Primary TET Court Case – প্রাথমিকে আরো 7 হাজার টেট পাশ প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশ, কলকাতা হাইকোর্টের।

Primary TET Court Case – টেট কেলেঙ্কারিতে নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে কি এবার চাকরি পাবেন আরো 7 হাজার টেট প্রার্থী?

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Primary TET Court Case) একের পর এক রহস্যের পর্দা উন্মোচন করছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে শতাধিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা বরখাস্ত হয়েছেন চাকরি থেকে। শুধু তাই নয় চাকরি থেকে বরখাস্ত এরপর যোগাতে হবে বেতন প্রাপ্ত সমস্ত টাকা। সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত রেজাল্ট অনুযায়ী এমন তালিকায় এসেছে ২৬৯ জন শিক্ষকের নাম।

চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে এই দুর্নীতির মামলা (Primary TET Court Case) দায়ের করা হয়। এবং সেখানে বলা হয় কিভাবে সাদা খাতা জমা দেওয়ার সত্বেও তারা এই চাকরি পেলেন? অন্যদিকে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, “সংখাটা শুধুমাত্র ২৬৯ নয়, বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল আরও অনেককেই।” প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন ওঠে,কেমন করেই বা শুধুমাত্র এই কয়েকজনকেই পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে পাস করানো হলো?

প্রত্যুত্তরে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, উক্ত প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় তাতে নাম্বার বাড়ানোর দাবিতে ২৭৮৭ টি আবেদনপত্র জমা পড়ে এবং তারই ভিত্তিতে ২৬৯ জনকে দেওয়া হয় পরীক্ষায় অতিরিক্ত ১ নম্বর। যার জন্য তারা পাস করেন। এখানেই এজলাসে প্রশ্ন ওঠে বাকি প্রার্থীরা কেন সেই বাড়তি নম্বর পেলেন না। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর তার ভিত্তিতে ২০১৬ প্রকাশিত হয় ফলাফল।

২০১৭ সালে সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপর পুনরায় ২০১৭ সালের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই তালিকায় নাম ছিল সেই ২৬৯ জনের। তবে আশ্চর্যজনকভাবে পর্ষদের তরফে (Primary TET Court Case) জানানো হয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদের কাছে নেই! তবে রাজ্যের তরফ থেকে এমন উত্তর আশা করেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বাড়িতে বসে অনলাইনে মাত্র এক ঘন্টা কাজ করে আয় করুন প্রতিদিন 3 হাজার টাকা।

অন্যদিকে বিচারপতির থেকে এমন নির্দেশও আশা করেনি রাজ্য। যার ফলস্বরূপ সিঙ্গল বেঞ্চকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাননীয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার মহাশয়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলা (Primary TET Court Case). আগামী সোমবার রয়েছে এই মামলার শুনানি। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও অবধি ১৬,৫০০ টি শূন্যপদের মধ্যে মাত্র ৯৬০০ টি পদে প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। তাই মামলাকারী প্রার্থীরা শূন্যপদ পূরণের দাবিতে দায়ের করেন মামলা।

শুনানিতে তারা জয় প্রাপ্ত হলে আরো ৭০০০ শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ হতে পারে। অন্যদিকে এও জানতে চাওয়া হতে পারে কেন ১৬৫০০ টি শূন্যপদের মধ্যে ৯৬০০ টি পদে নিয়োগ করে হয়েছে। বাকি প্রায় ৬৯০০ জন প্রার্থীর নিয়োগ কেন হলো না। ইতিমধ্যে এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ (Primary TET Court Case) দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সিবিআই এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাইমারি বোর্ড অফিসের সার্ভার রুমে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত রয়েছে একাধিক তথ্য। যার ভিত্তিতে গত ১৭ জুন সিবিআই আধিকারিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য হানা দেন সেই অফিসে।

চাকরি যেতে পারে আরো 5000 প্রাথমিক শিক্ষকের, দ্বিতীয় লিস্টে নজিরবিহীন দুর্নীতি ফাঁস

এখন এটাই দেখার আগামীদিনে মামলার (Primary TET Court Case) ফলাফল কোন দিকে যায়। আদৌ কি নিয়োগ হবেন বাকি যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা? প্রশ্ন রয়েছে সকলের মনে। প্রতিদিন এমন নিত্যনতুন খবরের আপডেট পেতে ফলো করতে ভুলবেন না সুখবর বাংলা ওয়েব পোর্টালটি।
Written by Manisha Basak.

মাধ্যমিক পাশে বিনা পরীক্ষায় রাজ্যে নিয়োগ হতে চলেছে প্রায় 2600 জন সরকারী কর্মী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button