রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য খুব শীঘ্রই দারুন সুখবর দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Provident Fund). রাজ্য জুড়ে বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন চাকরি থেকে। এরই মাঝে খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বদলি হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা JPF এর সুদের অর্থ পেতে চলেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষে দিকেই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করতো পারে রাজ্য সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে হাই স্কুল লেবেলে জেনারেল ট্রান্সফার চালু করা হয়েছিল।
General Provident Fund
এরপর ২০১৯ সাল নাগাদ তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে স্পেশাল ট্রান্সফার সিস্টেম চালু করেন। এর ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের পোর্টালও চালু করে রাজ্য সরকার। এখানেই শেষে নয়, শিক্ষকদের বদলি সিস্টেম আরও সহজ করে তুলতে ২০২১ সালে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালু করা হয়।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বদলি হওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে উঠলেও জিপিএফ নিয়ে একটি সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী বদলি হওয়ার সাথে সাথে বদলি করা হয় জিপিএফ (Provident Fund) এর অ্যাকাউন্ট। তবে এই জিপিএফ এর সুদ কিন্তু এতদিন পাচ্ছিলেন না শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে।
Primary TET শিক্ষক নিয়োগের নতুন মেরিট লিস্ট প্রকাশ! আদালতে ফের মামলা। আদৌ নিয়োগ হবে তো?
এরপরই বিষয়টি অর্থ দপ্তরকে জানায় স্কুল শিক্ষা দপ্তর। অর্থ দপ্তর JPF-র সুদ মিটিয়ে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এরপরই রাজ্যের বদলি হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের JPF-র বকেয়া সুদ মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। রিপোর্ট বলছে ২০১৯ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল গুলিতে ৬০ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী বদলি হয়েছে।
বদলি হওয়ার পর থেকে জিপিএফ এর অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হতে সময় লেগেছে আরও ৩/৪ বছর। কিন্তু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হলেও মেলেনি Provident Fund -এর সুদ। সুদ বাবদ পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৬ মাসের টাকা। বাকি টাকা কেন দেওয়া হয়নি? এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি ডিআই অফিস থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষা দফতরে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে।
বকেয়া DA বৃদ্ধি নিয়ে বড় খবর। সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশিতে লাফাচ্ছেন সকলে।
সেখানে জিপিএফ-র বকেয়া সুদের অর্থ দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বারুইপুর হাই স্কুলের বদলি হওয়া শিক্ষক প্রণবকুমার পাইন জানিয়েছেন, “শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুল বদলির কয়েক বছর বাদে জিপিএফ অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা হয়। সেখানে শুধুমাত্র ছ’মাসের সুদ দেওয়া হয়েছিল বাদবাকি দেওয়া হয়নি। সরকার যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা হলে উপকৃত হব।”