এই ক’দিন শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতেই হবে সকাল 10 টায়। রাজ্য সরকারি নির্দেশ অমান্যে কাটা হবে বেতন। শিক্ষা দপ্তরের এই নির্দেশিকা কাদের জন্য, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নতুন করে শিক্ষকদের এই নির্দেশিকা বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ।
সরকারি স্কুলগুলিতে সবে শেষ হয়েছে পুজোর ছুটি। এর মধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। স্কুলে স্কুলে শিক্ষ’কদের বায়োডাটা ঝোলানো, ছাত্র এবং শিক্ষকদের OMR সিটে মূল্যায়ন এর পর এবারে স্কুলে ঢোকা নিয়ে নির্দেশিকা। আসুন বিস্তারিত আলোচনা করে জেনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি এই ঘটনা বেশ নজর কাড়ছে নানা মহলের। এমনিতেই রাজ্যে টেট দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চা এর দোকান থেকে ট্রেনের কামরা। এই বিষয়কে স্বচ্ছ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বায়োডাটা ঝোলানোর নির্দেশ যাচ্ছে স্কুলে স্কুলে।
এর মধ্যে ঘটে গেল এক ঘটনা। ঘড়িতে বেলা 12 টা। স্কুলের তালা খোলেনি এমনটা নয়। পড়ুয়ারাও দিব্যি এসেছে স্কুলে। তবে শিক্ষ’কের দেখা নেই। এমতবস্থায়, স্কুলে হাজির স্বয়ং বিডিও সাহেব। তিনি হঠাৎ কেন দুপুর 12 টায়? হাতেনাতে অভিযোগ যাচাই করতেই তার আগমন।
ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ির একটি প্রাথমিক স্কুলে। সঠিক সময়ে মাস্টারমশাই আসেন না স্কুলে। এমনই অভিযোগ অনেকদিন ধরেই উঠছিল লোকমুখে। গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ কি যুক্তিসঙ্গত? এর প্রমাণ করতেই মঙ্গলবার স্থানীয় এলাকায় রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিডিও সাহেব। সেই সময় তিনি আচমকা স্কুলেও চলে যান।
গোটা ঘটনা নিয়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে মেখলিগঞ্জ দক্ষিণ সার্কেলের স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কেন স্কুলের শিক্ষকরা সঠিক সময়ে স্কুলে আসেননি? তিনি অবশ্য তেমন কিছু মন্তব্য করেন এই ব্যাপারে। তবে গ্রামের মানুষ তাদের এই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিডিও সাহেবের কাছে।
স্কুলে চাকরির দাবিতে একদিকে কোলকাতার বুকে চলছে দীর্ঘ আন্দোলন। কিন্তু যারা স্কুলে চাকরি করছেন, তারা কি আদৌ সঠিক সময়ে স্কুলে যান? নাকি ফাঁকিবাজি করেই কাটিয়ে দিচ্ছেন তাদের একাংশ? এই প্রশ্নটি মাঝেমধ্যেই ওঠে লোকমুখে। এর পেছনে কি কারো মদত থাকে? আপনাদের মন্তব্য অবশ্যই জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে।
যদিও, ঐ স্কুলের এক শিক্ষ’ক স্কুলে দেরি করে আসা প্রসঙ্গে জানান, সঠিক সময়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু বাইকের চাকা লিক হয়ে গিয়েছিল। সেটি সারাতে গিয়েই দেরি হয়ে যায়। অন্যান্য শিক্ষকরা মৌখিকভাবে আসবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু লিখিতভাবে কিছু জানাননি।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ বিল অর্ধেক বা 50% করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না!
বিদ্যালয় পরিদর্শক বিষয়টি জানার পরই ঐ শিক্ষকে শো-কজ নোটিস পাঠান। তবে এমন ঘটনা হয়তো ঘটে অনেক জায়গাতেই। আবার রাজ্যের শিক্ষকদের প্রতি সমাজ যেন সমাজের একাংশ বিরূপ হয়ে উঠেছে। এতে দায়িত্ববেন শিক্ষক হয়েও অনেকের কানে অযথা অপ্রাসঙ্গিক কথা শুনতে হয়। তবে শিক্ষক তার মর্যাদা রক্ষা করে চলবেন, এটা সকলেরই কাম্য। আপডেট থাকার জন্য সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.