Primary TET 2014 সালে চাকরী পাওয়া সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের আবার ভেরিফিকেশন করার নির্দেশ, কি কি ডকুমেন্ট লাগবে, Breaking News.

Primary TET 2014 সালে চাকরী পাওয়া সমস্ত শিক্ষকদের আবার ভেরিফিকেশন হবে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা (Primary TET 2014) নিয়ে হাইকোর্টে একের পর এক নজিরবিহীন রায় শোনাচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার তদন্তের দায়ভার সিবিআই-এর উপর দেওয়ার পর থেকে ফাঁস হচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন কয়েকশো প্রাথমিক শিক্ষক। শুধু তাই নয় দেওয়া হয়েছে প্রাপ্ত বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও।

এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করা হয়েছে সিবিআই এর পক্ষ থেকে (Primary TET 2014)। সেই তথ্য সিবিআই-কে দেবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এই মর্মে গত ১৬ জুন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, সিবিআই-কে সমস্ত তথ্য তুলে দিতে হবে। তাই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যে সমস্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি পেয়েছেন তাদেরকে তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে সিবিআই-এর কাছে জমা দেওয়ার জন্য ১০ টি তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলি হল-
১) নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি,
২) যোগদানের রিপোর্ট, (Primary TET 2014)
৩) ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড,
৪) টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য,

প্রাইমারী টেট মামলায়, পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য কে অপসারনের নির্দেশ

৫) সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট,
৬) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণের শংসাপত্র,
৭) জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে),
৮) পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ‘প্যারাটিচার এগেজমেন্ট লেটার’, (Primary TET 2014)
৯) আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার সংশাপত্র (যদি থাকে),
১০) ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, এক্ষেত্রে সেটিও জমা দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে।

এদিন কার্যত বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিক থেকে স্বীকার করে নেন শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কিছুটা গলদ থেকে গেছে। এদিন তিনি বিধানসভায় বলেন, ‘‘শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টির ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব।’’ (Primary TET 2014)

প্রয়োজনে গরমের ছুটি আবার বাড়তে পারে, আজ আদালতে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল মহাশয় বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে আজ বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই অপরাধীদের শাস্তি চাই।’’ (Primary TET 2014)

এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে আরও কোনো প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি থেকে বরখাস্ত হন কি না। প্রতিদিন নিত্যনতুন খবরের আপডেট করতে চালু করতে ভুলবেন না এই ওয়েব পোর্টালটি।
Written by Manisha Basak.

রাজ্যের বিভিন্ন পদে ২৭ হাজার কর্মী নিয়োগ, যেকোন যোগ্যতায় করা যাবে আবেদন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button