টোটো লাইসেন্স (e rickshaw toto license)

এখন থেকে শহরে আর চলবে না গ্রামের টোটো (Toto Service). রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে কি ভাতে মরতে চলেছেন টোটো চালকদের? রাস্তায় রাস্তায় অসংখ্য টোটো (Toto E rickshaw) চলা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তবে এতো লোক বেকার হয়ে পড়বে। আর সেই সুযোগে রাস্তায় অবৈধ টোটো উঠলেই ফাইন দিতে হবে। আর সেই সুযোগে বেফালতু ফাইন নিয়ে হয়রানি হতে পারে। আর এখন যাদের পারমিট বা লাইসেন্স নেই, তাদের কি করণীয় বা কিভাবে লাইসেন্স পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আনার দাবী করেছে, টোটো চালকেরা।

Advertisement

বর্তমানে টোটো হল যাত্রী পরিবহনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। গত ৯ থেকে ১০ বছর ধরে রাজ্যে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে টোটোর সংখ্যা। কারণ কম দূরত্বে যেখানে কোন বড় অথবা মাঝারি গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না সেখানে সহজেই যাওয়া যায় এই টোটোর দ্বারা। তাই দিনকে দিন জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে এই পরিবহন মাধ্যমের।

তবে একদিকে যেমন এর মাধ্যমে মানুষের সুবিধা হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে আবার অসুবিধাও সৃষ্টি হচ্ছে কিছু। বিশেষত টোটো গাড়ির সংখ্যা বাড়ার ফলে রাস্তাঘাট গুলিতে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজটের। টোটোর ভিড়ে রাস্তায় অন্য গাড়িঘোড়া অথবা মানুষজন চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টা রাস্তা জড়ো করে যাওয়া আসা করছে কেবল টোটো গুলিই। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ করছেন পথচারীরা।

Ads

আর এবার তাদেরকে সেই সমস্যা থেকে মুক্ত করতে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যার ফলে যেমন একদিকে সুবিধা হবে রাস্তাঘাটে মানুষ এবং গাড়িগুলি যাতায়াত করার, তেমনি অন্যদিকে রুটি রোজগার বন্ধ হবে না সেই সমস্ত টোটো চালকদেরও।
যানজট সৃষ্টি হওয়ার জন্য রাজ্যের বেশ কয়েকটি পৌরসভা এলাকায় বেশ কিছুদিন আগেই রাস্তাগুলিতে চলাচল করা টোটোর ব্যাপারে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।

Advertisement

সেই সমস্ত শহরের পৌরসভা গুলির কাছে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল যে রাস্তাঘাট গুলিতে নাকি নির্দিষ্ট টোটোর বাইরে গিয়েও বহু টোটো অবৈধভাবে চলাচল করে। আর সেই সমস্ত টোটো চলাচলের ফলে সৃষ্টি হয় ট্রাফিক জ্যাম। এরপর এই অভিযোগ রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের কানে গেলে পরিবহন মন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানান যে এবার থেকে প্রতিটি টোটো ডিলারকে তাদের টোটোর সরকারি নথিভুক্ত করণ করতে হবে।

Advertisement
Click Here

তারপর সরকারের কাছ থেকে টোটো গুলি কে একটি করে কিউআর কোড দেওয়া হবে। সেই কিউ আর কোড মারফত যাচাই করা যাবে কোন অবৈধ টোটো শহরে ঢুকছে কিনা। ফলে অনেকটাই কমবে রাস্তাঘাটে টোটোর ভিড়। যাই হোক, রাজ্যের কিছু শহর এলাকায় বর্তমানে চালু হয়েছে এই নিয়ম। এর মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে যানজট।

Ads

আর এবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এলাকায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পৌরসভা সেখানকার যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিল যে গ্রামের টোটো আর শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এক সাক্ষাৎকারে ওই এলাকার পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, “এখানকার রাস্তাঘাটে সাধারণত যে সমস্ত টোটো গুলি যাতায়াত করে সেগুলি ছাড়াও গ্রামাঞ্চল থেকে এসে বহু টোটো যাত্রী পরিবহন করতে শুরু করেছে বর্তমানে।

টোটোর লাইসেন্স পেতে চান?

যার ফলে ক্রমশ বেড়ে চলেছে ট্রাফিকের সমস্যা। কিন্তু সেই টোটোগুলির যাত্রী পরিবহনের অনুমতি তো আমরা কেড়ে নিতে পারি না। তাহলে তাদের অনেকেই ভাতে মরবেন। তাই রাস্তাঘাটে টোটোর ভিড় এড়াতে এবার থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমস্ত টোটো গুলি কে দু ভাগে চালানোর। দিনে ১৭ ঘণ্টা চলতে অনুমতি দেওয়া হবে টোটো গাড়ি গুলিকে।

আরও পড়ুন, SBI গ্রাহকদের সুখবর। পুজোর আগেই দুর্দান্ত ঘোষণ করলো স্টেট ব্যাংক। শুনলেই আনন্দে লাফাবেন।

যার মধ্যে ৯ ঘন্টা চলবে সেই শহর এলাকার টোটো গুলি। আর বাকি ৯ ঘন্টা চলবে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা টোটো গুলি। ফলে এতে একদিকে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হবে না অন্যদিকে রুটি রোজগার বন্ধ হবে না কোন টোটো চালকের।”
Written by Nabadip Saha.

Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *