Space Science: স্কুলে স্কুলে মহাকাশ বিজ্ঞান পড়ানোয় জোর। নীতিমালা তৈরি করছে শিক্ষা মন্ত্রক
Space Science In School Syllabus

প্রযুক্তিতে এগিয়ে চলেছে ভারত। ইসরোর মুকুটে জুড়ছে একের পর এক নতুন পালক। তাই এবার স্কুলে স্কুলে মহাকাশ বিজ্ঞান (Space Science) পড়ানোয় জোর দিচ্ছে সরকার। আর তার জন্যই প্রস্তুত করা হচ্ছে নীতিমালা। দেশের ছাত্রছাত্রীদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলার জন্য বর্তমানে মহাকাশ সম্পর্কিত বিজ্ঞান পড়ার প্রয়োজনীয়তা দেখছে শিক্ষা মন্ত্রক। আর সেই অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে পরিকল্পনা।
NCERT Launches Space Science In School Syllabus
১৯৬২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে ভারতে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই। গড়ে ওঠে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ। যে সংস্থাটি ১৯৬৯ সালে নাম বদলে হয় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজ়েশন বা ইসরো (ISRO).
১৯৭৫ সালের প্রথম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’ থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের নভেম্বরে ‘মঙ্গলযান’ সফল উৎক্ষেপণ। ২০২৪ সালে প্রথম চেষ্টায় সফল ভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে স্থাপন, ২০২৫ শুভ্রাংশু শুক্লার সফল মহাকাশ সফর ইসরোর ৫০ বছরের ইতিহাসে একাধিকবার সাফল্যের মুকুট পড়েছে ইসরো।
ভারতে বসবাসকারী ছেলেমেয়েদের এই বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও শিক্ষিত করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এনসিইআরটি (NCERT Syllabus). ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ মডিউল। তাতে উল্লেখ রয়েছে ইসরোর কার্যক্রম, আগামীদিনে কী ধরনের অভিযান হতে চলেছে, সেই সমস্ত বিষয়ে।
শিক্ষক শিক্ষিকারা কী বলছেন?
স্কুল স্তরের সিলেবাসে মহাকাশ বিজ্ঞান যুক্ত হলে তাতে আদতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালই হবে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা। তাঁরা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত। আগামী দিনে উন্নতি করার জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন আজ থেকেই। শিক্ষকেরা মনে করছেন, অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ করায় আগ্রহী হবেন।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে গত কয়েক বছর ধরে ডেটা সায়েন্স বা কৃত্রিম মেধার মতো বিষয়গুলি পড়ানো হচ্ছে। তবে রাজ্যস্তরের সিলেবাসে আলাদা করে মহাকাশ বিজ্ঞান যুক্ত করা হয়নি। আপাতত ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উপসংহার
তবে কিছু বিতর্কও রয়ে গিয়েছে। যেমন বলা হচ্ছে এনসিইআরটি-র ওই মডিউলে ইসরো ও নাসার প্রথম যৌথ উদ্যোগে তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ‘নিসার’-এর উল্লেখ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোন বিজ্ঞানীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এই বিশেষ উদ্যোগে রাজ্যের দুই বাঙালি বিজ্ঞানী কৌশিক মণ্ডল ও বিমল ভট্টাচার্যের বিশেষ ভূমিকা ছিল। যা উল্লেখ করা অবশ্যই প্রয়োজন ছিল।



