চাকরির সাথেই পকেট মানি দিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা, আসবে Extra income.
চাকরি বলতে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ যেকোনো একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। আর এই মুহূর্তে দেশজুড়ে অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থার চাকরির মাইনে নিতান্তই সামান্য। কারণ যে পরিমাণে দোকান বাজারের জিনিসপত্রের দাম, যেভাবে প্রতিদিন বাজারদর চড়চড়িয়ে বাড়ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তুলনামূলকভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলো তাদের অধিকাংশ কর্মীদেরই সামান্যই মাইনে দিয়ে থাকে।
সরকারি চাকরির কথা ছেড়ে দিন। আছে মাসের শেষে মোটা টাকার মাইনে, তার উপরে বোনাস, পেনশন ডিএ। ফলে সরকারি চাকরির কথা আলোচনায় রাখা হচ্ছে না। সাধারণত মানুষেরা যে সমস্ত চাকরি করেন, সেই চাকরিতে সংসার চালানো প্রায় দুষ্কর। ফলে সকলেই চিন্তা করেন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার জন্য কোনো সাইড ইনকাম (Extra Income) করা যায় কিনা। এই চিন্তা ভাবনা থেকে সম্প্রতি অনেকেই চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বা কাজ করছেন।
যার ফলে একটু বেশি উপার্জন হতে পারে। যারা এই মুহূর্তে চাকরি করছেন, তার সঙ্গে সাইড বিজনেস (Side Business) হিসেবে কোনো একটি ব্যবসা করতে চান, তাদের জন্যই এখানে একটি নতুন ব্যবসার সম্বন্ধে জানানো হবে। তাছাড়া অনেক চাকরিতে অন্য কাজ করার অনুমতি থাকেনা।কিন্তু যেহেতু এটি ফারমিং বিজনেস, তাই এই কাজ (Extra Income) করতে কোনও অনুমতি লাগবেনা। যে ব্যবসায় যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি বিনিয়োগের পরিমাণও যথেষ্টই কম। আবার এই ব্যবসায় সরকারি ভর্তুকিও মিলবে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কি সেই ব্যবসা?
How to Make Extra Income While Working Full-time:
ব্যবসার নামঃ
ব্যবসাটি হলো, মুক্তো চাষের ব্যবসা (Pearl Farming Business)
এই মুক্তো চাষের ব্যবসার জন্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে সরকার। সামান্য বিনিয়োগে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই ব্যবসা শুরু করা যায়।
কিভাবে শুরু করবেন?
এবার জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে মুক্তো চাষ (Pearl Farming Business) শুরু করা যায়:
এই ব্যবসার জন্য প্রথমে একটি পুকুরের প্রয়োজন। পুকুর খনন করার জন্য সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকিও পাবেন। দেশের মধ্যে দক্ষিণ ভারত এবং বিহারের দারভাঙ্গায় ভালো মানের ঝিনুক পাওয়া যায়। তবে মুক্তো চাষের ব্যবসা করতে হলে প্রশিক্ষণ দরকার। সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় মুক্তো চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল।
আধার কার্ড নিয়ে নয়া নির্দেশ, এই কাজ না করলে বতিল হবে কার্ড, প্রকল্পের টাকা পাবেন না।
কোন পদ্ধতিতে ঝিনুক তৈরি করা হয়:
প্রথমেই ঝিনুককে একটি জালে বেঁধে মুক্তো চাষের জন্য পুকুরে ১০ থেকে ১৫ দিন রেখে দেওয়া হয়। এতে তাদের নিজস্ব পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তারপরে সেগুলি বের করে অস্ত্রোপচার করা হয়। তারমানে ঝিনুকের ভিতরে একটি কনা বা ছাঁচ ঢোকানো হয়। ছাচে প্রলেপ দেওয়ার পরে ঝিনুকের স্তর তৈরি করা হয়। যাতে পরে মুক্তোতে পরিণত হয়।
জাগো প্রকল্পে আবেদন করলেই পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা পাবেন প্রতিমাসে 5 হাজার টাকা।
আয়ের পরিমানঃ
এবার জেনে নেওয়া যাক, মুক্তো চাষ করে কত আয় (Extra Income) হতে পারে (How much Income from Pearl Farming Business):
একটি ঝিনুক থেকে দুটি মুক্তো বের হয়। একটি মুক্তো কম বেশি ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। ৫০০ ঝিনুক তৈরি করতে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার এক একরের পুকুরে ২৫ হাজার ঝিনুক রাখলে প্রায় 8 লাখ টাকা খরচ হবে। এরমধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি ঝিনুক পাওয়া গেলেও সহজেই ৩০ লাখ টাকা প্রায় উপার্জন করা সম্ভব। ফলে চাকরির পাশাপাশি মুক্তো চাষের ব্যবসা যথেষ্ট দুর্দান্ত Extra Income Ideas বা সাইড বিজনেস।
Written by Shatadal.