Awas Yojana – বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে নতুন নিয়ম চালু হলো। ঘরের টাকা পেতে এই নিয়ম মেনে চলুন

বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য আবাস যোজনার (Awas Yojana) মাধ্যমে বাড়ি তৈরির দায়িত্বভার নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের (Government Scheme) উপভোক্তারা টাকা পাবেন বাড়ি বানানোর জন্য। রাজ্যবাসী সাধারণ মানুষের বাড়ি বানানোর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আবাস যোজনার মাধ্যমে। আসলে রাজ্য সরকার প্রকল্পটি চালু করেছিল মূলত কাঠ-খড় পুড়িয়েও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না মেলার কারণে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, এবার নিজ কোষাগার থেকে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে আমজনতাকে।

Awas Yojana Scheme West Bengal

রাজ্য সরকারের তরফে সেই মতো আগে দেওয়া কথা মতোই ১১ লক্ষের বেশি উপভোক্তা ডিসেম্বর থেকে প্রথম পর্যায় বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। আবাস যোজনার (Bangla Awas Yojana) প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। এরই মধ্যে সূত্রের খবর, যে আরও এক লক্ষ নাকি উপভোক্তা যুক্ত হতে চলেছে বাংলার আবাস যোজনায়।

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য নিজ কোষাগার থেকে সকলকে আবাসের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত ১৭ ডিসেম্বর আবাসের টাকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, এই দফায় যারা টাকা পাননি, তারা যেন দুঃখ না করেন, কারণ কেন্দ্র টাকা না দিলে তাদেরও দুটো কিস্তিতে আবাসের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলবে রাজ্য সরকার।

PAN Card গ্রাহকদের ৫০০০০ টাকা পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

আবাস যোজনায় টাকা পেতে নতুন নিয়ম

বাংলা আবাস যোজনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জন্য স্বপ্নের প্রকল্প। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার তরফে সরকারি প্রকল্প আবাস যোজনা স্কিমের তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তাই এবার যাতে বাংলার আবাস যোজনায় টাকা উপভোক্তার হাতে পৌঁছয় সঠিকভাবে, তার আগে ‘কঠোর’ যাচাই হচ্ছে রাজ্য সরকার।

প্রকাশিত হলো বাংলা আবাস যোজনার ফাইনাল লিস্ট। এবার কারা টাকা পাবেন এবং কবে পাবেন?

শেষ মুহূর্তেও গোটা প্রক্রিয়া পুনর্যাচাই করা হচ্ছে। এর ফলে যেটা হচ্ছে, ফাইনাল তালিকায় গিয়ে কিছু সংখ্যক করে উপভোক্তা সব জেলা থেকে বাদ যাচ্ছেন। প্রায় প্রতি জেলায়। এ বিষয়ে সূত্র মারফত খবর, প্রকল্পের তালিকায় মোট উপভোক্তা সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮ লক্ষ। এদের মধ্যে ১১ লক্ষ উপভোক্তার তালিকাকে কেন্দ্র সরকার ২০২২ এর নভেম্বরে অনুমোদন দেয়। আর বাকি যে উপভোক্তারা ছিলেন তাদের মধ্যে থেকেই নতুন অন্তর্ভুক্তি।