পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক বদলির জন্য উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করেছিল শিক্ষা দপ্তর। এর আগে সাধারণ আবেদনের ভিত্তিতেই হত শিক্ষকদের ট্রান্সফার। তবে শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত এবং স্বচ্ছ করার নিমিত্তেই রাজ্য সরকারের এই প্রচেষ্টা। তবে বর্তমানে নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চালু থাকায় ট্রান্সফার পোর্টাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই বিষয়ে পুরোটা জেনে নেওয়া যাক।
শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া স্থগিত, আবেদন নেবে না উৎসশ্রী পোর্টাল।
শিক্ষকদের বদলির জন্য উৎসশ্রী পোর্টাল এর মাধ্যমে আবেদন করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতা, দূরত্ব ছাড়াও নানা ধরণের অপশন রেখেছে পোর্টাল। কিন্তু এই বদলি নিয়ে বেশ কিছু দুর্নীতি ধরা পড়ায় অনেকেই পান নি ট্রান্সফার। আবার অনেকে ভুয়ো কারণ দর্শীয়ে নিয়েছেন ট্রান্সফার।
এই সকল কারণে একাধিক মামলা দায়ের হয় মহামান্য কোলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যেই গত 29শে সেপ্টেম্বর, 2022 তারিখে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল যে, আগামী 31শে ডিসেম্বর, 2022 তারিখ পর্যন্ত এই উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। কিন্তু আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
তবে এবারে আবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল বৃহস্পতিবার। নতুন করে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দপ্তর জানিয়ে দিল, আগামী 1লা জানুয়ারি, 2023 তারিখ থেকে শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বদলির আবেদন নেওয়ার বিষয়টিও স্থগিত রাখা হবে। শিক্ষক বদলির বিষয়ে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, আগামী 30শে ডিসেম্বর, 2022 পর্যন্ত উৎসশ্রী পোর্টালে বন্ধ করা হল শিক্ষক বদলির আবেদনগ্রহণ এবং শিক্ষক বদলির গোটা প্রক্রিয়া।
শিক্ষক-শিক্ষিরা উৎসশ্রী পোর্টাল এর মাধ্যমে বাড়ির কাছের স্কুলে শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন জানাতে পারেন। এর ফলে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা আবেদন জানান এবং বদলিও পান। তবে এই নিয়ে পরবর্তীতে বিতর্কও কম হয়নি। দিন কয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু একটি মামলার শুনানিতে এই বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
আগামী বছরে রেশনে আর এই খাদ্য দ্রব্য পাবেন না। মাথায় হাত গরীব মানুষের।
এমনকী রাজ্যের আইনজীবীকে শিক্ষক বদলি নীতি পরিবর্তনেরও বিশেষ পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে বলেছিলেন, পড়ুয়াদের ওপরই নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির বিষয়।
এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্তকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেড মাস্টার্স এন্ড হেড মিস্ট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, ‘শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অবিলম্বে স্বচ্ছতার সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে শূন্যপদে নিয়োগ যাতে হয় সেটাও দেখতে হবে শিক্ষা দফতরকে।’
শিক্ষকদের ছুটি বাতিল করেও পিছু হটলো রাজ্য সরকার, স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষকেরা গিয়ে কি করবেন?
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল এত দিন ধরে বদলির আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “31শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও বদলির আবেদন করায় কোনও অসুবিধা ছিল না। আজ নতুন নির্দেশিকায় বলা হল বদলির আবেদন ও প্রক্রিয়া দু’টোই বন্ধ থাকবে। তা হলে আজ পর্যন্ত এত আবেদন নেওয়া হল কেন?”
কবে আবার শিক্ষক বদলির জন্য পোর্টাল চালু হয়, সেটাই দেখার। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রকল্প, টেলিকম অফার, রাশিফল ইত্যাদি সম্পর্কে আপডেট পেতে দেখতে থাকুন আমাদের প্রতিবেদন। এছাড়া আপনার মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ হলেই যে সমাধান হবে শুধু তাই নয়, 2020 সালের পর যত শিক্ষক বদলি হয়েছেন বাড়ির কাছে সবাইকে Mother School এ পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ হবে।।