ওষুধের দোকান বা Medical Store Business করে প্রতি মাসে দারুণ আয়ের সুযোগ জানলে আপনি হয়তো আগামীকাল থেকেই উঠে পড়ে লাগবেন এই নতুন ধরণের ব্যবসা করার জন্য। তবে তো আপনাকে এই ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে। সঠিক ব্যবসা করা পদ্ধতি জানা থাকলে যদিও যেকোনো ব্যবসা করেই মাসে ইনকাম করা যাবে মোটা অংকের টাকা। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরো বিষয়টি।
Medical Store Business অনেক বেশি লাভজনক ব্যবসা।
Medical Store Business সংক্রান্ত ব্যবসা করতে গেলে এই বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে বেশ ভালো হয়। নিজের ব্যবসা সম্পর্কে নিজের কাছে ধারণা পরিষ্কার থাকলে ব্যবসা বুঝতে এবং বোঝাতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। ফলে অপৎকালীন যেকোনো পরিস্থিতিতেই যে কোন ধরণের সমস্যার তৎকক্ষণাৎ সমাধান পাওয়ার বিষয়টি হয়ে জয় খুবই সহজ আর দ্রুত।
সমাজে নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব হতেই থাকে। এছাড়া জনসংখ্যা রোজ দিন বেড়েই চলেছে, তা সে শহর হোক বা গ্রাম। এছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হবার ফলে মানুষের কাছে এই Medical Store Business করে মেডিসিন পৌঁছে দেওয়া আরো বেশি সহজ হয়েছে। সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে সামান্য ইনভেস্ট করেই শুরু করতে পারেন এই নতুন ধরণের ব্যবসা।
বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে যা ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া বিক্রি করা যায় না। আবার অনেক ঔষধ আছে যা সাধারণ মানুষ নিজের প্রয়োজনে মেডিকেল স্টোর থেকে গিয়ে কিনে আনতে পারেন। এমন ধরণের দোকান গুলিকেই বলা হয় মেডিকেল স্টোর। তবে কিভাবে খুলবেন এই Medical Store Business! চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ বিষয়টি।
এই Medical Store Business করার 2 টি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো বড় ধরণের ব্যবসা। যেখানে আপনাকে কোন একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করতেই হবে। তার সার্টিফিকেট এর ওপরে ভিত্তি করে আপনাকে ব্যবসা করতে হবে। আর এমন হতে পারে যে, আপনি নিজেই ফার্মাসিস্ট কোর্স করে নিয়ে শুরু করতে পারেন এই নতুন ধরণের ব্যবসা। তবে এই ব্যবসায় সার্টিফিকেট থাকা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
নতুন ব্যবসা, বিরাট লাভ। ছোট্ট মেশিন কিনে এই ব্যাবসা শুরু করলে কাস্টোমার হামলে পড়বে।
এই ফার্মেসি কোর্সের 3 টি ধাপ আছে। একটি হচ্ছে D Pharma, B Pharma এবং M Pharma. অর্থাৎ ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স কোর্স। এই কোর্সের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে Physics, Chemistry আর Math, Biology বিষয়গুলি নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। এর যেকোন একটি কোর্স করতে পারলেই আপনার সমস্যা সোমাফহান হয়ে যাবে। এর পর আপনাকে লাইসেন্স পাবার জন্য করতে হবে আবেদন। আর লাইসেন্স হয়ে গেলেই নিজের নামে শুরু করতে পারবেন এই নতুন ধরণের ব্যবসা।
স্বল্প পুঁজিতে শুরু করুন লাভজনক এই ব্যবসা। ঘরে বসে ইনকাম। বিশদে দেখে নিন।
এই ব্যবসা খুলতে গেলে শুরুতে সব মিলিয়ে 5-6 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করতে হয়। এই ইনভেস্টমেন্ট করে প্রতিমাসে প্রায় 1 লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। ওষুধের দোকানের ব্যবসা করতে খুব সহজেই লোন পেয়ে যাবেন। তবে এই ব্যবসা অনেকেই করতে চান না। তার প্রধান কারণ, লাইসেন্স, ফার্মাসিস্ট কোর্স করা এবং ইনভেস্টমেন্ট। আপনি দোকানে কোন ধরণের ঔষধ রাখবেন, কোনটি আপনার এলাকায় বেশি প্রচলিত সেগুলি দেখে নিতে হবে। কাস্টমার ফেরানো যাবে না।
এমন আরো নানা ধরণের ব্যবসার আইডিয়া পেতে দেখতে থাকুন সুখবর বাংলা। আমাদের ওয়েবসাইটে এমন নতুন ধরণের ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া আছে। সেগুলি দেখলেই আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপনি আপনার মতামত জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
Yes job ta korbo