23 লক্ষ ভারতীয়র Whatsapp একাউন্ট বন্ধ হবে, একাউন্ট বাঁচাতে এখুনি দেখুন। লিস্ট কিভাবে চেক করবেন, জানুন।

Whatsapp একাউন্ট বন্ধ হলেও আবার চালু করা যাবে একাউন্ট।

আধুনিক ভারতে উন্নত প্রযুক্তির মোবাইলের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন ফেসবুক, Whatsapp, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি একাউন্ট এর মাধ্যমে। ভারতবর্ষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ডিজিটাল শব্দটি বেশ পরিচিত। বর্তমানে ভারতে 5G চালু হয়েও গেছে। সুতরাং, এখন আগের থেকে অনেক দ্রুতভাবে দেশের ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি আসবে।

পড়াশোনা, চাকরি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজেও সোশ্যাল মিডিয়াগুলির ব্যবহার হয়ে থাকে বিপুল পরিমাণে। এছাড়াও বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে অনেকেই বাড়িয়েছে তাদের মাসিক আয়। কিন্তু এবার গত আগস্ট মাসেই প্রায় ২৩ লাখ Whatsapp একাউন্ট কে নিষিদ্ধ করল হোয়াটস্যাপ সংস্থা। কি কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই সকল একাউন্ট? আসুন জানি আজকের প্রতিবেদনটির মাধ্যমে।

মোবাইলে এই 13 টি নিষিদ্ধ অ্যাপ থাকলেই বিপদ, বিশদে জানুন।

১লা আগস্ট, ২০২২ থেকে ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ২৩ লক্ষ ২৮ হাজার Whatsapp একাউন্টকে নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটস্যাপ সংস্থা। এর মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ ৮ হাজার ব্যবহারকারীকে কোন নোটিশ ছাড়াই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের একাউন্ট। প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে এই বন্ধ হয়ে যাওয়া হোয়াটস্যাপ একাউন্টের তালিকা।

বিগত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে যথাক্রমে ১৮ লক্ষ, ১৬ লক্ষ, ১৯ লক্ষ মিলিয়ে মোট ৫৩ লক্ষ Whatsapp একাউন্ট কে নিষিদ্ধ করা হয় সারা ভারতে। স্বভাবতই উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে এই সংখ্যা। ফলে সাধারণের মধ্যে দেখা দিচ্ছে বেশ অস্বস্তি। কিন্তু কি কারণে এই পদক্ষেপ? কি জন্য ব্লক করে দেওয়া হলো এতো গুলো হোয়াটস্যাপ একাউন্ট?

নতুন সিম তোলায় নিষেধাজ্ঞা, কড়া হুশিয়ারি টেলিকম মন্ত্রকের।

সুত্র অনুসারে জানা গেছে যে, মূলত নারীবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ, আতঙ্কবাদ, ধর্মীয় হানাহানি, ধর্মবিদ্বেষ, জাতিবিদ্বেষ ইত্যাদি বিষয়ক নানা প্ররোচনামূলক তথ্য এবং ভুল তথ্য শেয়ার করার জন্যই ব্যবহারকারীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেকেই তথ্য যাচাই না করে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেন। সেই সকল বিষয়গুলি চিহ্নিত করেই পদক্ষেপ নিচ্ছে সংস্থাটি।

ভারত সরকারের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নজর দিয়েই এই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে Whatsapp। এর থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। না জেনে কোন বিতর্কমূলক বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। গত এক বছর ধরেই সরকার এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সংস্থা অনলাইন ক্রাইম এর উপর বিশেষ নজর রাখছে। সুতরাং আপনার নিজের প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক দেশের জন্য ক্ষতিকর কোন বিষয়েই অধিক আগ্রহ না দেখানোই ভাল। আর এখন হোয়াটস্যাপ পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহারের দিকেও নজর দিচ্ছে সরকার। এমন আরও খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার অনুরধ রইল। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button