পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে বড় খবর, চলতি মাসেই ঘোষণা।

বকেয়া ডিএ বা Dearness Allowance কবে পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা? শুধু এই একটি প্রশ্নের জবাব নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে সরকারি কর্মীরা তাকিয়েছিলেন এদিন দেশের সুপ্রিম কোর্টের দিকে। কারণ দেশের শীর্ষ আদালতে এদিন বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট কি নির্দেশ দেয়? সেইদিকে নজর ছিল সরকারি মহলের।

কি বলল সুপ্রিম কোর্ট বকেয়া ডিএ মামলায়?

অনেক আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা Government Employees প্রথম শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্ট হয়তো কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারে রাজ্য সরকারকে। দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা এই বকেয়া ডিএ বা Dearness Allowance পাওয়ার জন্য একদিকে আইন আদালতে, অপরদিকে রাস্তায় নেমে সংগ্রাম আন্দোলন করছেন। গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কর্মচারীদের বকেয়া DA দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের তরফে একই নির্দেশ বহাল রাখা হয়।

শিক্ষকদের মিড ডে মিল এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির চিঠি গেল শিক্ষা দপ্তরে।

আর এর পরেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। একাধিক কর্মচারী সংগঠনের তরফে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের মতো সুপ্রিম কোর্টেও যে বকেয়া ডিএ মামলার রায় তাদের পক্ষে যাবে, তা নিয়ে আশা প্রকাশ করেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একাংশ।

জানা গিয়েছিল, জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে, আর সেই মতে গতকাল সেই মামলার শুনানী হয়। মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু এদিন সেই বকেয়া ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া হলফনামায় ত্রুটির কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একধাক্কায় বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি ২ মাস পিছিয়ে গিয়েছে।

আগামী ১৫ মার্চ এই ডিএ মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে ত্রুটিমুক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA মামলায় যে হলফনামা জমা দেওয়া হয় তা ত্রুটিপূর্ণ থাকার কারণে এই মামলার শুনানি দুই মাস পিছিয়ে দেয় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। ত্রুটিমুক্ত হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চ।

12% DA ঘোষণা হতেই চাপ বাড়লো নবান্নের উপর, বকেয়া ডিএ পেতে এক ধাপ এগোলেন পশ্চিমবঙ্গের

ফলে যে আশা নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা শীর্ষ আদালতের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, আপাতত ২ মাসের জন্য বকেয়া ডিএ মামলার ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া হচ্ছে না। ফলত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মাথায় ঘনিয়েছে চিন্তার মেঘ। এর জন্যই কাল ডিএ মামলার শুনানী পেছনোর পরই আগামী ২৭ জানুয়ারী থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছে সরকারী কর্মীরা। তাই চলতি মাসেই বড় ঘোষনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা বক্তব্য থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
Written by Rajib Ghosh and edited by Rajeshwari.

Related Articles

5 Comments

  1. DA কারো দান দয়া নয়। DA অধিকার। Duty করার সময় যেমন মাইনে নিয়ে কোনো গাফিলতি চলবে না,তেমনি DA নিয়েও Pensioners দের সাথে খেলা চলবে না।

  2. ইচ্ছা করেই সময় বিলম্ব করছে । টাকার খেলা চলবে কোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button