কৃষক বন্ধু প্রকল্পের বিরাট আপডেট, না জানলে বন্ধ হতে পারে একাউন্টে টাকা ঢোকা! বিস্তারিত দেখুন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের এলো বিরাট আপডেট। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার অনুদান এবং জীবন বীমার সহায়তা প্রদান করে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কৃষকদের ২ লাখ টাকা জীবনবীমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি খরিফ এবং রবি চাষের আগে দুটি কিস্তিতে সর্বাধিক দশ হাজার টাকা করে অনুদান পেতে পারেন কৃষকরা। তবে এবারে বেশ বড় রকমের পরিবর্তন করা হচ্ছে এই প্রকল্পে। চলুন, তবে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প নিয়ে বড়ো আপডেট এলো। জানুন বিশদে।
রাজ্যের কৃষকদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সূচনা করেন। দুই বছর পরে, ২০২৩ সালে এই প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার। মূলত প্রকল্পে আবেদনের প্রক্রিয়া এবং কৃষকদের প্রাপ্ত সুবিধায় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের কৃষকদের জন্য নেওয়া একটি প্রকল্প হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক একর বা তার বেশি পরিমাণে জমি রয়েছে এমন কৃষকদের বসল ফলানোর জন্য সার, কীটনাশক কেনা, বপনের বীজ কেনা, গাছ রোপণ এবং চাষের জমিতে জল দেওয়ার জন্য বছরে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পের আওতাধীন কৃষকদের মধ্যে কারোর মৃত্যু হলে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জীবনবীমাও প্রদান করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি ২০২৩ সালের নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান, তবে আপনাকে নিম্নলিখিত শর্তগুলো মানতে হবে।
১. এখানে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২. এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ইচ্ছুক ব্যক্তিদের পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
৩. এই প্রকল্পে নাম তোলার জন্য আবেদনকারীর নামে জমির পাট্টা/পর্চা অবশ্যই থাকতে হবে।
৪. যিনি আবেদন করছেন, তার নামে জমি না থাকলে স্ব-ঘোষণা পত্র ও পঞ্চায়েত প্রধানের সুপারিশ করা শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য যেসব নথিপত্র লাগবে, তা হল-
১. আধার কার্ডের জেরক্স।
২. ভোটার কার্ডের জেরক্স।
৩. আবেদনকারীর ব্যাঙ্কের প্রথম পাতার জেরক্স।
৪. পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ফটো।
৫. আবেদনকারীর জমির পর্চা/পাট্টার কপি।
এই ব্যাংকে টাকা রাখলেই 9.5% হারে সুদ, সুযোগ হাতছাড়া হয়ে না যায়! বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
৬. আবেদনকারীর ফোন নম্বর যেটি ব্যাঙ্কের সাথে যুক্ত রয়েছে।
৭. জমির স্ব-ঘোষণা পত্র এবং প্রধানের সুপারিশকৃত শংসাপত্র (প্রযোজ্য হলে)।
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মটি আপনার কাছাকাছি কৃষি অধিকর্তার কাছে অথবা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস অথবা পঞ্চায়েত অফিসে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, দুয়ারে সরকারের যে ক্যাম্প গুলি হয়, সেখানেও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদনের ফর্ম পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বাংলা আবাস যোজনার টাকা পেতে এইভাবে আবেদন করুন।
নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে চাইলে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদনের ফর্মটি সংগ্রহ করে যথাযথ ভাবে নিজের সমস্ত ডিটেইলস দিয়ে পূরণ করতে হবে। সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি এবং ছবি জুড়ে দিয়ে, যেখান থেকে ফর্মটি সংগ্রহ করেছেন, সেখানেই জমা করে দিতে হবে।
Written by Parna Banerjee.