রিজার্ভ ব্যাংক তথা RBI এর বিশেষ তৎপরতায় অন্যান্য পদ্ধতির মতোই UPI পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সারা ভারতের সমস্ত ব্যাংকগুলিকে একসূত্রে গাঁথা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে এসেছে স্বচ্ছতা। বেড়েছে আরও বেশি কর্মতৎপরতা। আগের থেকে সমস্ত কিছুই এখন আরও সহজ ও দ্রুত করতে ব্যাংকের এই পদ্ধতি সবার কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
UPI পেমেন্ট সিস্টেমের সব নিয়ম জেনে তবেই টাকা পাঠানোর কাজ করুন।
বর্তমানে ভারতের প্রত্যেকের হাতেই পৌঁছে গেছে এক সময়ের দুষ্প্রাপ্য মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট এর মতো ব্যয়বহুল সুবিধাগুলি। এখন অধিকাংশ মানুষই নিজের প্রয়োজন মেটাতে সব ক্ষেত্রেই প্রায় টাকা পয়সার লেনদেন এর কাজ সারেন UPI পেমেন্ট সিস্টেম এর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে।
এক্ষেত্রে UPI এর ক্ষেত্রে Google Pay, Phonepe, Bharat Pay ছাড়াও আছে প্রত্যেকটি ব্যাংকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা। এক্ষেত্রে আবার থাকে নানা রকমের ক্যাশব্যাক এর অফার। এক্ষেত্রে UPI Transaction হিসেবে রিচার্জ সহ গ্যাস বুকিং, ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট, রেলের টিকিট, প্লেনের টিকিট, বিভিন্ন পরীক্ষার ফি সহ যেকোনো পেমেন্ট করা যায়।
গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম এর মত UPI অ্যাপগুলির জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রেও কোন রকম খামতি নেই। কারণ এই অ্যাপগুলি অপারেট করাও বেশ সহজ। এতে সমস্ত কাজ হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যেই। কিন্তু এবার বোধ হয়, সেই কাজে নিয়ন্ত্রণ আসতে চলেছে। ডিজিটাল ভারত গড়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ সরকারের। তবে আপাতত এই নতুন নিয়মকে কিছুটা স্তিমিত করতে চলেছে কেন্দ্র।
এই মুহূর্তে দেশের প্রায় 80 শতাংশ মার্কেট শেয়ার বেড়েছে। এই ধরণের থার্ড পার্টি অ্যাপগুলোর অর্থাৎ TRAP অর্থাৎ Third Party Application Provider এর বর্তমান মার্কেটে দাপট কমানোর জন্য এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা NPCI এই ধরণের লেনদেনের উপরে লাগাম টানতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি অ্যাপগুলির জন্য NPCI 30 শতাংশ লেনদেনের সীমা তথা Transaction Limit Reduction করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল।
ভারতীয় পোস্ট অফিস এর বাজার কাঁপানো স্কিম। 100 টাকার গুণিতক হারে বিনিয়োগেই পান লক্ষ লক্ষ টাকা।
থার্ড পার্টি অ্যাপগুলির UPI লেনদেন রেকর্ড পরিমাণে হচ্ছে। যার ফলে এই লেনদেনগুলোয় বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য NPCI কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে। যার ফলে সারাদিনে টাকা লেনদেন এর একটা লিমিট করে দেওয়ার কথা চিন্তা কড়া হচ্ছে। তার বেশি লেনদেন করলেই দিতে হবে অতিরিক্ত চার্জ।
UPI- এর মাধ্যমে 12 লক্ষ কোটি টাকার থেকেও বেশি পরিমাণে ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে মাত্র 1 মাসের থেকেও কম সময়ে। আর ধীরে ধীরে লেনদেনের পরিমান বেড়েই চলেছে আগের থেকে। প্রতিমাসে গ্রাহক ব্যাংকের পাসবই আপডেট করতে হলে 2 থেকে 3 টির বেশি বই লেগে যাচ্ছে। এতে স্বভাবতই সমস্ত হিসেব রাখা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংক জালিয়াতির নতুন ফাঁদ, নিমেষেই ফাঁকা হবে ব্যাংক একাউন্ট, সতর্ক করলো RBI.
NPCI- এর সঙ্গে RBI- এর আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত বিশেষ কর্মকর্তারা। ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সকল UPI Payment Application গুলির ব্যবহারে হ্রাস টানতে এই উদ্যোগ কতটা কাজে আসে সেটাই দেখার।
তবে সাধারণ মানুষ কি এই চার্জ বসলেও UPI Payment ব্যবহার চালু রাখবে? নাকি আবার ফিরে যাবে সেই আগের নিয়মে? তা তো ঠিক করবে জনগণ। আপনার কি মতামত? অবশ্যই জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে। এছাড়াও মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার আইডিয়া, সরকারি, বেসরকারি প্রকল্প ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.