Petrol জ্বালানি তেল বিক্রিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে RTO.
পেট্রোল ডিজেল নিয়ে নতুন নিয়ম চালু হলো। এবার থেকে Petrol Diesel ইচ্ছেমতো কেনা যাবে না। নতুন নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশ দূষণ এখন একটি প্রধান সমস্যা। এই দূষণ রোধে RTO থেকে নেওয়া হচ্ছে এই নতুন ধরণের পদক্ষেপ। উচ্চ পদাধিকারীদের মতে, এই নিয়ম সঠিকভাবে পালিত হলে দেশে দূষণের মাত্রা কমে যাবে। পরিবেশে আবার ফিরে আসবে নির্মলতা। স্বস্তির প্রশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারবে গোটা ভারতবাসী।
এই সুবিশাল ভারতবর্ষের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেমন আছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক তেমনই আছে সড়ক যোগাযোগ। আর এক্ষেত্রে RTO এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের ‘VAHAN’ – নামে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে এই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা হয়ে থাকে। ১৯৮৮ সালের RTO নিয়মে প্রত্যেক যানবাহনের PUC Certificate থাকা বাধ্যতামূলক।
প্রতি বছরই ঠিক শীত শুরুর প্রাক্কালে দিল্লীর বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। সেই কারণে দিল্লী সরকার আগে ভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। আগে দেশের অনেক জায়গাতেই হেলমেট ছাড়া পেট্রোল (Petrol Diesel) না দেবার সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে অনেক RTO থেকেই। কিন্তু এবারে সঙ্গে রাখতে হবে PUC সার্টিফিকেট অর্থাৎ, Pollution Under Control Certificate. এই সার্টিফিকেটের কপি না থাকলে দেওয়া হবে না Petrol Diesel.
আগামী ২৫শে অক্টোবর থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে (Petrol Diesel) ভারতের অন্যতম ব্যস্ত শহর দিল্লীতে। এই শীতকালীন কর্ম পরিকল্পনার যাতে সঠিক বাস্তব রূপ পায়, সেদিকে বেশ সতর্ক দিল্লী RTO. ভারতের রাজধানী দিল্লীর পরিবেশ মন্ত্রী হলেন শ্রী গোপাল রায় মহাশয়। তিনি গত সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, দূষণ রধ করতে গ্র্যাপ এবং ‘উইন্টার অ্যাকশন প্ল্যান’ বেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
গোটা দিল্লী শহরে প্রচুর মানুষের বসবাস। এই শহরে Petrol Diesel চালিত বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চলে ১৭ লক্ষেরও বেশি যা সম্পূর্ণভাবে দিল্লী RTO দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে শুধুমাত্র দুই চাকার তথা বাইকের সংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষের বেশি। এত বিপুল সংখ্যার যান চলাচলে দিল্লীর বায়ু দূষণ পৌছায় চরমে। সাধারণ মানুষের নিশ্বাস প্রশ্বাসে প্রবল সমস্যার সৃষ্টি হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই।
অক্টোবরে LPG তথা রান্নার গ্যাস পাবেন না আগের দামে, বুকিং নিয়মেও নিষেধাজ্ঞা। বিশদে জানুন।
একই সঙ্গে দূষণ প্রতিরোধে ওয়ার রুমের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হবে দিল্লী RTO. এছাড়া জনসচেতনতা হচ্ছে নিয়ম পালনের প্রধান মাধ্যম। এই কারণে দিল্লী সরকারের তরফ থেকে বায়ু দূষণের ফলাফল বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রচারাভিযান চালাবে। এছাড়া মাঠে খড় না পুড়িয়ে তার বদলে সেগুলি পচানোর জন্য বায়ো-ডিকম্পোজার স্প্রে করা হবে।
এক্ষেত্রে ১০ই অক্টোবর থেকে এই প্ল্যান নেওয়া হচ্ছে। এই বছরে ৫০০০ হেক্টর জমিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বায়ু দূষণ বেশ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়াও AQI এর ওপরে ভিত্তি করে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেমনঃ- বায়ুদূষণের মাত্রা ২০০-৩০০ AQI এর মধ্যে থাকে তাহলে GRAP অনুযায়ী, যে কোন ধরণের নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের ধুলাবালি, বর্জ্য পদার্থ বিষয়ক ব্যবস্থাপনাকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
LPG রান্নার গ্যাস বুকিং এ নিষেধাজ্ঞা, এইমাসে আর গ্যাস পাবেন না, নতুন নিয়ম জেনে নিন।
এছাড়া, যদি ৩০০-৪০০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে বাইরে বিভিন্ন ফার্স্ট ফুডের দোকানে জ্বলতে থাকা তন্দুর ছাড়াও (Petrol Diesel) ডিজেল সেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম কমাতে পারকিং চার্জ বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে। আর যদি এই মাত্রা ৪০০-৫০০ থাকে, সেক্ষেত্রে দিল্লীতে অন্য জায়গা থেকে আসা অন্যান্য যানবাহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।
বন্ধ করে দেওয়া হবে সকল রকমের বড় ইঞ্জিনের যানবাহন। সবার আগে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে দিল্লী সরকার তথা RTO এর এই পদক্ষেপে বেশ খুশি সাধারণ মানুষ। প্রথম দিকে, এই PUC সংক্রান্ত বিষয়ে একটু সমস্যা হলেও পরে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য আধিকারীকদের। নিজেদের বাঁচার সমাধান নিজেদেরই খুঁজে নিতে হবে। এমন আরও খবর পেতে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.