সারা দেশে চালু হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি তথা National Education Policy. এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য শিক্ষানীতির প্রস্তাবনা পেশ হয়েছে। আর এক দিকে যেমন সময়ের সাথে শিক্ষার অধিকার ও নিয়ম কানুন সমস্ত কিছুরই পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে, ঠিক তেমনি আধুনিক বা সমসাময়িক প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই Education Policy চালু হয়েছে। আর সেখানে ও ভর্তি প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্ট নিয়ে নিয়ম করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যখন স্কুল, কলেজ বা অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে যান, তখন প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক।
National Education Policy
কারণ এই সমস্ত নথি ভর্তি অথবা আবেদনের সময় দরকার পড়ে। এই সকল নথিপত্র গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বার্থ সার্টিফিকেট, ছবি, যেকোনো একটি পরিচয় পত্র, আগের ক্লাসের মার্কশিট ইত্যাদি। তবে অনেক স্কুলেই ভর্তির (School Admission) আগে আধার কার্ড (Aadhaar Card) জমা দেওয়া কে বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়। এই নিয়মেই এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্ট।
বলা হলো যে এখন থেকে স্কুলে ভর্তি হতে গেলে ছাত্র ছাত্রীদের আধার কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক আর করা চলবে না। তারা যদি চায় দিতে পারে অথবা না চাইলে স্কুলকে মেনে নিতে হবে সেই সিদ্ধান্ত। কোর্ট মনে করে যে ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত প্রমাণপত্র চাওয়ার মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার হরণ করার আচরণ করে।
তাই এবার থেকে এই নিয়মকে অমূলক ঘোষণা করলো হাইকোর্ট। তবে কোর্ট মারফত এটিও জানানো হয়েছে যে সবার জন্য চালু করা হয়নি এই নতুন নিয়ম (Education Policy). কেবলমাত্র যে সকল পড়ুয়ারা আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত তাদের জন্যই এই আধার কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
2022 সালে দিল্লির একটি সরকার স্বীকৃত অনুদানবিহীন স্কুল জানিয়েছিল যে সেখানে ভর্তি হতে গেলে নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের আধার কার্ড জমা রাখতে হবে। আধার কার্ড যারা সেখানে কোন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। বিষয়টি খারাপ লাগে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের পরিবারের কাছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন, অক্টোবর মাসেই পুজোর আগে আবার 2 দিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস! পশ্চিমবঙ্গে ফের অকাল ছুটি!
যদিও পরে তা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায়। যাইহোক, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার সিঙ্গেল বেঞ্চে ওঠে এই মামলাটি। সেখানে জানানো হয় যে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী স্কুলের Education Policy এর এই নিয়ম নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবিধানের ২১তম মৌলিক অধিকার ‘ব্যক্তিগত জীবন এবং স্বাধীনতার অধিকার’ কে ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন, প্রচুর APL রেশন কার্ড BPL করে দিচ্ছে। BPL হলেই পাবেন ডবল রেশন। মোবাইল থেকে কিভাবে করবেন?
তাই এবার থেকে কোনোভাবেই মানতে হবে না এই নিয়ম। অর্থাৎ এখন থেকে আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত সকল পড়ুয়াদের দিল্লির যে কোন স্কুলে ভর্তি হতে গেলে আধার কার্ড ছাড়াও তাদের ভর্তি নেওয়া হবে।
Written by Nabadip Saha.