High Court: কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের বিরাট নির্দেশ! অবশ্যই জানতে হবে সবাইকে
কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে আবার একটি বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিছুদিন আগেই OBC সার্টিফিকেট বাতিল নিয়ে চারিদিকে হইচই পড়ে যায়। এরই মাঝে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ চিন্তার ভাঁজ ফেলল আমজনতার কপালে? নাকি নতুন নির্দেশ আরও সুবিধা দিল সবাইকে। কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) নতুন নির্দেশ আজকের প্রতিবেদনে প্রধান আলোচ্য বিষয়। কি বলা হল কলকাতা হাইকোর্ট-এর তরফে? আসুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
High Court Rules On Cast Certificate
কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে সমস্ত ওবিসি (OBC) সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়। যার কারণে গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হন সমস্ত চাকরিপ্রার্থী ও ছাত্রছাত্রীরা। ২০১১ সালের পরবর্তী সমস্ত OBC সার্টিফিকেটে গাফিলতি রয়েছে বলে বাতিল করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে যায়।
নতুন করে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে উঠে মামলা। আর যার মাঝে ক্রমাগত ভুক্তভোগী হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের যুবক যুবতীরা। কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে আবার কি নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট? ফের সকলের ভাবনা সেখানেই। আপনারাও নিশ্চয়ই ভাবছেন কি এমন নতুন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট!
বর্তমানে কাস্ট সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলা চলছে আদালতে। যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ঠিক ততদিন নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে না বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। শুধু কি তাই! কলেজে ভর্তি থেকে নতুন চাকরি ক্রমাগত সমস্যার মুখোমুখি চাকরিপ্রার্থীরা। মামলার রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। তবুও মাঝেমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নতুন কোন ঘোষণা হলে সকলেই চিন্তার মেঘ দেখতে পান। আদালতের নতুন নির্দেশ কি বলছে, আসুন এবার সেদিকে মনোযোগ দেওয়া যাক।
হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে কী বলা হয়েছে?
কলকাতা হাইকোর্টের ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত নতুন নিয়ম সারা রাজ্যে এর আগেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে নতুন করে একটি নিয়ম জারি করেছে। নিঃসন্দেহে এই নতুন নিয়ম প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কারণ নতুন নির্দেশ না জানলে বিপদে পড়তে পারেন। হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে এমন একটি কথা বলা হয়েছে যার দ্বারা প্রভাবিত হবেন সবাই। কিন্তু কি বলা হয়েছে? কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি শুনানিতে একটি নতুন নির্দেশ জারি করেছে যা জাতিগত শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে।
যেই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি কোন ব্যক্তি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান তাহলে তিনি আগে যে রাজ্যে বসবাস করতেন সেই রাজ্যের কাস্ট সার্টিফিকেট অন্য রাজ্যে গৃহীত হবে না। কারণ একটি রাজ্যে কোন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট একটি জাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয় বেশ কিছু বিষয়কে বিবেচনা করে। যেমন আর্থসামাজিক অবস্থা, শিক্ষাগত অবস্থায় ইত্যাদি।
নতুন করে বানাতে হবে কাস্ট সার্টিফিকেট!
অর্থাৎ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণ কালে একজন ব্যক্তির কাস্ট সার্টিফিকেট কিন্তু কাজ এই নতুন নির্দেশের পর আর কাজ করবে না। অনেকে আছেন যারা অনেকে আছেন যারা চাকরিসূত্রে বা পড়াশোনার কারণে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণ করেন অথবা এক রাজ্যের বাসিন্দা থেকে নতুন রাজ্যের বাসিন্দা হন। সেক্ষেত্রেও কিন্তু তিনি যে রাজ্যে বসবাস করতেন, সেই রাজ্যের জাতিগত শংসাপত্র নতুন রাজ্যে গৃহীত হবে না।
তার জন্য সেই ব্যক্তিকে আলাদা করে কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতি বছর আলাদা করে কাস্ট সার্টিফিকেট বানাতে হয়। এবার থেকে সেই নিয়ম আরো জোরদার হলো। নতুন রাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করার ক্ষেত্রে ফের নতুন করে কাস্ট সার্টিফিকেট বানানোর আবেদন জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজস্থানের তপশিলি উপজাতির একজন ব্যক্তি কর্মসূত্র এসেছিলেন ছত্রিশগড়ে। নতুন রাজ্যে এসে তিনি তপশিলি উপজাতির দাবি করেন। যদিও ছত্রিশগড় রাজ্যের কাস্ট ত্রুটিনি কমিটির তরফে সেই দাবি মানা হয়নি। তিনি যে তপশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত তিনি বারংবার সেই বিষয়টি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু ব্যক্তির দাবি মানা হয়নি। এরপরই ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সম্প্রতি মামলার শুনানির দিন আদালত নতুন রায় ঘোষণা করেছে। আর সেই রায়ের ফলস্বরূপ নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই নির্দেশ মানতে হবে সবাইকেই। নতুন রাজ্যে গেলে নতুন করে কাস্ট সার্টিফিকেটের আবেদন জমা করতে হবে।