সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধি! 22 হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন বেতন।
দ্বিগুণ বেতন বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত পাওয়া গেল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। কত করে বেতন দেওয়া হবে, জানুন।
বেশ কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভালো কাজ করা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন উদ্যোগের ফলে এবার পাকা চাকরি পেতে চলেছেন রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়াররা।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য বড় ঘোষনাঃ
সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলে ঠিক কতটা কী পরিবর্তন ঘটবে, তা জেনে নিন।
বর্তমানে সরকারের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। প্রতি দিন তাঁদের ৮ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন পুজো,ভোট ইত্যাদি সময়ে এই কাজের সময় বেড়েও যায় অনেক সময়। এছাড়া বিভিন্ন সময়েই রাতের বেলায় ও অতিরিক্ত ডিউটি করতে হয়।
সাধারণভাবে, দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করে ৯ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এরই সাথে, সিভিকরা পেয়ে থাকেন বছরে ১৪টি ক্যাসুয়াল লিভ। সাথে মেলে ৫০ দিনের সবেতন মেডিকেল লিভও। পাশাপাশি, রাজ্যের মেডিক্লেম ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। এর আওতায় একটি পরিবারের সর্বাধিক ৬ জনকে রাখা যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে দুর্ঘটনাজনিত সুবিধাও। অর্থাৎ, কাজ করতে গিয়ে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের একজন সদস্যকে কাজ দেওয়া হয়। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কোনও রকম অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রোমোশন হলেঃ
অন্যদিকে, সিভিকদের কনস্টেবল পদে প্রোমোশন হলে, মাসিক মূল মাইনে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২২ হাজার ৭০০ টাকা প্রতি মাসে। পাশাপাশি, বাড়ি ভাড়া ভাতা হিসেবে মূল মাইনের ১২ শতাংশ মিলবে। এর সাথে, রেশনের জন্য প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হতে পারে। মেডিকেল অ্যালাউন্স হিসেবে মাসে ৫০০ টাকাও মিলতে পারে। এদিকে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলরা বছরে ১৪টি সিএল পান এবং পুজোয় ডিউটি করলে অতিরিক্ত ১৩ দিনের ছুটিও মেলে। ৩০ টা মেডিকেল লিভ দেওয়া হয়।
লটারি জেতার অভিনব কৌশল, মাত্র 30 টাকা খরচ করে এইভাবে একবার টিকিট কেটে দেখুন।
পাশাপাশি, মাইনে ছাড়াও কনস্টেবলদের অবসরকালীন পেনশন দেওয়া হয়। সাথে মেলে বছরে ১ লাখ টাকার মেডিক্লেমও। এই মেডিক্লেমে এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ জনকে রাখা যায়।
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছিল, সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখা হবে।
কম খরচে আনলিমিটেড কলিং ও ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত 5 টি সেরা রিচার্জ প্ল্যান।
এক, তাঁরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না।
দুই, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ করা সিভিক ভলান্টিয়ারকেই কনস্টেবল পদে পাকা সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। জেলার পুলিশ সুপারের উপরে এই সুপারিশের দায়িত্ব থাকবে।
তিন, যে থানায় কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে সেখানেই নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিষয়ে বাছ বিচার চলবে না।
Written By Parna Bannerjee.