Electric Bill: পশ্চিমবঙ্গে হু হু করে বাড়ছে কারেন্ট বিল! ইচ্ছেমতো বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা দফতরের, সব স্কুলকে মানতে হবে

পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা বেড়ে কয়েক হাজারের কাছাকাছি। ‌ প্রতিটি স্কুলে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি জল, বিদ্যুৎ, মিড ডে মিল-সহ সমস্ত দিকের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। আর এবার স্কুলে স্কুলে নোটিশ পাঠাল শিক্ষা দপ্তর (WBBSE Notice)। বিদ্যুতের বিল (Electric Bill) নিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বিদ্যুৎ ব্যবহারে (Electric Bill) আরো কড়া হলো শিক্ষা দপ্তর (Electric Bill)। সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তরের (WBBSE) বিজ্ঞপ্তি পেয়ে নড়ে চড়ে বসলো রাজ্যের প্রতিটি স্কুল (Electric Bill)।

কিন্তু কি নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর? নোটিশে আলাদা করে কি বলা হয়েছে? আসলে শুধুমাত্র নোটিশ দিয়েই ক্ষ্যান্ত থাকেনি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তর (WBBSE)। বলা হয়েছে এই নিয়ম (Electric Bill) না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিটি পেতেই চিন্তিত রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল (Electric Bill)।

Electric Bill নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নতুন নোটিশ

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলির জন্য বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিরাট নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দপ্তর (WBBSE)। জুলাই মাসে জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সবাই। এই বিজ্ঞপ্তিতে কি বলা হয়েছে শিক্ষা দপ্তর-এর তরফে? জুলাই মাসের ২৬ তারিখ ‌পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। যে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে বিদ্যুত ব্যবহার বা ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার সম্পর্কে (Electric Bill)।

রাজ্যের স্কুলগুলিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার (Electric Bill) নিয়ে এবার আরো একটু কড়া হল রাজ্য সরকার। ইলেকট্রিসিটি ব্যবহারে (Electric Bill) আনা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। গত ২৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি কড়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানান ডেপুটি সেক্রেটারি একাডেমিক (WBBSE)। আর সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রাজ্যের স্কুলে স্কুলে আলোচনা তুঙ্গে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে থাকা রাজ্যের প্রতিটি স্কুলকেই এই নতুন নির্দেশ মানতে হবে (Electric Bill)। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। আর নির্দেশ যদি না মানা হয়, তাহলে নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ (WBBSE Notice 2024)। আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা যাক শিক্ষা দপ্তরের নতুন নোটিশ সম্পর্কে (Electric Bill)। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কি বলা হয়েছে জেনে নেওয়া যাক এক নজরে (WBBSE Notice)।

বাড়ছে বেতন! পুজোর আগেই সুখবর পেলেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষকরা! কত টাকা বাড়ছে স্যালারি?

Electric Bill নিয়ে নোটিশে কি বলা হয়েছে?

আগেই বলা হয়েছে রাজ্যের স্কুল গুলির বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের তরফে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে বৈদ্যুতিক শক্তির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ অপচয়ের দিকে নির্দেশ করেছে রাজ্য সরকার। আর এই বিষয়ে সকলকে অবহিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যায় বিদ্যুৎ সংকট রাজ্যের কোণায় কোণায়। দিন দিন বাড়ছে লোডশেডিংয়ের হার। কিন্তু বিদ্যুৎ যেভাবে অপচয় হচ্ছে, তাতে এই সংকট কমার বদলে দিনকে দিন বাড়বে। সেটাও কিন্তু ধারণা করাই যায়। তাই আগেভাগে সতর্ক হল রাজ্য সরকার। স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল নোটিশ। বিদ্যুৎ অপব্যবহারের ঘটনা আটকাতে তৎপর হয়ে উঠলো শিক্ষা দপ্তর।

অবশেষে স্বস্তি! বকেয়া ডিএ মেটানো হবে সরকারি কর্মীদের! তোড়জোড় শুরু করল রাজ্য সরকার

বিদ্যুতের অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ!

শিক্ষা দপ্তরের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকুন। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের যাতে অপব্যবহার কোনভাবে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে শুধুমাত্র স্কুলগুলি নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি অফিস এবং কর্মকর্তাদের অফিসের ক্ষেত্রেও একই সর্তকতা উল্লেখ করেছে।

বিদ্যুৎ খরচের ক্ষেত্রে একই রকম সর্তকতা নিশ্চিত করতেই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হল। শুধুমাত্র তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অপব্যবহার চেক করার জন্য এসআই, শিক্ষাবন্ধু এদের এলাকা পরিদর্শনের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং দৈনিক ভিত্তিতে ভিজিট রিপোর্ট করার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। ‌ আপনিও যদি এই বিষয়ের বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে চান তাহলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি চেক করে নিতে পারবেন।

তবে একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের সবাইকে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোখার ক্ষেত্রে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে আমাদের। তবেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহার কমানো সম্ভব। যার দরুন লোডশেডিং, ও বিদ্যুৎ সংকটের হার কমবে। আর পশ্চিমবঙ্গের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এই সচেতনতা আমাদের সবাই কেই মেনে চলতে হবে।

রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে দেখা যায়, অকারণে ফাঁকা ক্লাসরুমে পাখা চলছে কিংবা আলো জ্বলছে।‌ আর এগুলি বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে একেবারেই উপযুক্ত নয়। বহুদিন ধরে বিষয়টি পর্যালোচনা করে এবার কড়া হলো শিক্ষা দপ্তর। এবার থেকে প্রতিটি স্কুলকেই নজরে রাখা হবে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রুখতে এবং বিদ্যুৎ সংকট কমাতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button