জিপিএফ নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থ দপ্তর। অর্থ দপ্তরের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী দের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্থাৎ জিপিএফ এবার থেকে অনলাইনে হচ্ছে(GPF Withdrawal). অর্থ দপ্তরের তরফে এই বিষয়টি নিয়েই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে যে, নতুন নিয়মে কিভাবে কাজ হবে, কিভাবে টাকা তোলা যাবে, সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে। শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা জিপিএফ থেকে টাকা তোলা নিয়ে বা নতুন পদ্ধতিতে জিপিএফ উইথড্রল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন(GPF Withdrawal). আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের ডিটেল্সে সেই বিষয়ে বলা হল(GPF Withdrawal).
GPF Withdrawal 2024
অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, নতুন এই পদ্ধতিতে মূলত এখানে তিনটি বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে(GPF Withdrawal) যার মধ্যে প্রথমটি হল, ১) রাজ্যের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা এবার থেকে ঠিক কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জানা যাচ্ছে, একজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি জীবনে কর্মজীবনে জিপিএফ-এর মাধ্যমে যে অর্থ জমা করেন, এবার তার ভিত্তিতে যদি তাঁরা চান, তবে পরে প্রয়োজনে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণত প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা নিজের জমা অর্থ থেকে দুই ধরনের ঋণ নিতে পারবেন। ২) আরো একটি বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে তা হল, একজন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী তাঁর অবসরের আগে জমা অর্থ নয়া পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে তুলতে পারবেন। ৩) আর তৃতীয় হলো, একজন কর্মী অবসরের পরে জিপিএফ-এর টাকা কিভাবে পাবেন।
সেপ্টেম্বরে ডিএ বাড়বে সরকারি কর্মীদের! কতটা বাড়বে মহার্ঘ ভাতা? কত টাকা অ্যাকাউন্টে আসবে কর্মীদের?
GPF Withdrawal New Rule 2024
অর্থ দপ্তরের তরফে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর শিক্ষক মহলের এক বড় অংশের মতে, নতুন করে এই অনলাইনে জিপিএফ সিস্টেমটি(GPF Withdrawal) চালু হওয়ার ফলে কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আবেদনের ক্ষেত্রে আগে যে জটিলতা আসত, এবং টাকা পেতে আগে যে দীর্ঘ সময় লাগত, এই নতুন সিস্টেম চালু হওয়ার পর সেই সকল সমস্যা এবার কমে যাবে। সুবিধা হবে কর্মী দের। শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা এবার থেকে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ প্রয়োজন অনুসারে আরও দ্রুত হাতে পাবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে অনলাইন জিপিএফ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা হয়েছে সরকার আর পক্ষ থেকে। এবার থেকে জিপিএফ -সংক্রান্ত যে কোনও প্রক্রিয়া করতে গেলে একজন শিক্ষক অথবা শিক্ষাকর্মীকে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জমা করতে হবে অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে। দরখাস্ত দিয়ে আবেদন করতে হবে তাঁদের।
আর অনলাইনে দরখাস্ত জমা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে তৈরি করা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মডিউল। তাই সেখান থেকে অনুমোদন পেলে এটি পাঠানো হবে ডিআইদের কাছে। ডিআই এরপর অনুমোদন দিয়ে পাঠাবেন ডাইরেক্টরেট পেনশন প্রভিডেন্ট ফান্ড গ্র্যাচুইটি অথরিটি (ডিপিপিজি)-র কাছে। আর সেখান থেকে অনুমোদন এলে অর্থ সরাসরি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।