ছুটি (Holiday)

চলতি মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসে ইতিমধ্যেই বেশ অনেক গুলি গুরুত্বপূর্ণ ছুটি ঘোষণা (Holiday) করেছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়েই। যার প্রভাবে মাসের প্রায় অর্ধেক জুড়ে বন্ধ থাকতে চলেছে বিভিন্ন সরকারি স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, ব্যাংক ইত্যাদি। তাই স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ কাজের শেষে এত বিশাল ছুটি পেয়ে আনন্দিত সকল দেশবাসী।

Advertisement

West Bengal Holidays

কিন্তু এই ছুটিগুলো ছাড়াও অতি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে আরও একটি বিশেষ ছুটির। যার ফলে আরও একদিন অতিরিক্ত কাজ থেকে রেহাই পেতে চলেছেন রাজ্যের মানুষ। তবে সরকারের ঘোষণা থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে এই ছুটি কিন্তু সবার জন্য নয়। অর্থাৎ রাজ্যের সকল স্কুল, কলেজ, অফিস, ব্যাংক কিন্তু বন্ধ থাকবেনা এর দরুণ। তাহলে এবার দেখা যাক কবে ঘোষণা করা হল এই বিশেষ ছুটির। কারাই বা পাবে আর কারা পাবে না এই ছুটি (Holiday).

সম্প্রতি ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সেই ভোটের রেজাল্টেই বিভিন্ন গড়মিল থাকার কারণে আবারও কয়েকটি জায়গায় পুনর্নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর মাঝেই আবার ১৫ তম বিধানসভা নির্বাচনের (SC) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ধুপগুড়িতে। আগামী মাসের অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধুপগুড়িতে।

Ads

এই কারণে সেদিন ধুপগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনী এলাকায় Negotiable Instruments Act 1881 অনুসারে এই উপনির্বাচনের দিন সমস্ত সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা, স্থানীয় সংস্থা, কর্পোরেশন ইত্যাদি ছুটি (Holidays) রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।

Advertisement

এই একই দিন এলাকার সমস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেমন দোকান, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিপণনী সংস্থা, কর্পোরেশন বাজার ও অন্যান্য সংস্থাগুলিকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শ্রম বিভাগের তরফ থেকে। এলাকার সকল মানুষ যাতে নির্ভয়ে এবং সুষ্ঠুভাবে কোন ঝামেলা ঝঞ্ঝার ছাড়া এই ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই ব্যাপারটির দিকে নজর রেখেই সরকার সেখানকার সবকিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) DA Case

এছাড়াও যে সমস্ত ব্যক্তিরা বাইরের কোন বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় কাজ করে এবং তাকে সেই উপনির্বাচনের দিন তার কর্মস্থল থেকে ছুটি না দেওয়া হয়ে থাকে, তবে সরকারের মারফত সেই দিনটিতে তার বিশেষ ছুটি ঘোষণা করিয়ে তাকে ভোট দেওয়ার অনুমতি পাইয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পুনঃভোটের ক্ষেত্রে সমস্ত কর্মচারী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সেই ভোটের তারিখটিতে ভোট দেয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

Ads

আরও পড়ুন, ব্যাংকে পড়ে থাকা কোটি কোটি বেনামী টাকা গ্রাহকদের দিচ্ছে, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।

তবে কেবলমাত্র উপনির্বাচনের দিনেই ছুটি নয়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের দিন অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বরও সরকার এক বিশেষ ছুটি ঘোষণা করতে পারে। কারণ পরের দিন উপনির্বাচনের জন্য আগের দিন থেকেই সমস্ত তোড়জোড় শুরু করা হবে। বিভিন্ন স্কুল গুলিতে নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত করা, ভোটকেন্দ্রগুলিকে সাজানো ইত্যাদির জন্য সরকার কর্তৃপক্ষের মারফত সেই দিনও ছুটি থাকবে সকল অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি।

বকেয়া ডিএ পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত সরকারি কর্মীরা, নভেম্বরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

তবে কেবলমাত্র নির্বাচনী এলাকায় এই বিষয়ে ছুটি (Holiday) থাকবে। মাইরের কোন এলাকার কোন স্কুল বা কলেজ বা অফিস ইত্যাদি কিছুই বন্ধ থাকবে না নির্বাচনের আগেরদিন বা পরের দিন। আরো জানতে পশ্চিমবঙ্গ অর্থমন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে এ ব্যাপারে তাদের তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি টি দেখুন।
Written by Nabadip Saha.

Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *