মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত সাফল্য পেতে দেখুন অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বেষ্ট টিপস।
ছাত্র জীবনের উচ্চ স্তরে প্রবেশের প্রথম ধাপ মাধ্যমিক পরীক্ষা। রাত পোহালেই মাধ্যমিক। তারপরে মার্চ মাসে উচ্চ মাধ্যমিক। সমস্ত ছাত্রছাত্রী তাদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করবে বোর্ডের পরীক্ষায়। তবে পরীক্ষার ফলাফলের অনেকটা অংশ নির্ভর করে খাতা সাজানোর উপর। এই প্রতিবেদনে মূলত কীভাবে খাতা সাজাতে হয়, সেই নিয়ে আলোচনা করা হলো।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় সতর্কতার সাথে খাতা চেক করে নিতে হবে, ছোট একটা ভুলের জন্য হতে পারে বড় ক্ষতি।
এক, শর্ট কোয়েশ্চেনের বেশ কিছু বিকল্প দেওয়া হয়। অর্থাৎ সব শর্ট কোয়েশ্চেনের উত্তর করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যদি সম্ভব হয়, সবগুলিই করে আসা উচিত। এর ফলে, যদি একটা-দুটো ভুল হয়েও যায়, তাহলেও পরের উত্তরগুলো দেখে নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। সব সময় মাথায় এটা রাখতে হবে যে এটা মাধ্যমিক পরীক্ষা।
দুই, বড়ো প্রশ্নের ক্ষেত্রে যদি উদাহরণ লিখতে হয়, তবে উত্তর শেষ করে, পরের প্যারাতে উদাহরণ দেওয়া উচিত। যদি কোনো প্রশ্ন যদি পরের পাতাতে উত্তর চলে যায়, তবে পরের পাতায় প্রশ্নের ক্রম দিতে হবে। যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষা তাই প্রত্যেকটি পেজ ভালো করে চেক করে নিতে হবে।
আবার বিষয়ভিত্তিক কিছু পরিবর্তন করতে হবে খাতায়। যেমন, গণিতের ক্ষেত্রে ডানদিকে অবশ্যই রাফ করতে হবে। এর ফলে কোনোভাবে অঙ্ক ভুল অথচ রাফ ঠিক হলেও পার্টমার্ক দেওয়া হবে। আবার জীবনবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ছবি আঁকতে হবে। ভূগোলের ম্যাপ পয়েন্টিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে সূচালো পেনসিলের ব্যবহার করা উচিত। মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতায় এই সব ছোট ছোট ভুলের কারণে নাম্বার কমে যায়।
তিন, পরীক্ষাতে অবশ্যই ট্রান্সপারন্টে বোর্ড ব্যবহার করবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় নতুন পেন একদম নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। কালার চেঞ্জ করার জন্য কালো, নীল, আকাশি রঙের কালি ব্যবহার করা যাবে। তবে লাল এবং সবুজ কালি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহার করা নিষেধ।
চার, যাদের বাড়তি পাতা লাগবে সেগুলোতে পর পর পেজমার্ক করতে হবে। সবশেষে মূল উত্তরপত্রের সাথে সুতো দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
পাঁচ, পরীক্ষায় খাতার দুদিকেই মার্জিন দিতে হবে। এর ফলে খাতাগুলি দড়ি দিয়ে বাঁধার ফলে যদি ধারের অংশ ছিঁড়েও যাও, তাও উত্তর পড়তে কোনো সমস্যা হবে না পরীক্ষকের। এমন আরও আপডেট পেতে দেখতে থাকুন সুখবর বাংলা।
Written by Parna Banerjee.