মেইন রোডে টোটোর (Toto Service) সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অন্যান্য গাড়ি এবং যাত্রীদের রাস্তায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ব্যাপকভাবে যানজট সমস্যা তৈরি হচ্ছে বড় রাস্তা গুলিতে। ফলে কাজে ক্ষতি হচ্ছে অনেক মানুষের। বিশেষত শহর এলাকার বড় রাস্তাগুলোতেই ঘটছে এই বিপত্তি। এই নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন পৌরসভা গুলির কাছে। এমনকি বিষয়টি পৌঁছেছে পরিবহন দপ্তরের কানেও। এই কারণে কিছুদিন আগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর মারফত প্রতিটি টোটো ডিলারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের টোটো কে সরকারিভাবে নথিভুক্তকরণ করানোর।
Toto Service in West Bengal
নইলে টোটো চালানোর (Toto Service) অনুমতি দেওয়া হবে না রাস্তায়। কিন্তু এরপরেও সমস্যার জট কাটেনি রাজ্যে। সম্প্রতি রাজ্যের আরো এক পৌরসভা এলাকায় মেন রোডে টোটো চলাচল কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ঝামেলা। যার বিরুদ্ধে আরো একবার টোটো গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হলো রাজ্য সরকার। আবারো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো টোটোর চলাচলে। কিন্তু অনেক টোটো চালকেরই আশঙ্কা এতে হয়তো তাদের রুটি রোজগার বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।
দেখে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে কি জানালো সরকার কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এলাকায়। গ্রাম থেকে বহু টোটো এসে ঢুকে পড়ছে শহরের মেইন রাস্তা গুলিতে। ফলে তৈরি হচ্ছে ব্যাপক যানজট সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ প্রশাসন। গত ৯ অক্টোবর তারিখে সেখানকার পুলিশ কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে গোটা এলাকায় ঘোষণা করে দিয়েছে যে এখন থেকে মেন রাস্তা গুলিতে টোটো চলাচল করবে না (Toto Service)।
কেবলমাত্র শহরের অলিগলি গুলিতেই চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে এই গাড়িকে। প্রধানত বারুইপুর যোগী বটতলা থেকে ফুলতলা পর্যন্ত এলাকার রাস্তায় টোটো চলাচলে (Toto Service) নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। এটি এলাকার একটি অন্যতম ব্যস্ত রোড। তাই এই রুটে টোটো চলাচল (Toto Service) বন্ধ হওয়ায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন টোটো চালকরা। তারা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করে পুলিশ থানার কাছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের জানায় যে এলাকার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করেছেন।
যেসমস্ত টোটো আর রাস্তায় চলবে না। তালিকা দেখে নিন। রাস্তার পারমিট পেতে কি করতে হবে?
এর মাধ্যমে তারা আশা করছেন যানজটের ঝামেলা কমিয়ে সুষ্ঠু ভাবে পথে যাতায়াত পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হবে যাত্রীদের। কিন্তু প্রশাসনের এই কথা শুনে থেমে থাকেননি এলাকার টোটো চালকরা। পুলিশ তাদের অভিযোগ এড়িয়ে গেলে প্রতিবাদে সামিল হন তারা। এলাকার সমস্ত টোটো চালকদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করা হয় টোটো সংগঠনের পক্ষ থেকে। মেইন রাস্তায় টোটো চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের যাত্রী পরিবহন অনেক কমে যাবে।
যার ফলে ভাতে মরবেন তারা। তাই মেইন রাস্তায় তাদের টোটো চালাতে দিতেই হবে এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভে অবতীর্ণ হন এলাকার টোটো চালকরা। বারুইপুর রাশের মাঠ থেকে একটি অফিস পর্যন্ত লম্বা মিছিল করে চলেন তারা। সমগ্র এলাকা থেকে কয়েক শো টোটো চালককে একত্রিত করে ডাক দেওয়া হয় এই মিছিলের। বড় রাস্তায় টোটো চালানোর (Toto E rickshaw) অনুমতি না দেওয়া হলে তারা প্রতিবাদ থেকে সরবেন না, মুখে এই দাবি নিয়ে মিছিলে হেঁটে চলেন তারা।
খবরটি পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভের স্থানে উপস্থিত হয় এলাকার পুলিশ প্রশাসন। বিক্ষুব্ধ মিছিল কারীদের ভিড় সামলাতে তৎপর হয়ে ওঠেন তারা। কিন্তু বারবার টোটো চালকরা তাদের সামনে এই একই দাবির কথা জানালে কোনরকম সদুত্তর করেন না তারা। এদিকে টোটো চালকরাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ বন্ধ করবেন না যতক্ষণ না তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। এখন দেখা যাক চাপের মুখে পড়ে পুলিশ কি তাদের এই দাবি মেনে নেয়, নাকি সত্যি রুটি রোজগার বন্ধ হয়ে যায় সেই সমস্ত টোটো চালকদের (Toto E rickshaw).