পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রকল্প, মিসড কল দিলেই পাবেন 5000 টাকা। কোন নম্বরে কল করবেন?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষ, মেয়ে এবং মহিলাদের জন্য বিভিন্ন সময় ধরে নানান ধরনের নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সকল মহিলারা ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। মেয়েদের জন্য রয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্প, রূপশ্রী প্রকল্প, শিক্ষাশ্রী প্রকল্প, মেধাশ্রী প্রকল্প, এবং ঐক্যশ্রী প্রকল্প। বিধবা মহিলাদের জন্য রয়েছে বিধবা ভাতা এবং বৃদ্ধ মহিলাদের জন্য রয়েছে বৃদ্ধ ভাতা।

JAAGO Prakalpa: রাজ্যের নতুন প্রকল্প প্রত্যেক মহিলারা পাবেন ৫০০০ টাকা।

ঠিক তেমনি রাজ্যের সকল মহিলাদের স্বনির্ভর গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার জাগো প্রকল্প চালু করেছেন। জাগো প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র রাজ্যের মহিলারাই পাবেন অর্থাৎ রাজ্যের কোনো পুরুষ এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা পাবে না। জাগো প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যেক মহিলা এককালীন ৫০০০ টাকা পাবেন যা মহিলাদের স্বনির্ভর গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। জাগো প্রকল্পের সুবিধা লাভের জন্য মহিলার অবশ্যই স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বয়স ১ বছরের বেশি হতে হবে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একাউন্ট খোলা ৬য় মাসের উর্ধ্বে হতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একাউন্টে ৫০০০ টাকা থাকতে হবে।

এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতাঃ

  • স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা হতে হবে।
  • কমপক্ষে ৬ মাসের পুরনো ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
  • স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা Self-Help Group এর যাদের ‘টার্ম লোন’ বা ক্যাশ ক্রেডিট লিমিট আছে তারাই জাগো প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।

কিভাবে নাম লেখাবেন?

জাগো প্রকল্পে নাম লেখাতে হলে সর্ব প্রথম আপনি অনলাইনে নাম লেখাতে পারেন। এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা এবং আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে সরকারি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হলো shgsewb.gov.in. এই প্রকল্পের সমস্ত নিয়ম কানুন ও সুবিধা অসুবিধা জানতে পারবেন।

click here png 1

কোন নম্বরে মিসড কল দিতে হবে?

শুধুমাত্র একটি কলের মাধ্যমে আপনি জাগো প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। জাগো প্রকল্পের সুবিধা লাভের জন্য 77730 03003 এই নাম্বারে কল করুন। আপনার নম্বর লিপিবদ্ধ হয়ে গেলে, জাগো প্রকল্প কেন্দ্র থেকে সরকারি প্রতিনিধি আপনাকে ফোন করতে। এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে আপনাকে কি কি করতে হবে আপনি জেনে যাবেন।

প্যান কার্ড চালু নাকি বন্ধ, চেক করুন ঘরে বসে, জেনে নিন পদ্ধতি।

এছাড়া আপনি অনলাইনের মাধ্যমে জাগো প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে জাগো প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি পূরণ করে জমা করতে হবে। আপনি বিবেচিত হলে কি কি সুবিধা পাবেন জেনে নিন।

আরও পড়ুন, কার দখলে গ্রামবাংলা? কি বলছে ওপিনিয়ন পোল? পঞ্চায়েত ভোটের জেলা ভিত্তিক সমীক্ষা দেখুন।

জাগো প্রকল্পের সুবিধাঃ

  • এই প্রকল্প কেবলমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য।
  • মনোনীত হলে ৫০০০ টাকার সুবিধা পাবেন।
  • এই প্রকল্পে নাম লেখালে একটি স্মার্ট কার্ড পাবেন।
  • এই কার্ড দিয়ে বছরে আরও ২ লাখ টাকা প্রজন্ত স্বাস্থ্য বীমা পাবেন।

এই বিষয়ে আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
আরও বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন
অন্যান্য নতুন প্রকল্পের তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন।

Related Articles

8 Comments

  1. আমি শ্রীমতি মমতা কুন্ডু। বয়স ৬৫ বৎসর। আমি ক্যানসার পেশেন্ট। ২০০৬ সাল থেকে আমার চিকিৎসা চলছে মুম্বাই টাটা ক্যান্সার হাসপাতাল। আমার স্বামী শ্রী নব কুমার কুন্ডু বয়স ৬৮ বৎসর। কোনরকম রোজগার নেই। পার্ট টাইম কাজ করে সামান্য কিছু পেয়ে সংসার কোনরকম এক বলা খেয়ে না খেয়ে চলছে। ইমোতে অবস্থায় যদি বার্ধক্য ভাতা কিংবা অন্য কোন রকম যোজনাতে নাম নথিভুক্ত করে কিছু টাকা পয়সা পাওয়া যায় তাদের দুটো ডালভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি। নমস্কার।

  2. ছেলেরা কি পাবে???
    সব সুধিবা কি শুধু মেয়েদের জন্যেই, ছেলেরা জীবনে দারানোর কোনো প্রয়োজন নেই তাইতো???
    বেটি বাচাও বেটি পরাও, আর ছেলেরা বানের জলে ভেসেযাক তাইতো???
    অনেক বড়ো বড়ো সংস্থা আছে যারা মেয়েদের পরাশোনার খরোচে অনেক ছার দেয়, পার্থক্য ৪৫,০০০টাকা(মেয়েদের) আর ২,৫০,০০০টাকা(ছেলেদের)।
    যেনো ছেলেদের কোনো মূল্যই নেই।
    অন্যদিকে আবার ছেলেরা ধর্ষন/খুন/পরক্রিয়া করলে চরোম শাস্তি, আর মেয়েরা একই অপরাধ করার পরও নুন্যতম শাস্তি, যেনো সেটা কোনো অপরাধ নয়।
    আবার সেই সুবিধার আরালে থাকা মেয়েরা দাবি করে- ছেলে আর মেয়ে সমান। সমান অধিকারের দাবি করে🤣🤣🤣
    সমান অধিকারের সাথে সমান শাস্তি টা নেওয়ার বেলায় তারা অবলা।
    আমার ভাবতেও লজ্জা হয়, আমরা এমন দেশে বাস করি যেখানে স্ত্রি স্বামিকে খুন করলেও বিমার পুরো টাকা পায়, আর তাই জন্যে আজ স্ত্রী হাতে স্বামিকে নির্যাতিত হওয়ায় ভারত বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকারী,
    আর বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়কে ঘিরে প্রতি বছর ভারতে মহিলাদের জন্য প্রায় ৯০,০০০ পুরুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। যেটা নারীদের তুলনায় কয়েকগুন বেশি।
    একসাথে মোটা টাকা হাতানোর জন্যে, আদালতে মেয়েদের দায়ের করা মামলার ৭৬.০৮% ধর্ষন মামলা মিথ্যা বলে প্রমাণিত। যেটা প্রতিবেদনে এনেছে খোদ দিল্লির মহিলা সংগঠন। NCRB রেকর্ড আপনার মোবাইলেই আছে google.com পেয়ে যাবেন।
    এর পরও মেয়েদের “সুবিধা+সমান অধিকার +অবোলা সাজা” চাই,
    আর সমাজ মেয়েদেরকেই প্রাধান্য দিয়ে মাথায় করে রাখবে সমাজ।

    👏👏অসাধারন👏👏
    নিজেকে এই সমাজের জীব ভাবতেও লজ্জা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button