Salary Arrears payment – পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের সমস্ত বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ। পকেটে ঢুকবে মোটা টাকা।
School Teacher Salary Arrears payment
এবার শিক্ষকদের খুশির খবর, পকেটে ঢুকবে এক্সট্রা টাকা. Salary Arrears বা বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশিকা।
স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া মেটানোর (Salary Arrears) কাজ শুরু করলো শিক্ষা দপ্তর। রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের তরফে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের বকেয়া টাকা পাওনা ছিল, সেই পাওনা মেটানোর জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের বিভিন্ন কারণে প্রাপ্য টাকা বকেয়া হয়ে যায়। এই সমস্ত বকেয়া টাকা পেতেও বেশ কিছু সময় দেরি হয়। শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের এই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে
(Education Department Clearing All Dues of Govt. School Teachers and Workers) নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে কোনো ধরনের পাওনা টাকা ডি আই (DI) এর অনুমোদিত মেমো স্বাক্ষর না করার জন্য এতদিন আটকে থাকলেও সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের জন্য ভালো কাজ করছেন।
৭৩০ দিন চাইল্ড কেয়ার লিভের সবেতন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। ৪ ধরনের বদলির সুযোগ রয়েছে। যা এর আগে কোনোদিন ছিল না। কন্যাশ্রীর (Kanyasree) মতো প্রকল্প চালু হওয়ায় মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ের প্রবণতা কমেছে। অনলাইন পিএফ চালু হচ্ছে। নারী পাচার কমছে। মেয়েরা উচ্চশিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর্থিক পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েরাও যারা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারত না তারা আজকে কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য পড়াশোনা করতে পারছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মুখে বলে না, কাজে করে দেখায়।
এই বিষয়ে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মন্ডল বলেন, শিক্ষকদের বকেয়া মেটানোর কথা ফেব্রুয়ারি মাসেই শিক্ষা দপ্তরকে জানিয়েছিলাম। তবে যাই হোক, দেরি হলেও বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।
সাধারণত যে সমস্ত ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের বকেয়া টাকা আটকে থাকে, তার মধ্যে রয়েছে কোনো শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী বেতন বৃদ্ধির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলে এবার সেই বকেয়া টাকা পেয়ে যাবেন। ১০ থেকে ২০ বছর পর অন্তর শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের বেতন বাড়ার (Salary Increase) সুযোগ হয়।
কোনো সহশিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পেলে বা তার প্রমোশন (Promotion) হলে তার বেতন বেড়ে যায়। এবার কোনো কারণবশতঃ তার যদি বেতন বৃদ্ধি না হয়ে থাকে, তাহলে এবার সেই বকেয়া টাকাও তিনি পেয়ে যাবেন।
প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক সঠিক সময়ে বিএড (BEd) না করার জন্য তাদের বেতন বাড়ানো আটকে রয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় এই শিক্ষকেরাও তাদের বকেয়া টাকা পাবেন। যে সমস্ত আইনি জটিলতা ছিল সরকারি নির্দেশিকায় সেই জটিলতা কেটে যেতে পারে বলেই মনে করছে বিকাশ ভবন।
কোনো শিক্ষক যদি বদলি হয়, তাহলে নতুন DI তার যদি যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেন, সেক্ষেত্রে Salary Arrears বেতনসহ বিভিন্ন ভাতা আটকে যায়। সেই Salary Arrears বকেয়াও এবার মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোনো নতুন শিক্ষক- শিক্ষিকা বা শিক্ষা কর্মী স্কুলে কাজে যোগদান করার পরে ডিআই অফিসে সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত সংক্রান্ত কাজে দেরি হলে বেতন সহ নানা ভাতা (Salary Arrears) পেতে দেরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের এখনো পর্যন্ত এই টাকা আটকে রয়েছে, তাদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।