রাতারাতি সরকারী আইন, নিষেধাজ্ঞা বা সার্ভিস ব্রেক – কোন নিয়মই যেন তোয়াক্কা করলেন না বকেয়া ডিএ আন্দোলনকারীরা। বরং রীতিমতো হাজিরা খাতায় সই করেই রাজ্যের জেলায় জেলায় সরকারী কর্মীরা চালালেন কর্মবিরতির প্রথম দিন। রাজ্যের ৩২ দলের যৌথ অরাজনৈতিক সরকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবী অনুসারে তাদের এই কর্মসূচি সফল। কোথায় কেমন কাটালেন সরকারী কর্মীরা, দেখে নেওয়া যাক।
বকেয়া ডিএ আন্দোলন সংক্রান্ত আপডেট দেখে পরিস্থিতি বিচার করুন।
সারা রাজ্যে প্রাথমিক স্কুল, জুনিয়র হাই স্কুল, হাই স্কুল, কলেজ, পুরসভা, পঞ্চায়েত, আদালত এমনকি মহাকরণ বা বিকাশ ভবনেও বকেয়া ডিএ আন্দোলনের অন্তর্গত এই কর্মবিরতির দেখা মিলছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা মিলেছে এই সমস্ত চিত্র। যদিও সরকারী নির্দেশিকায় ছুটি নেওয়া যাবে না, এমনটাই বলা হয়েছিল। সরকারী কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হলেও অন্যান্য স্বাভাবিক দিনগুলির তুলনায় আজ ছিল কর্মব্যস্ততাহীন ভিন্ন রকম একটি দিন।
এই পেন-ডাউন কর্মসূচি বকেয়া ডিএ আন্দোলনের একটি অংশ মাত্র। ভবিষ্যতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আরও বড়ো ধরণের আন্দোলনের ডাক দেবেন বলেই জানা যাচ্ছে। তাদের পঞ্চম বেতন কমিশনের ন্যায্য দাবী সরকার মিটিয়ে দিলে এবং রাজ্যের সমস্ত শুন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করার দাবী তাদের।
রাজ্যের বর্ধমান জেলার আদালতের কর্মীদের মধ্যে দেখা মিলেছে কর্মবিরতির। তাদের কথাতে পরিষ্কার জানা গেছে যে তারা আগামী কাল একই ভাবে নিজেদের প্রতিবাদের ভাষায় পেন-ডাউন কর্মসূচি অব্যহত রাখবেন। আজ তারা আদলত চত্ত্বরে উপস্থিত হলেও কেউ কাজ করেন নি। সেখানে রীতিমতো স্লোগান চলে বকেয়া ডিএ আন্দোলনের।
পশ্চিমবঙ্গে ডিএ বাড়বে, রাজ্য সরকারী কর্মীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার আর্জি।
কোচবিহারের আদালতে দেখা মিলেছে একই পরিস্থিতির। তারাও আগামীকাল চালাবেন কর্মবিরতি। ঝাড়গ্রাম, দিনহাটাতেও দেখা মিলেছে এই একই ধরণের বকেয়া ডিএ আন্দোলনের চিত্র। আগামীকালও চলবে একই প্রক্রিয়া। এছাড়া নদীয়া জেলাতে আগের ঘোষণা মতো কর্ম বিরতিতে সামিল হলেন সরকারী কর্মচারী সহ শিক্ষকেরা।
হাওড়া আদালত চত্ত্বরে দেখা মিলেছে একই চিত্র। সেখানে ডিএ আন্দোলন হিসেবে তারা সম্পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করতে না পারলেও তারা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সাথেই আছেন। তাদের নিজেদের রয়েছে ৩১ দফা দাবী। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সম্পূর্ণ বকেয়া না মেটালে আগামীতে আরও বড়ো আন্দোলনে যাবেন তারাা।
আজ যারা ডিএ আন্দোলনে যোগ দিলেন, তাদের সরকারী নিয়মে কি কোন সমস্যা পোহাতে হবে? একটি সংবাদ মাধ্যমে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয় জানিয়েছিলেন যে, সরকার এই ধরণের পদক্ষেপ আগেও নিয়েছেন। তবে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকার এই ধরণের কর্মসূচির ফলে চাকুরীজীবীদের মাইনে কেটে দিলেও দিতে পারে। তবে ভয় পেলে, আন্দোলন হয় না।
সাপ্তাহিক রাশিফল (20-26শে ফেব্রুয়ারি, 2023) – মেষ থেকে মীন, পার্ট-1 দেখে নিন।
বসিরহাট, দুর্গাপুর, আসানসোলের ক্ষেত্রেও দেখা যায় একই চিত্র। এই নিয়ে হয়তো আগামী কাল আরও অনেক কিছুই ফুটে উঠবে। এর মধ্যে সরকারের তরফে আবারকি নেওয়া হবে নতুন কোন পদক্ষেপ, নাকি সরকারী কর্মীরা তাদের এই আন্দোলন অব্যহত রাখবেন, সেটাই এখন দেখার। এমন আরও আপডেট পেতে দেখতে থাকুন আমাদের পরবর্তী প্রতিবেদনগুলি। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
ভয় দেখিয়ে,হুমকি দিয়ে বকেয়া ডিএ ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে কর্মবিরতির যে আন্দোলন চলছে,চলবে।দাবি আদায় না হলে আরও বড় আন্দোলন সরকার দেখবে।
পুরো দিনের বেতন নিয়ে যারা কাজ করছেন না তারা নিজের বিবেক কে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে ঠিক কাজ করছেন কি না, অবশ্য যদি বিবেক বলে কিছু থাকে।