WBBPE Primary TET – রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা জমার নির্দেশ, এত বছর চাকরি করেও!

WBBPE Primary TET এর শিক্ষকদের এবার হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের ৩৯২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ২০০৯ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (Primary Teachers Recruitment Notification) জারির পর ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৬ সালে এসে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।

WBBPE Primary TET

এই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, ১১ বছর আগে WBBPE Primary TET নিযুক্ত এই প্রাথমিক শিক্ষকদের এবার হলফনামা জমা দিতে হবে। রাজ্যজুড়ে এমনিতেই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছে। একের পর এক নিত্য নতুন নির্দেশ দিচ্ছে হাইকোর্ট। সিবিআই আর ই ডি তদন্তের নির্দেশ আসছে। বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ সামনে আসছে।

এর মধ্যেই আবার জানা গেছে, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং সংক্রান্ত যে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় CBI আর ED তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের উপরেও সুপ্রিমকোর্ট স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিয়েছে।

WBHS এর সুবিধা বৃদ্ধি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

এর আগেও দেখা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বহু নির্দেশের উপরে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা না হলে খারিজ করে দিয়েছে। এবার ২০০৯ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১২ সালে যে সম্পন্ন করা হয়, ২০১৬ সালে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে যে সমস্ত শিক্ষকেরা উত্তর ২৪ পরগনায় চলে এসেছেন, তাদেরও হলফনামা জমা দিতে হবে নিজস্ব এসআই অফিসে গিয়ে।

32000 প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত,

গাইঘাটা, হাবরা, হাড়োয়া, সন্দেশখালি, রাজারহাট, বারাসাত, বানিপুর, মধ্যমগ্রাম, মধ্যমগ্রাম পূর্ব, দেগঙ্গা সমস্ত জায়গার শিক্ষকদেরই এই হলফনামা জমা দিতে হবে। এবার হলফনামায় কি জানাতে হবে?
শিক্ষককে হলফনামায় জানাতে হবে, ২০০৯ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া 2012 সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউ বোর্ডে তার নিকট আত্মীয় ছিলেন না।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকারের বড় পরাজয়, বহাল থাকল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়।

তিনি যা ঘোষণা করছেন তা সর্বৈব সত্য। যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে শাস্তির জন্য তৈরি থাকবেন।
শিক্ষকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ১১ বছর আগে (WBBPE Primary TET) যে সমস্ত শিক্ষকেরা নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাদের এই সময়ে ফের হলফনামা দেওয়ার কারণ নিয়ে তারা যথেষ্ট ধন্দের মধ্যে রয়েছেন। স্কুল কমিশনার, শিক্ষা অধিকর্তা দপ্তরের তরফে সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button