স্কুলের PM Poshan Mid Day Meal তথা মিড ডে মিল স্কীম নিয়ে বিরাট উদ্যোগ। এখন থেকে Mid Day Meal নিয়ে আর হবেনা কোনো দুর্নীতি। ভালো ভালো পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে সকলকে। সেই সঙ্গে খাবারের পরিমাণও বাড়বে। কোন বাচ্চা যাতে পুষ্টির অভাবে না অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা খাবার খাওয়ার কথা চিন্তা করে তাদের পড়াশোনা অবহেলিত না হয়, সেজন্যেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া। সাধারণত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু হয় এই মিড ডে মিল প্রকল্প।
New Mid Day Meal Scheme Launched in West Bengal.
যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা ঘরে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া পায় না তাদেরকে সঠিকভাবে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এই ব্যবস্থায় হাজারো দুর্নীতি দেখতে পাওয়া যায়। পুষ্টিকর খাবার তো অনেক দূরে থাক, পড়ুয়াদের পরিমান মত খাবারও প্রদান করা হয় না Mid Day Meal এ। এমনটা বহুবার অভিযোগ জমা পড়েছে সরকারের কাছে। আর এই দুর্নীতি রুখতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার।
এতদিন পর্যন্ত Mid Day Meal এ মাত্র এক বারই খাবার পেত ছাত্রছাত্রীরা। নতুন বছরে প্রস্তাব এসেছে যে এবার থেকে স্কুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকালের ব্রেকফাস্ট ও প্রদান করা হবে মিড ডে মিলের মাধ্যমে। অর্থাৎ দুপুরের খাবার তো দেওয়াই হবে, সেই সঙ্গে বাড়তি যুক্ত হবে সকালের ব্রেকফাস্টটিও। এই নতুন উদ্যোগের নাম রাখা হয়েছে ‘সকালের পুষ্টি সকলের পুষ্টি’। এই ধরনের অভিনব উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসা লাভ করেছে সকলের কাছেই। আর এই স্কীম চালু হলে সত্যিই সুবিধা হবে পড়ুয়াদের।
রাজ্যে আবার শুরু হলো নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন প্রক্রিয়া। 10,000
কোন স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য?
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার শ্যামশায়ুর অঞ্চলের শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর তরফ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের স্কুলেই এই প্রথম এমন অভিনব চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে রাজ্যের কোন স্কুলে এমনটা করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের স্কুলে এমন অনেক বাচ্চা আসে পড়াশোনা করতে যারা সকলের খাবার না খেয়েই আসে। দুপুরে একেবারে Mid Day Meal এর খাবার পায় তারা।
এক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে। অপুষ্টি ঘটে অনেক বাচ্চার। সেই কারণেই এবার থেকে মিড ডে মিল নিয়ে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, তাদের তরফ থেকে এই যে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার জন্য সরকারের তরফ থেকে কোন অর্থ সাহায্য পাবেন না তারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগতভাবেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করলো রাজ্য সরকার, কি কি সুবিধা পাবেন পশ্চিমবঙ্গের জনগণ?
এজন্য বছরে অন্ততপক্ষে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। এই টাকা তারা পুরোপুরি স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা মিলে জোগাড় করছেন। এই মিড ডে মিল প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক বছর খরচের অর্ধেক অর্থাৎ দেড় লক্ষ টাকা দেবেন স্কুলের শিক্ষিকা লাবণ্য রায়। বাকি টাকা দেবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী এবং তার বন্ধু ডঃ রাসবিহারী ধনী।
Written by Nabadip Saha.