Primary TET – টেট পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর। মেধা তালিকায় ব্যাপক রদবদল। চাকরি পেতে পারেন প্রচুর নতুন প্রার্থী।
টেট পরীক্ষার্থীরা তথা WBBPE Primary TET এর প্রার্থীরা পাবেন বাড়তি ৬ নম্বর, হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে আনন্দিত সকল পরীক্ষার্থীদের মন। কারন এই নম্বর পেলে অনেকেই মেধা তালিকায় উপরে উঠে আসবেন। বিস্তারিত জেনে নিন।
রাজ্যের সকল প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য বিরাট সুখবর। তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ওপর আরো ৬ নম্বর বাড়তি যোগ করতে হবে। এমনটা নির্দেশ এল হাইকোর্টের তরফ থেকে।
WBBPE Primary TET case update
আর স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে অত্যন্ত খুশি সেই সকল পরীক্ষার্থীরা যারা এই Primary TET পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কোর্টের তরফে খবর পাওয়া গেছে যে Primary TET পরীক্ষায় যে প্রশ্ন গুলি করা হয়েছিল তার মধ্যে ৬ টি প্রশ্ন ছিল ভুল। তাই এই দাবি নিয়ে পরীক্ষার্থীরা কোর্টে মামলা দায়ের করে (Primary TET wrong answer case) যে তাদেরকে সেই ৬ নম্বর অতিরিক্ত দিতে হবে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর।
আর সবকিছু বিচার বিবেচনা করে কোর্টও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে পরীক্ষার্থীদের এই নম্বর অবশ্যই পাওয়া উচিত। যদিও WBBPE প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোর্টের এই নির্দেশকে মানতে রাজি হয়নি। কিন্তু হাইকোর্টের পক্ষ থেকেও কড়া ভাবে জানানো হয়েছে যে পরীক্ষার্থীরা যে মামলা করেছে তা সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত এবং তাই এই ন্যায় বিচার তাদের অবশ্যই দিতেই হবে।
রাজ্যে গত ১০ বছর ধরে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের যে সমস্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই সব পরীক্ষা নিয়েই বিভিন্ন ঝুট ঝামেলা চলছে। যেমন ২০১৪ সালে যে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্য জুড়ে সেই নিয়ে ২০১৮ সালে কোর্টে দায়ের করা হয় মামলা। এই সালের পরীক্ষায় যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল তাতে মোট ছটি প্রশ্ন ভুল পাওয়ার দরুন পরীক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভে নামেন।
অবশেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা এই ৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য নেগেটিভ মার্কিং পেয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই ৬ নাম্বার বাড়তি দিতে হবে। কারন তারা যাচাই করে দেখেছেন সেই প্রশ্নগুলি সত্যিই ভুল করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, 30000 টাকা বেতনে ডোনেশন ছাড়াই বন্ধন ব্যাংকে কর্মী নিয়োগ।
পরবর্তীকালে এই মামলাটি আবার ওঠে বিচারপতি তালুকদারের বেঞ্চে এবং তারও পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এটিকে গ্ৰহণ করে। তবে তাদের দুজনেরই মত একই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ভুল প্রশ্ন করে সেই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের নেগেটিভ মার্কিং দিয়ে মোটেই ঠিক কাজ করেনি।
আরও পড়ুন, অবশেষে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ, ক্লিক করে Download করুন।
আর তাই তাদের দুজনেরও ডিভিশন বেঞ্চে এই শুনানি জানানো হয় যে ছাত্রছাত্রীরা অবশ্যই তাদের প্রাপ্ত নম্বরের ওপর বাড়তি ৬ নম্বর পাবেন। ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্রের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের করা এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি আবারো শীঘ্রই জানাতে চলেছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তাই পরীক্ষার্থীদের এখন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে এই মামলার ফাইনাল রায় পাওয়ার জন্য।
Written by Nabadip Saha.