টেট পাশ প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া শুরু হলো।
WBBPE TET পাশ প্রার্থীদের চাকরির নিয়োগপত্র (Primary Teacher Recruitment) পাঠানো শুরু করা হলো। যারা Primary Teacher Recruitment নিয়োগের প্যানেলে ছিলেন, তাদের বাড়ি বাড়ি ইতিমধ্যেই পোস্ট অফিস মারফত নিয়োগপত্র পাঠানো শুরু করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংসদের তরফে বলা হয়েছে, প্রথম দিনেই ২০০ জনকে এই নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। আরও যারা বাকি রয়েছেন, তাদেরও ধাপে ধাপে ৩-৪ দিনের মধ্যে সমস্ত নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
WBBPE Primary Teacher Recruitment
যেহেতু ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই প্যানেল তৈরি হয়েছিল, তাই কাউন্সিলিং (Primary Teacher Recruitment Counseling) হয়নি। প্রতিটি চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের সময়ে তার ব্লক বা মহকুমার কাছাকাছি স্কুলে দেওয়ার বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ হয়।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১৫০৬ টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে (High Court Orders Recruit Teachers in South 24Parganas) ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই নিয়োগ করা হচ্ছে।
এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহসহ অন্য জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেওয়ার পরে ইতিমধ্যেই জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে প্রতিটি নিয়োগপ্রার্থীর কাছে Joining Letter পাঠানো শুরু হয়েছে।
এর আগে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষা দপ্তরের সচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেন। শিক্ষা দপ্তরের সচিব হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে রিপোর্টে জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১৪০৩ টি সুপার নিউমেরিক পদ সৃষ্টি করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১০৩ টি শূন্য পদ রয়েছে। মোট ১৫০৬ টি শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। এরপরেই বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৩০ আগস্ট এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া (Primary Recruitment Process) সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। আবার এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় 420 জন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলন করছেন।
আরও পড়ুন, B.ED ডিগ্রিধারীরা বসতে পারবেন না প্রাইমারি টেট পরীক্ষায়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত Primary Teacher Recruitment এর এই দফার নিয়োগ পত্র তারা হাতে পাননি। ফলে ভবিষ্যতে আন্দোলন এবং কোর্ট দুই পথেই তারা যেতে পারেন। ফলে ফের আবার জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ পত্র পাঠানো শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন, TET 2014 – কত টাকায় রফা হয়েছে? ঘুষ দেওয়া সব শিক্ষকের তালিকা ও টাকার অংক, দেখলেই মাথা ঘুরে যাবে।
Primary TET 2009 এর বিজ্ঞপ্তিতে Primary Teacher Recruitment এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিকের নিয়োগ পত্র ছুটির দিনেও শিক্ষা দপ্তরের নিয়মে নিয়োগ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পাঠানো হবে বলেই জানা গিয়েছে।
এই খবর প্রকাশিত হতেই কার্যত খুসির হাওয়া চাকরি প্রার্থীদের। প্রসঙ্গত, টেট পাশ করে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা কবে নিয়োগ হবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। আর পুজোর আগে এই খবর তাদের কাছে অত্যন্ত শুভ বার্তা বয়ে আনবে।
২০০৯ সালের যোগ্য দের নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত কিন্তু ২০০৯ সালের প্রাথমিক সহ বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগপত্র ক্রেতা বিক্রেতা দের বিরুদ্ধে চুপ কেন?