RBI এর নির্দেশে আজ থেকে বদলে গেল সমস্ত ATM Card ব্যবহারের নিয়ম, না মানলে ফাইন অনিবার্য।

ATM Card এর ব্যবহারে এখন থেকে চালু টোকেন পদ্ধতি।    

RBI সর্বদাই ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে সুরক্ষার কথা ভেবে নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসে। এবারে অক্টোবর থেকে দেশের ATM Card এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোকেন পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্ত রকম লেনদেন করল আগের থেকে আরও সুরক্ষিত। আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে দেখে নেই যে কিভাবে আপনি এই পদ্ধতির ব্যবহার করবেন?

কি এই ATM Card টোকেনাইজেশন?
টোকেনাইজেশন হল ক্রেডিট/ডেবিট/প্রিপেইড কার্ডের বিস্তারিত বিবরণ গুলিকে নতুন কিছু নম্বর এর দ্বারা অর্থাৎ একটি ‘টোকেন’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার একটি ব্যাকএন্ড প্রক্রিয়া। এর ফলে প্রত্যেকটি অনলাইন পেমেন্ট হবে নিরাপদ এবং এক্ষেত্রে আপনার কার্ডের সকল গোপনীয় বিশদ বিবরণ প্রকাশ না করেই ভবিষ্যতের সমস্ত অনলাইন লেনদেন করা যাবে। আপনি নিজের প্রয়োজনের ভিত্তিতে আপনার সংরক্ষিত কার্ডগুলিকে টোকেনাইজ করতে পারেন।

ATM Card টোকেনাইজেশন এর নতুন নিয়মঃ- অনলাইন, POS এবং ইন-অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে এখন ব্যবহার করতে হবে একটি অনন্য টোকেন সিস্টেম। আপনি যদি আপনার ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের টোকেন নম্বর তৈরি করতে চান, তাহলে আপনাকে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে, আপনি আপনার ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের জন্য একটি টোকেন তৈরি করতে পারবেন।

কার্ড টোকেনাইজেশন কি বাধ্যতামূলক?
১লা অক্টোবর থেকে RBI টোকেন নিয়ম বাধ্যতামূলক না করলেও এটি ব্যবহারে বেশ সুবিধা আছে। আপনার ATM Card টোকেনাইজেশনের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার পছন্দের ওপরে নির্ভরশীল। যারা টোকেন তৈরি করতে চান না তারা তাদের কার্ডের তথ্য ম্যানুয়ালি প্রবেশ করে স্বাভাবিকভাবে আগের মতোই তাদের লেনদেন চালিয়ে যেতে পারেন।

কিভাবে ATM Card টোকেনাইজেশন করবেন?
আপনার আপনার নিবন্ধিত ফোন বা ইমেল আইডিতে পাঠানো OTP ব্যবহার করে প্রমাণীকরণ করে কার্ডটিকে টোকেনাইজ করে নিতে পারেন। একবার কার্ডটি টোকেনাইজ হয়ে গেলে, আপনার আসল কার্ডের সমস্ত ডেটা একটি টোকেন নম্বর দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে যাবে। পরে এই টোকেন এর মাধ্যমে আপনি সব কাজ করতে পারবেন।

SBI আর ATM কার্ডে নেবে না কোন চার্জ! কিভাবে চালু করবেন এই সুবিধা? জানুন।

পরপর দেখে নিন কিভাবে করবেন?
* শুরু করুন একটি কেনাকাটার মাধ্যমে। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট কিনে তার পেমেন্ট শুরু করতে যেকোনো ই-কমার্শিয়াল মার্চেন্ট ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে যান৷
* আপনার কার্ড বেছে নিয়ে বিবরণ দিন।
* আপনার নিবন্ধিত মোবাইলে পাঠানো OTP লিখুন এবং লেনদেন সম্পূর্ণ করুন।
* আপনার কার্ড সুরক্ষিত করুন।
* টোকেন তৈরি করতে সম্মতি দিন।
* কার্ডটি টোকেনাইজড হয়ে যাবে।

এই ATM Card টোকেনাইজেশন করলে কি লাভ?
এখনও পর্যন্ত যখনই আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কোন জিনিস কিনতেন বা যেকোনো ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেন বা ফ্লাইটের টিকিট বুক করতেন, আপনাকে ভবিষ্যতের লেনদেনের জন্য আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও সংরক্ষণ করার একটি অপশন দেওয়া হত। তারপর প্রতিবার আপনার 3 নম্বরের CVV নম্বর লিখতে হত, এরপরেই লেনদেন সম্পন্ন হত।

একসাথে 3 টি সরকারী ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করলো রিজার্ভ ব্যাংক, গ্রাহকেরা সব টাকা পাবে না।

এই সব কারণে আপনার সমস্ত তথ্য আগাম সংরক্ষণ করা হলে, লেনদেন দ্রুত হয়ে ওঠে ঠিকই কিন্তু কার্ডের কোন তথ্যই আগাম সংরক্ষণ করা কখনই নিরাপদ নয়। ইতিমধ্যে কার্ডের সংরক্ষিত তথ্য নিয়ে জালিয়াতির বহু ঘটনা ঘটেছে। এবার থেকে টোকেন সিস্টেম এই ধরণের জালিয়াতি প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এমন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ। Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button