খামখেয়ালি নির্দেশিকার জেরে রাজ্যে এরকম নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। আর তার জেরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পড়তে হচ্ছে চূড়ান্ত বিড়ম্বনার মধ্যে। বিষয়টির সমাধানের আশায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী।