WB TET Exam Judgement – পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন রায় কলকাতা হাইকোর্টের, কি নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? New Big Judgement 2022.
WB TET Exam Judgement – সিবিআই-এর পাশাপাশি আর কাকে দেওয়া হল তদন্তের দায়ভার?
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলার জর্জরিত স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রাইমারি টেট (WB TET Exam Judgement)। ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তগুলির দায়ভার তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে একাধিক রহস্য। হয়েছে অনেক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস।
আবারও সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সামনে এল আরেক দুর্নীতির কান্ড। 2014 সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে 2017 সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WB TET Exam Judgement) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। প্রথম তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর বের করা হয় দ্বিতীয় শিক্ষক নিয়োগ তালিকা!
গত 13 জুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠে। দীর্ঘক্ষণ চলে সেই মামলার শুনানি (WB TET Exam Judgement)। যেখানে বলা হয় 2014 সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে 2015 সালের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। তারপর যথারীতি 2017 সালে সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
তারপরের ঘটে মোড় ঘোরানোর মতো একটি ঘটনা। এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে সপে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (WB TET Exam Judgement)। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে মহামান্য আদালতের নির্দেশে 269 জনের চাকরি বাতিল করা হয়। অর্থাৎ এতদিন তারা যে স্কুলে চাকরি করতেন এবার থেকে সেখানে ঢোকা নিষেধ।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর এদিন আদালতে বক্তব্য রাখা হয় যে, 2017 সালে প্রথম লিস্টে নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর ফের সেই বছরই দ্বিতীয় লিস্টে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ (WB TET Exam Judgement)। আর এরই ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এদিন আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় দ্বিতীয় লিস্ট বেআইনি। ফলে বাতিল হয়েছে 269 জনের চাকরিও।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা, কি বার্তা এলো বিকাশ ভবন থেকে?
কিন্তু কিসের ভিত্তিতে আদালত দ্বিতীয় লিস্টটিকে বেআইনি বলে জানালো?
পর্ষদের তরফে এর আগের শুনানিতে জানানো হয়েছিল প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার কারণে পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে (WB TET Exam Judgement)। ফলে তারা পাশ করে গেছেন। যদিও এই প্রশ্নের উত্তরকে অযৌক্তিক মনে করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উল্টে তিনি বলেন, “এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?” তিনি আরও জানতে চান কিভাবে এই 269 জন কেই চিহ্নিত করা হলো।
উল্টে পর্ষদের আইনজীবী জানান, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা করার কারণে তারা এপিসি ভবনে বিক্ষোভ আন্দোলন চালান এবং তারা বারবার বলেন যে তারা যোগ্য। তারই ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে। পরবর্তীকালে সেই আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্য 269 জনকে এক নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। (WB TET Exam Judgement)
একাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট কবে, দ্বাদশের ক্লাস কবে শুরু, জানিয়ে দিলো সংসদ
এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদের সচিবকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা এবং জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি মহাশয়। তবে শুধুমাত্র সিবিআই নয়, আদালত এনআইসি-কে তদন্তে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয় এবং তাদের হাতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WB TET Exam Judgement) ওয়েবসাইটের যাবতীয় তথ্য সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব রয়েছে।
কোর্টের তরফ থেকে আরও বলা হয়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের প্রাপ্ত আসল নম্বর যেন যথা শীঘ্র বের করা হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে আগামী 15 জুন দুপুর দু’টোর পরে। এখন এটাই দেখার আগামী দিনে রহস্য আরো কতটা ঘনীভূত হয়।
প্রতিদিন নিত্য নতুন খবর এর আরও আপডেট পেতে ফলো করতে ভুলবেন না এই ওয়েব পোর্টালটি।
Written by Manisha Basak.
পোস্ট অফিসের দুর্দান্ত স্কিম, একবার টাকা রাখলে মাসিক পেনশন নিশ্চিত