পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের বাসিন্দা দের জন্য একাধিক প্রকল্প সূচনা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হলো খাদ্য সাথী প্রকল্প (Khadya Sathi Scheme). এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে চাল গম পেয়ে যান। ২০১৬ সালের ২৬শে জানুয়ারি সরকারের তরফে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সূচনা করা হয়। এই স্কিমের সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ছিল বাংলায় বসবাসকারী দরিদ্র ব্যক্তি নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের খাদ্যশস্যের অধিকার প্রদান করা। তাঁরা যাতে খাদ্যশস্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকটি দেখা। রাজ্যের খাদ্য দফতরের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন এই রাজ্যে রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ৮১ লাখ জন। এদের মধ্যে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় প্রায় ২ কোটি ৮৮ লাখ জন। খাদ্য সাথী প্রকল্প (Khadya Sathi Scheme) সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে আরো ডিটেলসে আলোচনা করা হলো।
ধামাকা খবর! পুজোর আগে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে 10,000/- টাকা পাঠাচ্ছে সরকার! কিভাবে পাবেন জানুন
Khadya Sathi Scheme 2024
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে (Khadya Sathi Scheme) বাংলায় বসবাসকারী নির্দিষ্ট পরিবার প্রত্যেক মাসে চাল এবং গম পান। ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় এই স্কিমের গ্রাহক দের একটি বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়। প্রতিমাসে, খাদ্যসাথী প্রকল্পের গ্রাহকদের ৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। অন্যান্য প্রকল্পের মত এই প্রকল্পতেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয়। নির্দিষ্ট যোগ্যতাও রয়েছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার স্কিমের টাকা বাড়ছে! এবার 1500, 2000 টাকা পাবেন প্রতিমাসে! পুজোর আগেই মিলবে সুখবর?
Khadya Sathi Scheme Eligibility
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যে সকল মানুষের রেশন কার্ড বা ‘খাদ্যসাথী’ কার্ড নেই, তারা অনলাইন বা অফলাইনে এই প্রকল্পের জন্য নিজেদের আবেদন করতে পারবেন। তবে যে সকল মানুষ ‘খাদ্যসাথী’ কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান, তাঁদের অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। দ্বিতীয়ত, এই স্কিমের আবেদনকারীর নিজস্ব রেশন কার্ড থাকতে হবে। এর পাশাপাশি, যদি পরিবারের কোনও একজন সদস্য সরকারি চাকরি করেন, তাহলে তিনি ‘খাদ্যসাথী’ কার্ডের অধীনে থাকতে পারবেন না। খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় তাঁরা আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন না।
Khadya Sathi Scheme Application
- খাদ্য সাথী প্রকল্পের আবেদন জানানোর জন্য আপনাকে প্রথমে ভিজিট করতে হবে অফিসিয়াল সাইটে।
- আবেদন পত্রটি ফিল আপ করে জমা দেবেন। প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় নথির স্ক্যান কপি আপনাকে আপলোড করতে হবে। তারপর তা সাবমিট করতে হবে।
- এছাড়া, এই প্রকল্প সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানানোর জন্য অথবা সমস্যা হলে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন আপনাদের নিকটবর্তী এলাকার রেশন দোকানে। পাশাপাশি, বিডিও বা পুরসভাতে গিয়েও এই নিয়ে তথ্য জমা করা যাবে। আর কোন অসুবিধা হলে যোগাযোগ করা যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য এবং সরবরাহ দপ্তরের টোল ফ্রি নম্বরে। নম্বরটি নোট করে রাখুন (১৮০০-৩৪৫-৫৫০৫)।