WBSSC – বহু প্রতীক্ষার পর রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র।
পুজোর আগেই রাজ্যের একাংশ বেকার চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিরাট এক ঘোষণা জারি করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের WBSSC বা স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত প্রচুর শূন্য পদে আরম্ভ হতে চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
WBSSC TET Notification
যদিও WBSSC তে মোট কতগুলি শূন্য পদের জন্য এখানে নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু স্পষ্ট করে বলা হয়নি কমিশনের তরফে। কিভাবে হবে আবেদন প্রক্রিয়া, নিয়োগ প্রক্রিয়া, পরীক্ষাই বা কবে এসব বিষয় নিয়ে জানতে হলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
২০১৬ সালে অর্থাৎ দীর্ঘ সাত বছর আগে শেষবারের মতন হয়েছিল WBSSC তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ। কিন্তু সেই নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতির খবর পৌঁছায় আদালতে। এবছরের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী আদালতের কাছে মামলা করে যে বহু যোগ্য প্রার্থীদের নাম নাকি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অযোগ্য পরীক্ষার্থীদের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে চাকরি পাওয়ার।
আর এটি ঘটেছে টাকার বিনিময়ে। এই নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে হাইকোর্টে। যদিও শুধু স্কুল সার্ভিস কমিশনেরই নয়, চলতি বছরে আয়োজিত হওয়া বিভিন্ন প্রাথমিক (Primary TET) এবং উচ্চ প্রাথমিক (WBSSC Upper Primary TET) স্তরের পরীক্ষা গুলিতেও পরীক্ষার্থীরা শিকার হয়েছেন বিভিন্ন দুর্নীতির। এর মধ্যে কিছু মামলার অবসান ঘটেছে এবং কিছু এখনো পড়ে রয়েছে আদালতে বিচারের অপেক্ষায়। ফলে ক্রমশ উত্তেজনায় বেড়ে চলেছে এই সকল মামলার জেরে।
অন্যদিকে এগুলির অবসান ঘটা পর্যন্ত কোনো রকম নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হচ্ছে না রাজ্যে। সেই কারণেও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? শিক্ষিত বেকার চাকরি প্রার্থীরা ক্রমশ ঠকে চলেছে এই সকলের জেরে। বি এড পাস করে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার অপেক্ষা করছেন বহু বেকার ছেলে মেয়ে। তাই তাদের কথা চিন্তা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবার এগিয়ে এসেছে এই বিরাট উদ্যোগ নিয়ে।
আরও পড়ুন, জরুরী ভিত্তিতে রামকৃষ্ণ মিশনে স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ, দেখেনিন সম্পূর্ণ আবেদন পদ্ধতি।
কিছুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে বলা হয় রাজ্যের বহু স্কুলে বর্তমানে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এমনকি যারা রয়েছেন তারাও বেশিরভাগ অযোগ্য। ফলে বহু স্কুলই প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। এই অবস্থায় ছাত্র ছাত্রীদেরকে ভবিষ্যৎ অন্ধকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে উপযুক্ত প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে স্কুলগুলিতে নিয়োগ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন, বহুদিন পর রাজ্যে 5000 ক্লার্ক নিয়োগ। আজই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। পুজো মিটলেই চাকরির পরীক্ষা।
যদিও এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত নেয়নি রাজ্য। সেই কারণে কোন পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি ও প্রকাশ করা হয়নি WBSSC কমিশনের তরফে। তবে আশা করা যাচ্ছে এ বছর দুর্গাপুজোর পরই প্রকাশিত হতে পারে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। তারপরে শুরু হবে আবেদনের কাজ। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই স্কুল সার্ভিস কমিশন গ্রহণ করা হতে পারে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা।
Written by Nabadip Sahaয়ে