কমতে চলেছে গরমের ছুটির মেয়াদ, নিন্মচাপের পূর্বাভাষ ও গরম কমতেই নড়েচড়ে বসলো শিক্ষা দপ্তর।

কমতে চলেছে গরমের ছুটির মেয়াদ, হবে বাড়তি ক্লাসও।
বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে শুরু হয়েছিল চড়া তাপপ্রবাহ, যার ফলে গত সপ্তাহে রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত স্কুলগুলিতে এক সপ্তাহের আপদকালীন গরমের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কার্যত “অপরিকল্পিত” ছুটির ফলে স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়াদের পড়াশুনায় ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। সেই ঘাটতি মেটাবার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। গত 2রা মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ফের গরমের ছুটি পড়ছে।
কবে আবার স্কুল খোলা হবে, সেই নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি সরকারের তরফে। তবে ছুটি দেওয়ার পরই একাধিক শিক্ষক সংগঠনের চাপে ফের স্কুল খোলার উপক্রম হয়েছে।

গরমের ছুটি নিয়ে চিন্তাভাবনাঃ

প্রথমত, গরম পড়তেই স্যোশাল মিডিয়ায় শিক্ষকেরাই ছুটি ছুটি বলে আবেদন করেছিলেন। ছুটি নয়তো মর্নিং স্কুলের আবেদন করেছিলেন। রাজ্য সরকার ও পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আপদকালীন ছুটি দিয়েছে। আর এবার গরমের কারনে ছুটি দিতেই স্কুল খোলানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে শিক্ষকদের একাংশ। অর্থাৎ সরকারের বিরোধিতা করতেই হবে, সে যেভাবেই হোক। কিন্তু পড়ুয়ারা হিট স্ট্রোক বা অসুস্থ হলে তার দায় নিতে হবে সরকার কে! তবে, ছুটির মধ্যেও কয়েকটি স্কুল অনলাইনে পড়াশুনো চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

অন্যদিকে, কলকাতার বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল গরমের ছুটির দৈর্ঘ্য কমিয়ে এনে ভোর বেলায় ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আবার কোনো স্কুল উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের জন্য শনিবার বাড়তি ক্লাস করানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। আর এই মুহুর্তে গরম যেহেতু কম আছে তাই সিলেবাস শেষ করার প্রস্তুতি ও নেওয়া শুরু হয়েছে।

সর্বভারতীয় সংবাদ পত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কলকাতার নিউ টাউনের ডিপিএসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য গরমের ছুটির মেয়াদ চার সপ্তাহ থেকে কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী 19 মে পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে ডিপিএস নিউটাউনের প্রিন্সিপ্যাল অম্বিকা মেহেরা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য আমরা তিন সপ্তাহের গরমের ছুটি দিচ্ছি।’

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে কলকাতার বেসরকারি স্কুলগুলিতে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হচ্ছে। কারণ দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বোর্ডের সিলেবাস শেষ করার ব্যাপার থাকে। তাই, রাজ্য সরকার 2 মে থেকে ছুটি ঘোষণা করলেও বেসরকারি স্কুলগুলি তা করছে না।

শুধু বকেয়া ডিএ ই নয়, পশ্চিমবঙ্গের কর্মীরা বেতন কম পাচ্ছেন অন্য খাতেও, শুধু লস ই লস।

সাধারণ ভাবে সব বেসরকারি স্কুলগুলিতেই 13 মে থেকে গরমের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। যদিও ২ তারিখ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছুটি রয়েছে। এই সমস্ত কিছু চিন্তা করেই হয়তো ২তারিখ থেকে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। তবে, পরিস্থিতি অনুকুলে হলে ক্লাস খুলে জেতেপারে, চলতি মাসেই। আর শিক্ষকদের দাবী ও অভিভাবকদের আবেদন ক্রমশ, দ্বিতীয়বার ভাবাচ্ছে শিক্ষা দপ্তর কে। আর হয়তো আগামী সপ্তাহে কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগের থেকে বিভ্রান্ত না হওয়াই সমীচীন বলে বিবেচ্য।

অবসর সময়ে করুন এক্সট্রা ইনকাম, সময় ও কাটবে, আর রোজগার ও ডবল হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই দীর্ঘকালীন গরমের ছুটি দিয়েছে, তেমনটা নয়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড এবং অপরদিকে পাঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার ৩৫দিনের অধিক গরমের ছুটি দিয়েছে। কারন বর্তমানে শিশুদের সহ্যক্ষমতা আগের শিশুদের মতো নয়। তাই অল্পতেই ডিহাইড্রেট হয়ে গেলেই বিপদ। আর ৪৫% তাপমাত্রা খুব শীঘ্রই আসছে, তাই সেই সময়ে বাচ্চাদের কিছু হলে নিন্দুকেরা দায় নেবেন তো?
প্রতিবেদকঃ বকলম।

সকল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য 5 টি সেরা সরকারি স্কলারশিপ, আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন।

সুখবর বাংলা

Leave a Comment