সৌরভ এর BCCI সভাপতি পদ থেকে অপসারণ বিষয়টি বাঙ্গালির আবেগে সত্যিই এক বড় আঘাত এনেছে। কারণ এই দুঃসংবাদে তোলপাড় হয়েছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। তবে কেন তাকে সরে যেতে হলো BCCI-এর সভাপতি পদ থেকে? উত্তর খুঁজতে মরিয়া বাঙালি। আসুন বিস্তারিত আলোচনায় বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
সৌরভ চরিত্রটির সাথে বাঙালি সেন্টিমেন্ট জড়িত।
এবারে এই নিয়ে মামলা দায়ের হলো কোলকাতা হাইকোর্টে। কে বা কারা করলো এই মামলা? সম্প্রতি দাদার BCCI সভাপতি পদ থেকে অপসারণের বিষয়টি সকলরেই কমবেশি অবগত। তিন বছরের মেয়াদ শেষে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পর আর পরবর্তী সুযোগ দেওয়া হয় নি। এই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কি নির্দেশ আছে?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থায় 6 বছর এবং বোর্ডে 6 বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন একজন আধিকারিক। এই ভিত্তিতে তার কাছে আরও 3 বছরের সময়কাল দিলেও দিতে পারতো BCCI. কিন্তু তাকে আর সুযোগ দেওয়া হল না। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েই গেল কোলকাতা হাইকোর্টে।
মামলা করলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তিনিই দাদাকে নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করলেন কোলকাতা হাইকোর্টে। তার দাবি, দাদাকে BCCI এর সভাপতি পদ থেকে অকারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঠিক বিচার চেয়ে মামলা করলেন কোলকাতা হাইকোর্টে। এক্ষেত্রে মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ভরদ্বাজ এর দিভিশন বেঞ্চে।
14.2 কেজির রান্নার LPG গ্যাস কিনলে এবারে পান 200 টাকার বেশি ছাড়! কিভাবে পাবেন, জেনে নিন।
এই মামলার শুনানি হবে আগামি সপ্তাহেই। রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে আবেগী বাঙালি। গত শুক্রবার অর্থাৎ 4.11.2022 তারিখ এই মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর দাবি, “বিসিসিআই-এর সভাপতি এবং সচিব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। সৌরভকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই রায় ঠিক মতো মানা হয়নি! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ যদি পুনর্বার বোর্ডে থাকতে পারেন, তবে দাদা নয় কেন? তাঁকে কি রাজনৈতিক কারণে সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে”।
এই প্রশ্ন দাদার ভক্তদের মনে বহু দিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে। আর তাতেই মুলত এবারে ঘি ঢাললেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। এই নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই বছরই বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে সৌরভ এর। তারপর আর তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু অমিত-পুত্র জয় শাহ সচিব পদে থেকে গেলেও সৌরভকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিছুটা তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে।
বিসিসিআই থেকে সরে যেতে রীতিমতো বাধ্যই হয়েছিলেন তিনি। এমন কী আইসিসি-তেও তাঁর নাম পাঠানোর বিষয়ে রাজি হয়নি ক্রিকেট বোর্ড। সব রাস্তা বন্ধ হওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, সিএবি-র সভাপতি পদের জন্য তিনি নির্বাচনে লড়বেন। কিন্তু এ বার নির্বাচনই হয়নি। তাই সৌরভ নিজের মনোনয়নই জমা দেননি।
তিনি সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে না দাঁড়ানোয়, তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে যান। আদালতে এই সৌরভ প্রসঙ্গে মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে জনগণ। আদালতের রায়ে কি সৌরভ আবার ফিরে পেতে পারেন BCCI সভাপতি পদ? আপনার সুচিন্তিত মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। অন্যান্য খবরের জন্য অবশ্যই নজর রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.