সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্টভাবে বলে হয়েছে যে, School Teachers বা শিক্ষকরা এবার থেকে চাইলেই ছুটি পাবেন না তার জন্য দেখাতে হবে নির্দিষ্ট কারণ। যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে তারা ছুটি পাবে না। এছাড়া ক্লাসে ফোন না দেখার বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। ক্লাস চলাকালীন ছাত্র ছাত্রীদের লিখতে দিয়ে অনেক শিক্ষকরা ফোন ব্যাবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া দেখে। এতে ছাত্র ছাত্রীদের মন সংযোগ নষ্ট হয়।
New Rules for School Teachers Leave & Use Mobile Phone
এর আগেও অনেকবার শিক্ষা দপ্তর থেকে School Teachers বা স্কুলে শিক্ষকদের কলেজ ফোন না ব্যাবহারের জন্য বলা হয়। কিন্ত এরপরেও একই কাজ পুনরায় করতে দেখা যায় শিক্ষকদের। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো শিক্ষা দপ্তর। এছাড়া যখন তখন ছুটির জন্য অ্যাপ্লিকেশন দিলেও ছুটির সঠিক কারণ পর্যালোচনা করেই তবে ছুটি দেওয়া হবে।
বিশেষ করে অনেক অভিভাবকরা ক্লাস চলাকালীন School Teachers বা স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের নিয়ে অনেক অভাব অভিযোগ করেন। তাই বিচারপতি বসু সারপ্রাইজ ভিজিট করার জন্য নির্দেশ দেন। স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হল নির্দেশিকা।
নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছে?
নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলে ক্লাস চলাকালীন ফোন ব্যাবহার করা যাবেনা। অফিস ঘরে বসে ফোন ব্যাবহার পর্যন্ত যেন থাকে। ফোন নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ নিষেধ। কারণ কোনো School Teachers বা স্কুল শিক্ষক যদি ছাত্র ছাত্রীদের লিখতে দিয়ে ফোন ব্যাবহার করেন তাহলে ছাত্র ছাত্রীদের সেটার দিকেই বারবার চোখ চলে যায়।
এতে পড়াশুনার মনসংযোগ বিঘ্নিত হয়। তাই নির্দিষ্ট ক্লাসের সময়চলাকালীন School Teachers বা স্কুল শিক্ষক যাতে সবটুকু সময় ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হয় এবং সেখানে তাদের পঠন-পাঠনে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় সেজন্যই শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার য়ে এরকম বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
এছাড়া ছুটির বিষয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা হলো প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটির কারণ জানিয়ে তার কারণ সাপেক্ষে যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ দেখাতে হবে। প্রধান শিক্ষক ছুটি গ্র্যান্ড করলে একমাত্র ছুটি নিতে পারবেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের রেজিস্টার খাতা আপ টু ডেট রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সকল প্রাথমিক শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন ও পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে বড় পদক্ষেপ।
পাশাপাশি স্কুলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ক আলাদা ভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে গিয়েছিলেন। সেই পথে যাওয়ার পথে আচমকা ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান আর সেখানে গিয়েই তিনি হকচকিয়ে যান শিক্ষার এই অবস্থা দেখে।
তিনি দেখেন সেই স্কুলে মোট School Teachers বা স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা 45 জন, কিন্তু উক্ত দিনই একসঙ্গে ১২ জন শিক্ষক ছুটিতে ছিলেন। এরপরই বিচারপতি শিক্ষা দপ্তরে রিপোর্ট পেশ করেন। আর তারপর শিক্ষা দপ্তর থেকে এই বিষয় নিয়ে নড়েচড়ে বসেন। এরপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষকদের জন্য নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছুটির নিয়ম পরিবর্তন। ছুটি নিতে হলে উপর মহলে জানাতে হবে।
সেখান থেকে একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশনা। শিক্ষকদের মধ্যেও এই নিয়ে শুরু হয়েছে ফের গুঞ্জন। তবে এবারের কড়া পদক্ষেপ হয়তো সঠিক ভাবে কাজে আসবে। এমন মাঝে মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিলে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও হয়। যেটা বর্তমানে শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য অত্যন্ত জরুরী।