উধাও হয়ে গিয়েছে টাইটানিক খুঁজতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটান (Titan Submersible Missing). উত্তর আটলান্টিক সাগরে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল। কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে টাইটানিক ডুবে যায়। ১৩ হাজার ফুট সমুদ্রের গভীরে চলে যায় ওই বিশাল জাহাজ। এবার সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ওশেনগেট এক্সপেডিশন নামে একটি সংস্থা ২১ ফুট লম্বা একটি সাবমেরিনে করে পর্যটকদের নিয়ে যাচ্ছিল।
Titanic Submarine Missing news
আর টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য আটলান্টিক মহাসাগরে যাত্রা শুরু করার দুই ঘন্টার মধ্যেই ওই ডুবোজাহাজ টাইটানের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। সাবমেরিন টাইটানে মোট ৫জন যাত্রী (5 Reachest man in submarine) ছিলেন। ৫ জনই প্রভাবশালী এবং বিত্তবান। বিপুল সম্পত্তির মালিক। সাবমেরিন টাইটানে করে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার জন্য টিকিটের দাম ছিল ২ কোটি টাকারও বেশি। যাত্রা শুরু করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ওই সাবমেরিনের খোঁজ পাননি রেসকিউ টিমের সদস্যরা। সমুদ্রের গভীরে গিয়ে নৌসেনার কম্যান্ডার ও ডুবুরিরা তন্নতন্ন করে খুঁজেও খোঁজ পেলেন না। অবশেষে গত ১৮ই জুন অফিসিয়ালি তাদের সকলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর এবার জেনে নিন তাদের পরিচ্য।
Titan Submersible Missing
সাবমেরিন টাইটান (Titan Submersible Submarine Titan) সেন্ট জনস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। সাবমেরিনে ৯৬ ঘন্টার অক্সিজেন মজুত ছিল। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঐ অক্সিজেনের মাত্রা এবার ফুরিয়ে যাওয়ায় ফলে আটলান্টিকের গভীরে হারিয়ে যাওয়া ওই সাবমেরিন এর ৫ জন পর্যটকের বেঁচে থাকার উপায় ছিলো না। সাবমেরিন টাইটানে যে ৫জন পর্যটক ছিলেন, তারা হলেন-
হ্যামিশ হার্ডিং (Hamish Harding)
৫৯ বছর বয়সী হ্যামিশ হার্ডিং ব্রিটিশ কোটিপতি ব্যবসায়ী। তার তিনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে হ্যামিশ জানিয়েছিলেন, Titan Submersible করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছেন। তিনি একজন ভূ- পর্যটক এবং অভিযাত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
পল হেনরি নারজিওলেট (Paul Henry Nargeolet)
ফরাসি নৌ বাহিনীর প্রাক্তন ডুবুরি। ৭৭ বছর বয়সী নারজিওলেট মিস্টার টাইটানিক নামেও পরিচিত। এই অভিযানে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। কম করে ৩৫ বার আটলান্টিকের প্রায় ১৩ হাজার ফুট গভীরে গিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখে এসেছেন।
শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান (Shahzada Dawood)
পাকিস্তানের কৃষি, পেট্রোরসায়ন, শক্তি, টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে তার সংস্থা বিনিয়োগ করেছে। ছেলে সুলেমানকে নিয়ে শাহজাদা দাউদ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন। দাউদ ১৯৯৬ সালে হারকিউলিস কর্পোরেশনের ডিরেক্টর ছিলেন। ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট এর সদস্য ছিলেন। ওই সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া এর দারিদ্র দূর করতে কাজ করে।
আরও পড়ুন, লটারি জেতার ম্যাজিক ট্রিক, লটারি কাটার সংখ্যা একবার শিখতে পারলেই একটা পুরষ্কার
স্টকটন রাশ (Stockton Rush)
সাবমেরিন নির্মাতা সংস্থা ওশেনগেট এক্সপিডিশনের সিইও স্টকটন রাশ। ২০০৯ সালে ওশেনগেট এক্সপিডিশন তৈরি করেন। টাইটানিক অভিযানের আগে তিনি জানান, সাবমেরিন টাইটান ৫ জন যাত্রী নিয়ে সমুদ্রের গভীরে যেতে পারে। তার সংস্থার তরফেই অভিযানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আগামী 6 মাসে কম খরচে যেসমস্ত 5G স্মার্টফোন লঞ্চ হচ্ছে, দাম ও ফিচার্স জেনে নিন।
কেমন ছিল সাবমেরিন টাইটান?
Titan Submersible জাহাজটি ছোট হওয়ায় ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বাইরের দিকে রয়েছে। ১০০২টি বৈদ্যুতিক থ্রাস্টার টাইটান এর ভেতরে রয়েছে। ৪০ হাজার লাইট, সামুদ্রিক রেফিন ক্যামেরা এবং একটি রোবোটিক্স লেজার স্ক্যানার রয়েছে। ডুবোজাহাজের ভেতর একটি শৌচালয়ে রয়েছে। Titan এর ওজন ১০ হাজার 432 কেজি। সমুদ্রে ৪ হাজার মিটার গভীরতা পর্যন্ত নামতে পারে ওই সাবমেরিন।