ই শ্রম কার্ড কি? কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ই শ্রম কার্ড প্রকল্প তথা E Sharm Card. কেন্দ্রীয় সরকার বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও থেকে শুরু করে, জনকল্যাণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করেন। ই শ্রম কার্ড প্রকল্পটি হলো ২০২১ সালে ভারত সরকার দ্বারা প্রচলিত এমন একটি স্কিম যেখানে অস্থায়ী কর্মীদেরকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে? এমন সব কর্মী যাদের মাসিক স্থায়ী কোনো উপার্জন নেই। যারা দিন আনা দিন খাটা মজুর।
E Sharm Card Registration and Benefits
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা
রাজমিস্ত্রি, মুচী, মালী এই ধরনের সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মীরা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য। এই সমস্ত কর্মীদের সরকারের তরফ থেকে প্রতি মাসে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে।
- সাধারণ অস্থায়ী কর্মীরা E Sharm Card এ প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন।
- ৬০ বছর বা তার থেকে বেশি বয়স ঊর্ধ্ব ব্যাক্তিরা এই স্কিমের আওতায় প্রত্যেক মাসে ৩০০০ টাকা পাবেন।
- অর্থাৎ সারা বছরে মোট ৩৬ হাজার টাকা পাবেন।
ই-শ্রম কার্ডের শর্তাবলী
এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো E-Sharm Card এ আবেদনকারীদের কেন্দ্রীয় সরকারের আয়তাভুক্তো এই ধরনের কোনো স্কিমে নাম নথিভুক্ত থাকবেনা। এই ধরনের অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিশেষ বিশেষ মরশুমে শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন। এর পর বেশ কিছু মাস তাদের কাজ না থাকার দরুন বাড়িতে বসে থাকতে হয়। বা সবজি বিক্রেতা, রিকশা চালক এই ধরনের ছোট খাটো দিন মজুরদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের প্রায়ই আর্থিক অনটনে ভুগতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তাই এই প্রকল্পর সূত্রপাত। সুতরাং যেসব শ্রমিক বা যে সকল প্রার্থী এখনো কোনো সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানীর সাথে যুক্ত হতে পারেননি তারা ই শ্রম কার্ডে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। সরকারের তরফ থেকে ২০২৪ লোকসভা ভোটের পূর্বে ই দেশের প্রায় ২ কোটির বেশি শ্রমীদের এই কার্ডের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক কার্ডের জন্য ইচ্ছুক ব্যাক্তিরা কীভাবে এই স্কিমে আবেদন করবেন।
ই শ্রম কার্ডে ডকুমেন্টস কি কি লাগবে
- আধার কার্ড
- ভোটার কার্ড
- প্যান কার্ড
- বার্থ সার্টিফিকেট
- IFSC কোড সহ ব্যাংকের পাসবুক
- স্থায়ী ঠিকানা
- পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি।
ই শ্রম কার্ডে অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি
১) প্রথমেই আপনাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ যেতে হবে। এই সাইটে গিয়েই আপনারা কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত ধরনের তথ্যও জানতে পারবেন।
২) ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আবেদনকারীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৩) ভ্যালিড একটি মোবাইল নাম্বার রেজিস্টার্ড করতে হবে।
৪) রেজিস্টার্ড করা মোবাইল নাম্বারের আসা One time password সাবমিট করে দিতে হবে।
৫) পরবর্তী স্টেপে আসা ফর্মটি আপনাদের সঠিক তথ্য সহ ফিল আপ করতে হবে।
৬) সাথে দিতে হবে নিচে উল্লিখিত সমস্ত ধরনের ডকুমেন্টস ও পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
৭) এর পর ফর্মটি রিচেক করে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।
8) সমস্ত ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আপনি এই কার্ড পেয়ে যাবেন। এরপর অনলাইনে ই শ্রম কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে।
৯) আধার কার্ডের মাধ্যমে আপনারা ই-শ্রম কার্ড চেকও করে নিতে পারবেন।
এই সমস্ত কিছু করার পর একবার রিচেক করে ফর্মটি ফাইনাল সাবমিট করে ফেলতে হবে।
আমার সকলেই জানি এখন যেকোনো ধরনের অফিসিয়াল ট্রানজেকশন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। সুতরাং আবেদনকারী ব্যাক্তিদের আবেদনের পূর্বে অবশ্যই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
Written by Sathi Roy.