রাজ্য সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জন্য রাজ্যের সাধারণ মানুষদের জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্প (Shiksashree Scheme) সূচনা করেছেন। খাদ্য, স্বাস্থ্য, আর্থিক, শিক্ষা ও নারীদের সার্বিক উন্নয়নের অনেক ধরনের প্রকল্পই ব্যবস্থা করেছেন যে প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে রাজ্য সাধারণ মানুষ অনেকটি উপকৃত হয়েছেন। এরকম একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হলো শিক্ষাশ্রী প্রকল্প যেটি ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন।
How to Apply Online on Shiksashree Scheme 2024
এই Shiksashree Scheme বা শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যের পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য করা এবং তাদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য এগিয়ে যাওয়ায় অনুপ্রাণিত করা।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জানাবো কিভাবে এই Shiksashree Scheme এ আবেদন করবেন এ প্রকল্পের সুবিধা গুলো কি কি কারা কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন এই সম্পর্কিত নানান তথ্য। তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনের সুখ সহকারে পড়ুন।
শিক্ষাশ্রী প্রকল্পটি কেন সূচনা করা হয়েছে?
2014 সালে এ Shiksashree Scheme এর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সমস্ত সংরক্ষিত শ্রেণি রয়েছে যেরকম এসসি, এসটি সে সমস্ত পিছিয়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য আর্থিক সাহায্য করাই ছিল এই প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য। এস টি, এস সি ছাত্র ছাত্রীরা পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই সাহায্য পেয়ে থাকেন। আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রতি বছর ৮০০ টাকা দেওয়া হয়।
আবেদনের যোগ্যতা
এ প্রকল্পে আবেদনের জন্য কিছু যোগ্যতা দরকার পড়ে। যেমন – প্রথমত পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে তবেই তিনি এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন
দ্বিতীয়ত, পড়ুয়ার পারিবারিক বার্ষিক ইনকাম ৫ লক্ষ টাকা কম হতে হবে।
তৃতীয়ত পড়ুয়াকে সরকার স্বীকৃত প্রাপ্ত স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি ক্যাটাগরি ছাত্রছাত্রী হতে হবে।
চতুর্থত, যারা অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না (Shiksashree Scheme).
প্রয়োজনীয় নথি
- আধার কার্ড,
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি,
- জাতিগত শংসাপত্র,
- পারিবারিক বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র,
- বাসস্থানের প্রমাণপত্র,
- পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ।
আবেদন পদ্ধতি
শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় আবেদন কার যায় দু’ভাবে। প্রথমটা অনলাইনে এবং দ্বিতীয়টা অফলাইনে। অফলাইনে আবেদন করার জন্য আবেদনপত্র তুলতে হবে স্কুল থেকে। তারপর সেই আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে স্কুলেই। তার সঙ্গে জমা দিতে হবে বেশ কিছু নথিপত্র (Shiksashree Scheme).
এছাড়া অনলাইনেও করা যাবে আবেদন।
- প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের অফিশিয়েল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এর জন্য গুগলে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল লিখলে চলবে।
- সরাসরি যেতে চাইলে ক্লিক করুন লিঙ্কে http://www.anagrasarkalyan.gov.in/
- সেখানে গিয়ে ক্লিক করতে হবে ‘শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ অ্যাপ্লিকেশন’-এর ওপরে।
সরকার 12হাজার টাকা দিচ্ছে শৌচাগার বানাতে! এইভাবে আবেদন করলে সবাই পাবে
- এর ফলে যে উইনডো খুলবে, সেখানে আবেদনকারীকে কিছু তথ্য দিতে হবে। দিতে হবে ইউজার টাইপ, নিজের জেলার নাম, সাব ডিভিশনের নাম, ব্লক অথবা মিউনিসিপ্যালিটির নাম, স্কুলের নাম ইত্যাদি। এ বার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
- ওপরের সমস্ত তথ্য দেওয়া হলে লগ ইন-এর অপরে ক্লিক করতে হবে।
- এক বার লগ ইন হয়ে গেলে একটা ড্যাশবোর্ড খুলবে। সেখানে বাঁ দিকে থাকে ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের আবেদনপত্র।
- সেই আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে তারসাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে এরপর সাবমিট করলে আমাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
বাংলার কৃষকবন্ধুরা PM Kisan Yojana তে ২০০০ টাকার সাথে পাবেন আরও একটি সুবিধা।
যারা এই Shiksashree Scheme সম্পর্কে অবগত নন তাদের জন্যই এই প্রতিবেদন। যারা এই মুহূর্তে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ছেন এবং যারা এস সি, এস টি তালিকার মধ্যে পড়ছেন তারা শীঘ্রই এই প্রকল্পে আবেদন করে এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করুন। আরও গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খবরের আপডেট পেতে পেজটি ফলো করে পাশে থাকুন।