পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের আচরণবিধি প্রকাশ। চাকরিরত শিক্ষক ও টেট পাশ হবু শিক্ষকদের এই নির্দেশিকায় সাইন করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর রাজ্যের শিক্ষকদের (Teacher Recruitment Rule) জন্য সম্প্রতি একটি New Education Policy জারি করেছে। সমগ্র রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করে জানানো হয়েছে যে, এই New Education Policy যারা মানবেন না তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এমনকি নিয়োগ পাওয়ার আগেও যদি কোনো শিক্ষক এই শর্ত মানতে না রাজি থাকেন তবে তাকেও চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে না, এমনটাই জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এমনিতেই বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে থমকে রয়েছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।

New Education Policy in West Bengal 2024

স্কুলগুলিতে অভাব রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। অন্যদিকে পদোন্নতি এবং বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বহুদিন ধরেই বিক্ষোভ করে চলেছেন কর্মরত শিক্ষকরা। এমনকি অনেকেই স্কুলে আসাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এহেন সিদ্ধান্ত বর্তমান এবং হবু শিক্ষকদের আরো বিপদে ফেলল এ কথা বলা যায়। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর কয়েক মাস আগেই রাজ্য জুড়ে নতুন শিক্ষানীতি 2023 এ চালু করার কথা জানিয়েছিল।

আর তাতেই বলা হয়েছিল শিক্ষকদের জন্য এই New Education Policy এর কথা। নিয়মটি হল, এখন থেকে শিক্ষকদের গ্রামে পড়ানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নয়তো চাকরি কেড়ে নেওয়া হতে পারে তাদের। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষক শিক্ষিকারা বেশিরভাগই শহরের স্কুলে শিক্ষকতা করতে আগ্রহী থাকেন। এর কারণ হলো শহরের উন্নত জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত বেতন।

প্রাইমারী টেট প্রার্থীদের সুখবর। অবশেষে বাড়ল শূন্যপদ।

যেমন দেখা গেছে, কয়েকদিন আগেই উচ্চ প্রাথমিকের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় 25 জন শিক্ষক কাউন্সেলিং এ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু কেবলমাত্র গ্রামের স্কুল বলে পছন্দ না হওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় সেই চাকরি নিতে অস্বীকার করেন। পশ্চিমবঙ্গে বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলিতে বিশেষত এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

Mid Day Meal - স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলে

কিন্তু শিক্ষকদের এই আচরণের ফলে অবহেলিত হচ্ছে গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা, একথা মনে করেছে শিক্ষা দপ্তর। তাই যে New Education Policy চালু করার কথা বলা হয়েছে তাতে এই বিশেষ নিয়ম সংযোজন করতে রাজি তারা। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই নতুন সিদ্ধান্তে সহমত জানিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। সরকারি মহলেও এতে সমর্থন মিলেছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “গ্রামে শিক্ষকতাকে আমরা বাধ্যতামূলক করব এবং অতি শীঘ্রই যে এই পদক্ষেপ গৃহীত হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে নয়া জটিলতা। টেনশনে রয়েছে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।

হবু শিক্ষকেরা অনেকেই গ্রামে চাকরি করতে চাইছেন না, এটা ঠিক নয়। তাই এখানে একটা সামঞ্জস্য আনার প্রয়োজন রয়েছে। আর সে কারণেই এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।” সূত্রের খবর চলতি সপ্তাহেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের এবং এসএসসির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী।
Written by Nabadip Saha.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button