রেশন কার্ডে কি কি পাবেন? (ration card update west bengal)

নতুন বছরে রেশন সংক্রান্ত একটি হতাশার খবর শোনা গেল খাদ্য দপ্তর থেকে। সারা দেশ জুড়ে প্রায় কমবেশি 80 কোটি গ্রাহক এবারে বঞ্চিত হবেন এই বিশেষ সুবিধা থেকে। গরীব কল্যাণ যোজনার এই পদক্ষেপ সম্পর্কিত বিশদ তথ্য জানিয়ে রাজ্য গুলিকে সতর্ক করে দিল কেন্দ্র। আজকের আলোচনায় তার সম্পূর্ণ বিবরণ জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement

রেশনে খাদ্য বণ্টনে আগের নিয়ম চালু।

টানা 2 বছর সাধারণ মানুষকে যে সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, তা এবারে বন্ধ করে সাবেক নিয়মে ফিরতে চলেছে কেন্দ্র তথা রাজ্য খাদ্য দপ্তর। এই নিয়ে সাধারণের মধ্যে বেশ প্রভাব পড়তে চলেছে। তবে অতিমারীর প্রকোপ থেকে দেশের সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে PMGKAY এর মাধ্যমে নতুন সুযোগ সুবিধা চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার।

রেশন ব্যবস্থায় এই PMGKAY এর অর্থ হল Pradhan Mantri Garib Kalyan Anna Yojana. এর মাধ্যমে রেশনের বিশেষ সুবিধা পাচ্ছিলেন দেশের 80 কোটি মানুষ। সাধারণের খাদ্য সমস্যা দূরীকরণে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা বেশ স্বস্তিতেই ছিলেন। তবে এবারে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। হাল ফিরেছে সাধারণ মানুষদের কাজ কর্মে। আয় বাড়তে শুরু করেছে তাদের।

Ads

ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট তথা NFSA এর আওতায় প্রায় 80 কোটি সুবিধাভোগীদের প্রতি মাসে বিনামূল্যে 5 কেজি করে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) চালু করা হয়েছিল। রেশনে এই ব্যবস্থা এবারে বন্ধ করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। কারণ এখন দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির হাল ফিরেছে।

Advertisement

রেশন ব্যবস্থার এই প্রকল্প আরও বাড়তে পারে বলেই অধিকাংশ মানুষ ধারণা করেছিলেন। তবে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করল খাদ্য দপ্তর। এই ডিসেম্বরেই এই প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। প্রধান মন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা বন্ধ হয়ে গেলেও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অন্তর্ভুক্ত বিনামূল্যে রেশন দেবার যে ঘোষণা কেন্দ্র করেছিল, তা বজায় থাকবে।

Advertisement

রেশন ব্যবস্থার এই প্রকল্পে কেন্দ্রে কেমন খরচ?
বিনামূল্যে রেশন বণ্টনের নিমিত্তে কেন্দ্রের প্রতি বছর প্রায় 2 লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় এই নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল মহাশয় জানান যে, আগামী 2023 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য পাবেন দেশের সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে কেন্দ্রের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী তার মন্তব্য জানিয়েছেন।

Ads

তিনি বলেন যে, কেন্দ্র এই রেশন প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে 2020 সাল থেকে প্রায় 3 লক্ষ 90 হাজার কোটি টাকার রেশন বিনামূল্যে প্রদান করেছে। সেই স্কিম বন্ধ হয়ে গেলেও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু থাকবে। AAY অর্থাৎ অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনায় প্রতি মাসে সরকারের তরফ থেকে 5 কেজি করে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয় বিনামূল্যে। হিসেব অনুযায়ী, এই প্রকল্পের জন্য 1,118 লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

2013 সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রেশনের খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে 2013 সালের “জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন” – যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য।

কেন্দ্রীয় সরকার 2013 সালে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন তথা National Food Security Act পাশ করান। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য সমগ্র দেশের সকল ব্যক্তির জন্য সরকারী উদ্যোগে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ এবং এ সম্পর্কীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যার মর্যাদার সঙ্গে জীবনধারণের অধিকার সুরক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যশস্য সুনিশ্চিত করা যায়।

খাদ্য সুরক্ষার অধিকারRight to Food Security তথা খাদ্য সুরক্ষা আইনের (4 থেকে 10 অনুচ্ছেদ) প্রত্যেক নাগরিককে খাদ্য সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপনের জন্য স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত খাদ্য সকলের জন্যই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া, খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কে ‘জীবন চক্র’ (Life-cycle) নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাতৃত্ব থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সকলের জন্য পর্যাপ্ত ও সঠিক খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থার উপর নির্ভর করছে খাদ্য নিরাপত্তা ও বিভিন্ন সরকারের দায়িত্ব।

তাছাড়া, ছয় বছর পর্যন্ত বয়স্ক শিশু এবং মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অপুষ্টিজনিত রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, গৃহহীন ব্যক্তি, উদ্বাস্তু, বিপর্যয়ে পড়া মানুষদের জন্য খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। কোন ব্যক্তি বা পরিবার অনাহারক্লীষ্ট হলে উপযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করবার জন্য রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সাপ্তাহিক রাশিফল (26-31শে ডিসেম্বর, 2022) – মেষ থেকে মীন, একবারে দেখে নিন।

সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত খাদ্য পাওয়ার অধিকার তথা Right to Receive Subsidized Food Grains – খাদ্যশস্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দু’টি তালিকা করা হয়েছে—বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত এবং সাধারণ পরিবার। এইভাবে রেশন কার্ডও প্রস্তুত করা হয় এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য অনুসারে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

গণবন্টন ব্যবস্থা তথা Public Distribution System অনুসারে গণবন্টন ব্যবস্থা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ দায়িত্বে পরিচালিত। খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের এবং প্রত্যেক রাজে এই সংগ্রহের। জন্য বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে শস্য-ভান্ডারের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা উভয় সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য ন্যায্য মূল্যের দোকান তথা Fair Price Shop খোলার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।

আবাস যোজনা তালিকার প্রথম তালিকা PDF, নাম তুলতে আর নেতাদের ধরতে হচ্ছে না।

এমন আরও আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। নিজস্ব মতামত আমাদের জানান কমেন্ট বক্সে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রকল্প, চাকরী, ব্যবসা, টেলিকম অফার, অনলাইন আয়, স্কুল, কলেজ, সরকারি খবর, ডিএ আপডেট, LIC সংক্রান্ত নানা বিষয়ে জানতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *