Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথীর নিয়মে বিরাট বদল। কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এবার কিভাবে সুবিধা মিলবে
Swasthya Sathi Card New Rule
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi). এই প্রকল্পটি বাংলার সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে। বিনামূল্যে চিকিৎসা পান সাধারণ মানুষ। তবে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে নানান ধরনের কারচুপি ও জালিয়াতির কথা সামনে এসেছিল। আর তাই এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের নিয়মে বিরাট বদল করা হল (Swasthya Sathi Rule). তাহলে কিভাবে মিলবে এবার সুবিধা? জেনে নিন আজকের প্রতিবেদন থেকে।
Swasthya Sathi Scheme In West Bengal
পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকল্পে (Swasthya Sathi) গরমিল ও বেনিয়ম ঠেকাতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। বেনিয়ম ঠেকাতে আরও উন্নত পরিষেবা চালু করছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী অ্যাপে ব্যবহার করা হবে ‘জিয়ো ট্যাগিং’ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এর সাথে স্বাস্থ্যসাথীর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে যুক্ত করা হবে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য যেমন, রোগীর জন্য পরিষেবা কখন শুরু হচ্ছে, কখন শেষ হচ্ছে।
এই সকল বিষয়ের ‘রিয়েল টাইম’ তথ্য যুক্ত হবে স্বাস্থ্যসাথীর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে। এর জন্যই এবার থেকে ব্যবহার হবে ‘জিয়ো ট্যাগিং’। আর তার পর সেই তথ্য খতিয়ে দেখা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য। এই সকল বিষয়গুলির সাথে রোগীর যোগ নেই। রোগী পরিষেবার পর যখন বেসরকারি হাসপাতালগুলি সরকারের থেকে টাকা দাবি করবে, সেই সময়ের জন্যই মূলত প্রক্রিয়াগুলি কাজে লাগবে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবার ‘রিয়েল টাইম’ তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হবে ‘জিয়ো ট্যাগিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আর স্বাস্থ্যসাথীর ট্রানজ়াকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিএমএস) বা আর্থিক লেনদেনের সময়ে ব্যবহার করা হবে ওই রিয়েল টাইম তথ্যগুলিই। হাসপাতালে কোন কোন রোগী ভর্তি রয়েছেন, সেই তথ্য-সহ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে কেবলমাত্র ওই হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা নিয়ে বড় আপডেট। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ
অর্থাৎ, একথা স্পষ্ট যে হাসপাতাল চত্বরের বাইরে ওই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। কোন হাসপাতালে রোগী পরিষেবা সংক্রান্ত ‘রিয়েল টাইম’ তথ্য এক বারই যুক্ত হবে অ্যাপে। আর তারপর সেটিকে আর এডিট করা যাবে না। শুধু তাই নয়, একই রোগীর জন্য ওই তথ্য ফের নতুন করে যুক্তও করা যাবে না। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় কোথাও যদি কোনও বেনিয়ম বা বিকৃতি ধরা পড়ে, তাহলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের গাইডলাইন অনুসারে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করা হতে পারে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি নিয়ম বদল হলো।
নতুন এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলবে আরও একাধিক সুবিধা। কীভাবে আবেদন করবেন?
কি কি নিয়মে বদল আনা হয়েছে?
- এবার থেকে হাসপাতালে রোগী ভরতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশনের আগে ও পরে এবং রোগীর ছুটির সময় নির্দিষ্ট অ্যাপের সাহায্যে রোগীর ছবি ও ভিডিও তুলে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাতে হবে।
- একজন রোগী যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভরতি হন তাহলে বেসরকারি হাসপাতালকে সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য ছবি-সহ সরকারকে পাঠানো বাধ্যতামূলক।
- একজন রোগীর চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে তিনি সত্যিই হাসপাতালে আছেন কিনা, নিশ্চিত করতে রোগীর জিপিএস লোকেশন নির্দিষ্ট সার্ভারে পাঠাতে হবে।
- একবার ছবি, ভিডিও, জিপিএস লোকেশন পাঠানো হয়ে গেলে তা এডিট করা যাবে না।
- সরকারের তরফে নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দ্বারা করা ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি ও অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রেও।
- পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস অন করে, নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করতে হবে। আর টেস্ট শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে জিপিএস অন করে বন্ধ করতে হবে অ্যাপটি।
- আর যে অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য পাঠাতে হবে, সেই অ্যাপ হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের বাইরে কাজ করবে না।