Gold Rate – সোনার দাম 6 মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই সুযোগ হাত ছাড়া না করতে হলে আজই কিনে ফেলুন সোনার গয়না।
সামনেই আসছে উৎসবের মরসুম। আর উৎসব মানেই তো সাজগোজের বাহার। আর তার মানেই সোনার দাম বা Gold Rate দেখে নিয়ে সোনা কেনার প্ল্যান। সাজগোজের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের পছন্দই হলো সোনার গয়না। তাই মানুষের এই ইচ্ছা পূরণ করতে এবার উৎসবের আমেজ পড়তে না পড়তেই তলানিতে গেল সোনার দাম। সেনকো গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড জুয়েলার্সের কর্ণধার শুভঙ্কর সেন বলেছেন, “গত ৬ মাসের মধ্যে এখন নাকি সোনার দাম সর্বনিম্ন স্তরে চলছে।
Gold Rate Today – Gold Price today
প্রতি 10 গ্রাম সোনার দাম। 60 হাজার টাকার গণ্ডির উপর দীর্ঘদিন ঘোরাফেরা করার পর Gold Rate এখন তা কমে 58 হাজার টাকার কাছাকাছি হয়েছে।”
উৎসবের সময় সোনার দামে এই দ্রুতপতন মানুষের সোনার গয়না কেনার আকাঙ্ক্ষা অনেকটাই পূরণ করবে বলে মনে করছেন সেই আধিকারিক। ইতিমধ্যে এই সোনার দাম কমতে না কমতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দোকানগুলিতে মানুষের ভিড় জমা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কারণে অনলাইন বুকিং পরিষেবা চালু করে দিয়েছে পিসি চন্দ্র জুয়েলার্স।
এমনকি তানিশক্ ইত্যাদির মত বড় বড় স্বর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও যোগ দিয়েছে এই বিপ্লবে। সোনার গয়নার উপর আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি। তাই ভবিষ্যতে আবারো সোনা এর দাম বাড়ার আগে এই সুযোগে একটু একটু করে গয়না কিনে রেখে দিন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার ক্রমশ বাড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে অনেকটা প্রভাব পড়তে চলেছে। বিশেষত শেয়ার মার্কেটে এটি বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে। কারণ ফেডারেল ব্যাংক যদি সুদের হার বৃদ্ধি করে তাহলে বিভিন্ন দেশ তথা আমাদের দেশেও রিসার্ভ ব্যাংকের সুদের হারে বৃদ্ধি ঘটবে। ফলে চড়া হবে শেয়ার মার্কেটে সুদের হার।
বিনিয়োগকারীরা তাদের অংশ থেকে ক্রমশ লগ্নি তুলে নিতে শুরু করবেন। ফলে চাহিদা পড়ে যাবে শেয়ার মার্কেটে যা বাড়িয়ে দেবে স্বর্ণ বাজারে মানুষের চাহিদাকে। ঠিক এমনটাই ঘটছে এখন। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের এমডি সোমা সুন্দরম পি আর বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়াম বন্ডের রিটার্ন প্রায় সাড়ে চার শতাংশের ঘরে চলে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্রমাগত লগ্নি তুলে নিতে থাকলে বিকল্প হিসাবে সোনার চাহিদা বাড়বে। সোনার দাম ছ’মাসের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে।
সামনে উৎসবের মরশুম। এই অবস্থায় সোনার বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”
চলতি অর্থবছরে ফেডারেল ব্যাংকের ক্রিয়া কলাপ মারফত যদি শেয়ারবাজারে সূচকের হার এইভাবে পড়তে থাকে তবে আগামী দিনে সোনা জলের দরে বিকোবে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, রান্নার গ্যাসের দাম 300 টাকা কমলো। পুজোর মাসে 600 টাকায় রান্নার গ্যাস।
গত অর্থ বয়সে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ত্রৈমাসিক মেয়াদে আন্তর্জাতিক বাজারে মোট 345 টন সোনা বিক্রি হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বিশেষজ্ঞদের অনুমান চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সোনার বিক্রি যে কোনহারে বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Written by Nabadip Saha.