WBBPE Primary TET (প্রাইমারী টেট)

১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় রায় (Primary TET Case) দিল হাইকোর্ট! WBBPE প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদকে শোকজ কোর্টের, চাকরি নিয়ে বিড়ম্বনায় এই প্যানেলের বহু শিক্ষক।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা মামলা ক্রমশই যেন এক অন্য রূপ ধারণ করছে। বিগত ৯ – ১০ বছরে যে কবার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে, সে প্রাথমিক হোক বা উচ্চ প্রাথমিক বা উচ্চমাধ্যমিক, সেই সব গুলিতেই কোন না কোন ভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে মনে করেন পরীক্ষার্থীরা এবং তাই মামলা ও আন্দোলনের মাধ্যমে এই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার হয়েছেন।

Advertisement

WBBPE Primary TET Case

যেমন ধরা যাক যদি বলি 2020 সালের যে ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল তার কথা, তবে এ ব্যাপারেও অভিযোগের শেষ নেই। এই সালের পরীক্ষার বিরুদ্ধে এমনটা অভিযোগ তোলা হয়েছে কোর্টে যে যোগ্য প্রশিক্ষণ ছাড়াই নাকি এই বছরের কিছু পরীক্ষার্থীকে দুর্নীতির দ্বারা চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে যারা খেটে কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়েছেন এবং সঠিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের নামই তোলা হয়নি তালিকায়। আর Primary TET পরীক্ষার্থীদের এই মামলাকেই একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের কাছে শো কজ চেয়ে নোটিশ পাঠালেন।

২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মারফত প্রকাশিত হয়েছিল ১৬৫০০ প্রাথমিক স্তরের Primary TET তথা শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। এই বছরের নিয়োগে বলা হয়েছিল যে ডিএড ছাড়াও বিএড উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ছয় মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করে থাকতে হবে। এমনটা নিয়ম করেছিল NCTE।

Ads

অন্যদিকে সেই বছরেরই কিছু পরীক্ষার্থীদের দাবি যে কত ৯ বছর যাবত নাকি রাজ্যে কোন ব্রিজ কোর্স করানোই হয়নি। অথচ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চাকরি পেয়ে গেছেন সেই বছরের 5000 Primary TET পরীক্ষার্থী। কিভাবে সম্ভব হল এমনটা। অন্যদিকে সঠিক প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও অনেক যোগ্য প্রার্থী নামই ওঠেনি নিয়োগ তালিকায়। এইরূপ অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন এই বছরের মোট ৭ জন পরীক্ষার্থী যাদের সঙ্গে এরূপ অন্যায় করা হয়েছিল। আর সেই মামলারই রায় দিলেন এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

রিপোর্ট সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, যেমনটা আগে উল্লেখ করা হলো রাজ্যে গত ৯ বছর যাবত নাকি কোন ব্রিজ কোর্স করানোই হয়নি বিএড পাস টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য। প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ নাকি জানিয়েছে এমনটা। মঙ্গলবার কোর্টে এই রিপোর্ট পেশ করেছে WBBPE পর্ষদ। এই রিপোর্টে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি বলেছেন শেষবার ২০১৫ সালে রাজ্যে এই ব্রিজ কোর্স করানো হয়েছিল। তারপর থেকে আর কখনো অনুষ্ঠিত হয়নি এই প্রক্রিয়া।

Advertisement
Civic Volunteer Recruitment 2023 - সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ

এদিকে NCTE এর নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো বি এড পাস পরীক্ষার্থী যদি টেট পরীক্ষায় নিয়োগ পেতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই ছয় মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে। কিন্তু ওই ৭ জন‌ মামলা দায়েরকারী পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এমনটা বক্তব্য করেছেন, যে এই বছরের অর্থাৎ ২০২০ সালের ৫ হাজার পরীক্ষার্থীদের নাকি চাকরি মিলে গেছে অনেক আগেই।

Ads

আরও পড়ুন, স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য দারুন সুখবর। উপকৃত হবেন কোটি কোটি গ্রাহক।

যেখানে তাদের সঠিক প্রশিক্ষণই নেই কোন, সেখানে কিভাবে সম্ভব হল এটা। অন্যদিকে যারা এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং পরীক্ষায় রীতিমতো Primary TET উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের কথা উল্লেখই করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ তো দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু হতেই পারে না। এমনটা মনে করেছেন সেই আইনজীবী।

আরও পড়ুন, উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা নিয়ে মামলা দায়ের। শিক্ষক নিয়োগ ফের অথৈ জলে।

এখন দেখা যাক, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের শো কজের উত্তরে কি জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে শেষ পর্যন্ত যদি ওই ৭ জন Primary TET পরীক্ষার্থীর দাবি সঠিক বলে প্রমাণিত হয়, তবে আবারও কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে চলেছেন ওই ৫০০০ শিক্ষক শিক্ষিকা। এ ব্যাপারে কোর্ট বিষয়টিকে গভীরে গিয়ে যাচাই করবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Written by Nabadip Saha.

Advertisement
One thought on “Primary TET Case – 16500 টেট মামলার রায় ঘোষণা। B.Ed. ও DElEd. প্রার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ রায়। বিপাকে শিক্ষকদের চাকরি।”
  1. আগে শুনতাম , b.ed বাবুরা প্রাথমিকে চাকুরী পেলে তাদের ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে। এখানে করে না থাকলে হয় তাদের সরকার কোর্স করার ছাড় দেইনি , নইলে সরকার করায় নি। তাহলে শিক্ষকদের এখানে কি ভুল ? এই আর খবর সূত্রে বোঝাযাছে যে, বি এড দের ব্রিজ কোর্স আগে থেকেই করে থাকতে হবে। আইনজীবীরা কি কোর্টকে বিভ্রান্ত করছে ? যদি তাই হয় তরুনজ্যতি কেনো এমন করছেন ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *